অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং করে ঘরে বসে ইনকাম
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? এটি কত প্রকার ও কি কি? সুবিধা ও ভবিষ্যৎ চাহিদা
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
What is digital marketing in Bangla
ডিজিটাল মার্কেটিং কি?(what is digital marketing in Bangla)
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি এবং Digital marketing সম্পর্কে বিস্তারিত জনব।
ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন মার্কেটিং বা ইন্টারনেট এডভার্টাইজিং,আপনি যাই বলে থাকেন না কেন আপনার কোম্পানি বা সংস্থাকে অনলাইনে মার্কেটিং বা পরিচিত করে তোলা বর্তমান সময়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি(digital marketing) বিষয়।
Read More: ছাত্র জীবনে অভিজ্ঞতা ছাড়াই আয় করার ৫ পদ্ধতি
কেননা বিগত এক দশকে ইন্টারনেটের ব্যবহার হার দ্বিগুণ হারে বেড়ে গেছে এবং এই পরিবর্তনটি ফলে লোকেরা কীভাবে পণ্য ক্রয়/বিক্রয় করতেছে এবং ব্যবসায়ের সাথে সংযুক্ত রয়েছে তা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং(digital marketing) এর মাধ্যমে আপনি আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা বা গ্রাহকদের সাথে খুব সহজে সংযোগ স্থাপন এবং তাদেরকে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে অবহিত করতে পারবেন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আপনি সেই গ্রাহকদের সাথে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে তাদের সাথে খুব সহজেই কমিউনিকেট করতে পারবেন। এইর পরিপেক্ষিতে আপনাদের সাথে আজকে এই পোস্টে ডিজিটাল মার্কেটিং কি ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার এছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত আরো কিছু প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি
All about digital marketing in bangla
ডিজিটাল মার্কেটিং কি ?
ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে মূলত ডিজিটাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে অনলাইনে কোন প্রোডাক্ট বা মার্কেটিং ক্যাম্পেইন্স পরিচালনা করা। যত ধরনের অনলাইন মার্কেটিং আছে যেগুলোর মাধ্যমে আমরা কোন প্রোডাক্টের মার্কেটিং বা ক্যাম্পেইন করার জন্য যতগুলো পন্থা অবলম্বন করি সবগুলো মিলেই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং।
আবার অন্যভাবে বললে ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে ইলেকট্রনিক যন্ত্র বা মাধ্যম ব্যবহার করে সম্পাদিত মার্কেটিংকে বোঝায়। ডিজিটাল মার্কেটিং ইলেকট্রনিক মাধ্যমের মাধ্যমে বিতরণ করা সমস্ত বিজ্ঞাপনের একটি বৃহত্তর শব্দ।
লোকেরা যখন ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে শুনে এবং কথা বলে, তখন এটা সত্য যে তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট মাধ্যম সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করে।
যেমন, ইমেইল,সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট, এবং সার্চ ইঞ্জিন। মূলত, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ইত্যাদির মাধ্যমে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত যে কোনও কিছু।
ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন ও অফলাইন উভয়ভাবেই হতে পারে।ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ভাবেই করা যায় এবং উভয় ক্ষেত্রেই, একটি ভাল মসৃণ ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে সম্ভাব্য গ্রাহকদের আপনার পণ্যগুলো প্রতি স্থানীয়ভাবে খুব সহজে এবং তাড়াতাড়ি ক্রেতাদের আকর্ষণ তৈরি করতে সক্ষম হবেন। এর ফলে আপনার পণ্যের সেল খুব দ্রুত বেড়ে যাবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর টেকনিকগুলো ব্যবহার করে আপনি স্বল্প সময়ে খুব কম খরচেই এবং সহজেই বিপুল পরিমাণ ক্রেতা বা কাস্টমারদের কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন যা প্রচলিত মাধ্যম গুলো অবলম্বন করে পারবেন না।
আপনার টার্গেট করা অডিয়েন্স বা গ্রাহকদের কাছে খুব সহজেই পৌছাতে পারবেন এবং দ্রুত তাদের সাথে কমিউনিকেট তৈরি করতে পারবেন।
বর্তমানে এই বিশ্ববাজারে পৌঁছানোর জন্য এবং এখানে টিকে থাকার জন্য অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যন্ত কার্যকরী। এবং এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে অর্থ সাশ্রয় করতে পারবেন এবং প্রচলিত বিপণন পদ্ধতির চেয়ে কম অর্থে আরও বেশি গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) জনপ্রিয় হলেও এর বাস্তবিক পরিসর অনেক বড়। এই সেক্টরে ভালো করার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষ করে তোলা গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আজকে আপনাদের ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি এবং এগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ, সে সম্পর্কে কিছু ধারনা দেওয়ার চেষ্টা করব।
ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত অনেক প্রকারের হয়ে থাকে।তার মধ্যে বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এ যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে সেগুলো নিয়েই আজকে আমরা জানবো।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ
এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)
অনলাইন বিজ্ঞাপন
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং
এফিলিয়েট মার্কেটিং
কন্টাক্ট মারকেটিং
ইনবাউন্ড মার্কেটিং
অনলাইন প্রেস রিলিজ
এসইও(SEO):সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এসইও।এসইও পূর্ণরূপ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (search engine optimisation)। সংক্ষেপে এসইও(SEO) বলা হয়।
এসইও SEO কি
এসইও হচ্ছে আমাদের অ্যাপস বা ওয়েবসাইট গুলোকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন অর্থাৎ গুগল বিনং ইয়াহু এই সার্চ ইঞ্জিন ফ্রেন্ডলি করে তোলার যে প্রক্রিয়া বা পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকি তাকে আমরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও বলতে পারি।
মনে করুন একটি গান ডাউনলোড করতে চান, তাহলে আমরা সাধারণত যে কাজটি করি তা হল google এ আমরা ঐ গানের লাইনটি লিখে search করি। এখন লক্ষ্য করুন আমরা search button press করার পর google কিছু website এর নাম দেখায় যেখানে আমরা ঐ গানটি পেতে পারি। এভাবে google প্রতি page এ ১০টি ওয়েরসাইটএর নাম দেখায়।
এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে কেন কিছু সাইট প্রথম পেজে আসলো, আর কেনইবা বাকি ওয়েবসাইটগুলো পেছনের পেজে গেলো - google কি ইচ্ছা মত করছে নাকি এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে?
নিশ্চয় প্রথম পেজের সাইটগুলোর মধ্যে বিশেষ কিছু আছে, যা অন্য সাইটগুলাতে নাই। এই বিশেষ কিছুই হল seo এর কৌশল, যার মাধ্যমে আপনিও আপনার ওয়েবসাইটটিকে প্রথম পেজে নিতে পারেন। আর প্রথম পেলে আনতে পারলে এখান থেকে আপনি ফ্রিতে অনেক ভিজিটর পাবেন।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও আবার দুই প্রকার:
অন পেজ এসইও
অফ পেজ এসইও
অন পেইজ: অনপেজ এসইও হল ওয়েবসাইটের ভিতরে যে কাজগুলো করতে হয় তাকে অন পেজ এসইও বলে। অনেকে একে টেকনিক্যাল এসিও বলে থাকে।
অফ পেজ: অফ পেজ এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইটের বাইরের কাজ। ওয়েবসাইটে পরিচিত লাভ করা বিভিন্ন লিঙ্ক বিল্ডআপ করাই হচ্ছে অন পেজ এসইও।
অনলাইন বিজ্ঞাপন
অনলাইন বিজ্ঞাপন হচ্ছে আমরা অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বা সেবা বিক্রি বা প্রচার-প্রচারণা করার উদ্দেশ্যে যে ধরনের বিজ্ঞাপন বা এডভার্টাইজিং ক্যাম্পেইন পরিচালনা করে থাকি সেটাই মূলত অনলাইন বিজ্ঞাপন বা এডভার্টাইজিং।
অনলাইন বিজ্ঞাপন/এডভার্টাইজিং ট্রেডিশনাল বিজ্ঞাপন গুলোর এর মত না। এটা আসলে ভিজিটর অ্যাকশন নেয় অর্থাৎ যখন কোন ভিজিটর কোন এডে ক্লিক করে তখনই মূলত যারা অ্যাড করে তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট এমাউন্ট পেয় করতে হয়।
এই অনলাইন বিজ্ঞাপন মূলত বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। যেমন:
ডিজিটাল মার্কেটিং
Cost Per Click (CPC)
Cost Per Action (CPA)
Cost Per View (CPV)
Display Marketing
Cost Per Click (CPC)
CPC(cost per click) হচ্ছে ভিজিটর যখন কোন এডে ক্লিক করবে এবং যখন সেই ওয়েবসাইট ভিজিট করবে তখনই মূলত যারা অ্যাডভারটাইজার তাদেরকে নির্দিষ্ট একটি এমাউন্ট পে করতে হয়।
Cost Per Action (CPA)
Cost Per Action কথাটা আর মানে হল "প্রতিটার কাজের জন্য টাকা"। এখানে কেউ একটা কিছু কাজ করবে তার বিনিময়ে আপনি কিছু টাকা পাবেন।
Cost Per Action একধরনের এডভ্যাটাইজিং মেথড । বা এমন একটা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, যেটার মাধ্যমে আপনি কোনো পন্য বিক্রির পাশাপাশি ছোট কোনো কাজ যেমন ইমেইল সাবমিট বা ডাউনলোড ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
একটা উদাহরন দেওয়া যাক, আমার একটা দোকান আছে, এবং আপনি আমার দোকান এর জন্য একজন কাস্টমার নিয়ে আসলেন, এর জন্যই আপনি আমার থেকে একটা কমিশন পাবেন, এখন কাস্টমার আমার দোকান থেকে কিছু না কিনলেও আপনাকে একটা কমিশন দেওয়া হবে । এটাই হচ্ছে সিপিএ মার্কেটিং বা Cost Per Action।
Cost Per View (CPV)
Cost Per View বা CPV কোনও বিজ্ঞাপন থেকে প্রাপ্ত ভিউ সংখ্যার ভিত্তিতে ভিডিও বিজ্ঞাপনের জন্য চার্জ করার একটি পদ্ধতি। সিপিভি বিজ্ঞাপনের সুযোগগুলি ই-কমার্স মার্কেটার তাদের টার্গেট করা ক্লায়েন্টদের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করে,যা তাদের সচেতনতা প্রসারিত করার ব্র্যান্ডগুলির জন্য উপযুক্ত বিবেচনা করে।
Display Advertising
আমরা যখন কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করি তখন কিন্তু আমরা সেই ওয়েবসাইট এর ফুটারে বা ওয়েবসাইটের সাইডবারে অনেক ধরনের ব্যানার অ্যাড দেখতে পাই এটা মনে হচ্ছে মূলত ডিসপ্লে এডভার্টাইজিং(Display Advertising)।
আর আমরা যদি অফলাইনে চিন্তা করি আমরা রাস্তায় বিভিন্ন ধরনের বিলবোর্ড দেখতে পাই। কিন্তু যখন আমরা অনলাইনে এই ধরনের এড দেখি তখন সেটা হয় ডিসপ্লে এডভার্টাইজিং।
অনলাইন বিজ্ঞাপন কি? অনলাইন বিজ্ঞাপন কিভাবে কাজ করে?
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার ও কি কি?
Digital marketing Bangla tutorial
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
"সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং" হ'ল কোনও পণ্য বা পরিষেবা প্রচারের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ওয়েবসাইটগুলির ব্যবহার।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমান সময়ে সবচেয়ে পপুলার এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটিং ক্যাটাগরি। আর সোশ্যাল মিডিয়া বলতে Facebook, Instagram, Twitter, LinkedIn, Pinterest, YouTube Snapchat. এছাড়াও আরো অনেকগুলো সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে। আর এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করাটাই হচ্ছে সোশল মিডিয়া মারকেটিং।
এই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো হচ্ছে একেকটা একেক রকম। ফেসবুক একরকম, টুইটার একরকম, ইউটিউব আরেক রকম সবগুলোরে আলাদা আলাদা নিয়ম রয়েছে। তাই যে কেউ এই সোশ্যাল সাইট গুলো সঠিক ব্যবহার করতে পারেন। তাই এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটারদের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে।
ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় মার্কেটিং প্রসেস। এই ইমেইল মার্কেটিং এর একটি অংশ হচ্ছে solo ads! ধরুন কেউ ইমেইল কালেক্ট করে। হয়তো তার কোন ওয়েটলস্ট রিলেটেড কোন ওয়েবসাইট আছে সেখানে তারা হাজার হাজার ইমেইল কালেক্ট করা হয়েছে। এখন সে তার সেই মেইল গুলো সেল করবে এই প্রক্রিয়াটি হচ্ছে solo ads।
এখানে ইমেইল কেনা বা সেল করা বলতে তার কালেক্ট করা ইমেইল গুলোতে একটি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা। অর্থাৎ তার হয়তো এক লক্ষ ইমেইল রয়েছে সেই ইমেইল গুলোতে একটি নির্দিষ্ট ইমেইল সেন্ড মার্কেটিং করাই হচ্ছে মূলত solo ads.
আমরা যদি আমাদের ওয়েবসাইটের ইন্টার প্রসেস বা অ্যাপসের ইন্টার প্রসেস এর মাধ্যমে ভিজিটর দের কাছ থেকে মেইল কানেক্ট করি এবং পরবর্তীতে তাদের কে একটা ফলোআপ ইমেইল করি সেটাই হচ্ছে মূলত ইমেইল মার্কেটিং।
ইমেল মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তার কারণগুলি হল অপেক্ষাকৃত কম খরচে এবং দ্রুত এক বিশাল সংখ্যক সম্ভাব্য ক্রেতাদের মধ্যে এটি ছড়িয়ে দেওয়া যায়৷ বিনিয়োগের সাফল্যের উপর অনেক বেশি নজর রাখা যায়৷
আর তাই অনলাইন মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে ইমেল মার্কেটিং সবথেকে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়৷ ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য ইমেল বার্তাগুলিতে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়৷ এমনকি বার্তাগুলির প্রত্যুত্তরের উপর নির্ভর করে ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নেওয়া সহজ হয়৷
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এমন এক ধরনের কর্ম-দক্ষতাভিত্তিক মার্কেটিং প্রক্রিয়া যেখানে এক বা একাধিক মার্কেটাররা একটি নির্দিষ্ট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত হয়ে ঐ প্রতিষ্ঠানের জন্য গ্রাহক বা ক্রেতা জোগাড় করেন। পরবর্তীতে সেই প্রতিষ্ঠান ঐ মার্কেটারকে কিছু অর্থ প্রদান করে থাকেন এই গ্রাহক বা ক্রেতাদের উপর ভিত্তি করে। এই ধরনের মার্কেটিং ব্যবস্থায় চারটি প্রধান ভিত্তি রয়েছেঃ
ব্যবসায়ীগণ (যারা খুচরা বিক্রেতা বা ব্র্যান্ড নামেও পরিচিত),
অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক (যেখানে ব্যবসায় মালিক এবং বিপণনকারী বা অ্যাফিলিয়েটরা এসে মিলিত হয়),
প্রচারক (বিপণকারী বা মার্কেটার)
এবং গ্রাহক।
ইমেইল মার্কেটিং ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়েছে মুলত মাধ্যমিক স্তরের প্রতিযোগী, বিশেষ করে ব্যবস্থাপনা সংস্থা, সুপার-অ্যাফিলিয়েট এবং বিক্রেতা বা সরবরাহকারীদের উত্থানের ফলে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে আমাদের নিজেদের কোন প্রোডাক্ট নেই অথচ আমরা অন্য কারো প্রোডাক্ট সেল করে সেখান থেকে একটা কমিশন পাই, এই কমিশন পাওয়াটাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং।
আমাদের কাছে এটা একটা মানি মেকিং প্রসেস হতে পারে। কিন্তু যারা এটা পরিচালনা করে বা যে কোম্পানিটা প্রোডাক্টগুলো সেল করছে তাদের জন্য এটা একটা ডিজিটাল মিডিয়া। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিংও ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অংশ।
আমি এর মধ্যেই একটি পোষ্টে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি সেটা পড়তে পারেন।
অ্যাফিলিয়েড মার্কেটিং কি?কিভাবে আফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হয়?
কনটেন্ট মার্কেটিং
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জনপ্রিয় এবং কার্যকারী মার্কেটিং হচ্ছে কনটেন্ট মার্কেটিং। one of the most powerful marketing বলা হয় এই কনটেন্ট মার্কেটিং কে। কনটেন্ট বলতে মূলত ব্লগ পোস্ট,ইমেজ বা ভিডিও এগুলোকেই বুঝিয়ে থাকে। চলুন দেখে নেই জনপ্রিয় কয়েকটি কনটেন্ট মার্কেটিং।
ব্লগপোস্ট
ইমেজ
ভিডিও
ইনফোগ্রাফিক
ব্লগপোস্ট: ব্লগপোষ্ট হয়তো আমরা সকলেই বুঝি। আমরা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের যে পোস্টগুলো দেখি থাকি সেগুলো হচ্ছে ব্লগপোস্ট। এবং কি আপনারা যে এই পোস্টটি পড়তেছেন এটিও কিন্তু একটি ব্লগ পোষ্ট। এছাড়াও গেস্ট হিসেবে নিজের ওয়েবসাইটে ছাড়াও অন্যান্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোতে পোস্ট করে মার্কেটিং করাটাই হচ্ছে ব্লগপোস্ট।
ইমেজ: সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে যে সব ইমেজ ব্যাবহার করতে দেখি বা আমরাই নিজেরা বিভিন্ন পোস্ট করার জন্য যে ইমেজ গুলো কালেক্ট করি বা ব্যবহার করে থাকি সেগুলোই হচ্ছে ইমেজ কন্টাক্ট ।
ভিডিও: ভিডিও কন্টাক্ট মারকেটিং হচ্ছে ইউটিউবে জন্য বা অন্যান্য ভিডিও শেয়ারিং সাইট গুলোর জন্য যে ভিডিও গুলো আমরা বানাই সেটাই হচ্ছে ভিডিও কনটেন্ট মার্কেটিং। প্রত্যেকটা জিনিস এরি তো একটা কারণ থাকে হয়তো আমরা ভিডিও ক্রিয়েট করছি ভিজিটর কালেক্ট করার জন্য তা কোন প্রোডাক্ট সেল করার জন্য। সে ক্ষেত্রে এই ভিডিওটাই হচ্ছে একটা কনটেন্ট ।
ইনফোগ্রাফিক্স: ইনফোগ্রাফিক্স হচ্ছে কোনো একটা নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর গ্রাফিক্যাল প্রেজেন্টেশন।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং
সহজ ভাবে ইনবাউন্ড মার্কেটিং হ'ল সম্ভাব্য গ্রাহকদের আপনার কম্পানি খুঁজে পেতে সহায়তা করার প্রক্রিয়া। গ্রাহক কোনো পণ্য ক্রয় করার আগে এটি প্রায়শই ঘটে যে প্রাথমিকভাবে যোগাযোগ করা ব্র্যান্ডের পছন্দের পণ্য এবং প্রোডাক্টের ডেলিভারি হওয়ার পর অনেক সময় দেখা যায় যে তিনি যেই পণ্যটি পছন্দ করেছেন সেইই পণ্যটি তিনি পাননি।
ইনবাউন্ড মার্কেটিং এমন একটি কৌশল যা সেই ক্রেতাদের সচেতনতা তৈরি করতে এবং কম্পানির নতুন পন্যের উপর আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরণের পুল মার্কেটিং — সামগ্রী মার্কেটিং, ব্লগ, ইভেন্টস, এসইও, সামাজিক মিডিয়া এবং আরও অনেকগুলি মাধ্যম ব্যবহার করে। মা ক্রেতাদের পছন্দের পণ্যের মান ঠিক রাখতে কাজ করে থাকে।
বহির্মুখী মার্কেটিং গ্রাহকদের সন্ধান করার ক্ষেত্রে, ইনবাউন্ড মার্কেটিং দৃশ্যমানতার দিকে মনোনিবেশ করে, ফলে আপনার সম্ভাব্য ক্রেতারা আপনার কাছে আসে। এর পাশাপাশি ক্রেতাদের সচেতনতা বৃদ্ধি, তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং নেতৃত্ব তৈরির দিকে মনোনিবেশ করা জন্য ইনবাউন্ড মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অনলাইন প্রেস রিলিজ
অনলাইন প্রেস রিলিজ আপনার ব্যবসাকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, লিঙ্ক বিল্ডিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং কন্টেন্ট কৌশল হিসাবে বিভিন্ন মার্কেটিং কৌশলগুলির মাধ্যমে প্রচার করতে পারে। অনলাইনে প্রেস রিলিজ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়ের প্রচার প্রচারণা করার অনেক উপকারীতা রয়েছে।
অনলাইন প্রেস রিলিজ ব্যবসায়ের সাথে সম্পর্কিত এবং আপনার ব্যবসা থেকে প্রকাশিত তথ্য গুলোর প্রতি বিশ্বাসযোগ্য গড়ে তুলতে সাহায্য করে ( এক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই কখনই ভুল তথ্য প্রকাশ করা উচিত নয়)।আপনার প্রেস রিলিজগুলি অন্যান্য অনলাইন নিবন্ধের বিষয়ের ভিত্তি হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
আপনার প্রেস রিলিজ মিডিয়া আউটলেটগুলি যে উপাদানগুলি তুলে নেয় তা উদ্ধৃত করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। অনলাইন রিলিজ ব্লগার বা সোশ্যাল মিডিয়া উত্সাহীদের লিঙ্ক করার জন্য কাজ করতে পারে।
এটি কেবল অনলাইনে আপনার ব্র্যান্ডের বা পন্যের জন্য বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নির্ভরযোগ্যতা প্রতিষ্ঠা করবে না, বরং অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলি (ব্লগ, নিউজ সাইট, শিল্প সাংবাদিক, ইত্যাদি) যখন তথ্যটি গ্রহণ করে এবং আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, বা প্রেস রিলিজের সাথে এটি লিঙ্ক তৈরি করে, যা আপনার পণ্য বা সংস্থাকে জনপ্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই লিঙ্ক তৈরি ফলে,,,
আরও বেশি লোক আপনার ব্যবসায় সম্পর্কে পড়ার সুযোগ পাওয়ায় সম্ভাবনা বাড়ছে।
আপনার লিঙ্ক বিল্ডিংয়ের প্রচেষ্টাগুলি প্রতিবার নতুন সাইটের লিঙ্ক আপনার পন্য এগুলোকে জনপ্রিয় করতে সহায়তা করেছে।
আপনার প্রেস রিলিজটি বড় ফোরাম এবং রেডডিট বা ডিগের মতো তথ্য সাইটে পোস্ট করা যেতে পারে বা ফেসবুক, টুইটারের মতো সামাজিক মিডিয়া সাইটগুলির মাধ্যমে ভাইরাল হতে পারে এই অনলাইন প্রেস রিলিজ এর মাধ্যমে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা অনেকটাই বুঝতে পেরেছি যে Digital Markeating সুযোগ সুবিধা কি? তার পর কিছু উদাহারন তুলে ধরলাম।
Digital Marketign এর সুবিধা সমূহ নীচে আলোচনা করা হল:
১।Digital Marketing এর মাধ্যমে ঘরে বসেই বাবসা পরিচালনা করা যায়।
২। মার্কেট রিসার্চ করে পণ্য ক্রয় বিক্রয় করা যায়।
৩।ঘরে বসেই কাস্টমারের কাছে পণ্য সম্পর্কে জানানো যায়।
৪। টার্গেট কাস্টমার বের করা যায় এবং প্রোডাক্ট সেল করা যায়।
৫। অল্প খরচে পণ্যর মার্কেটিং করা যায়।
৬।ব্যবসার গতিবিধি খুব সহজে বুঝা যাজায়।
৭।কম খরচে অধিক মুনাফা অর্জন করা যায়।
৮।জন শক্তি কম লাগছেন।
Digital Markeging এর মাধ্যমে সবচাইতে বেশি মানুষের কাছে পণ্যের প্রচার করা যায় এবং ব্যবসায়িক সফলতা পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ের উপর ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রভাব কেমন?
আপনি একটু ভেবে দেখুন তো, আপনি যে Traditional Markeing ( প্রচলিত মার্কেটিং) জেমনঃ পোস্টার/ব্যানার/লিফলেট/বিলবোর্ড/মাইকিং/টিভি বা রেডিও বিজ্ঞাপন/পত্রিকা বিজ্ঞাপন/দেয়াল লিখন/অফিস ভিজিট ইত্যাদি করছেন এতে কি, আপনি টার্গেট কাস্টমার পাছেন?
অথবা কতটা সময় এবং অর্থ বাঁচেন পারছেন।লোকবল কতটা কমে এই প্রচলিত মার্কেটিং করতে পারছেন।আদও হচ্ছে না, এই প্রচলিত মার্কেটিং এ যেমন খরছ বেশি তেমনি জনশক্তি বেশি লাগে।
ধরুন, আপনি শুধুমাত্র ছেলেদের পণ্য বিক্রি করবেন এবং ২০-২৮ বছর এর বয়সীদের জন্য অথবা একটা রেস্টুরেন্ট দিয়েছেন উত্তরাতে আপনি মার্কেটিং করেতে চান শুধু উত্তরা এলাকার সেক্ষেত্রে আপনি Traditional Marketing ( প্রচলিত মার্কেটিং) কতটা সেল করতে পারবেন।
Traditional Marketing পদ্ধতিতে বিজ্ঞাপন এর খরচ অনেক বেশি এবং সব ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে এখানে বিজ্ঞাপন দেয়া সম্ভব নয়। সুতরাং আপনি বুঝতেই পারছেন, প্রচলিত মার্কেটিং এর সমস্যাগুলো কতটুকু।
কিন্তু Digital Marketing পদ্ধতিতে, আপনি অনলাইন এ E-Shop খুলতে পারবেন, টার্গেট করে Advertising করতে পারবেন।দেশের যে কোন প্রান্তের মানুষকে টার্গেট করে পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন। Customar Data Collect করতে পারবেন পরবর্তীতে, নতুন নতুন অফারগুলো খুব সহজেই তাদের কাছে ফ্রী Advertising করতে পারবেন।
বর্তমানে ইন্টারনেট সেবা ও স্মার্ট ফোন প্রতান্ত অঞ্চলেও ছরিয়ে পরেছেন, মানুষ টিভি এখন কমি দেখে, আমার কথাই বলি লাস্ট কবে আমি টেলিভিশন দেখেছি বলতে পারব না তবে ইন্টারনেট তথা Social Media তে দিনে নাও হলে ৩ থেকে ৫ ঘনটা থাকতে হয়। দেয়াল লিখন বতমান যুগে সেকেলের এটা কম মানুষই দেখে তার উপর দেখা যায় To-Let লাগান।
লিফলেট এর কথা যদি বলেন তাহলে দেখবেন হাতে নিয়েই ফেলে দেয়। সে ক্ষেত্রে একজন মার্কেটার হিসেবে অথবা ব্যবসায় প্রসারের জন্য, আপনাকে অবশ্যই Digital Marketing পদ্ধতি গ্রহণ করা উচিত।
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার হিসেবে কেমন
বর্তমানে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা প্রাইভেট কোম্পানি তাদের পণ্য এবং সার্ভিসের প্রচার প্রসারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যাম্পেইন্স করে আসতেছে। এই মার্কেটিং ক্যাম্পেইন্স গুলো জন্য কোম্পানিগুলো লক্ষ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। আর এই ক্যাম্পেইন গুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য কোম্পানিগুলোর দরকার হয় প্রচুর পরিমাণে দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটারের।
বর্তমানে প্রায় প্রত্যেকটা প্রাইভেট কোম্পানির একটি ডিজিটাল মার্কেটিং টিম রয়েছে। এখানে আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্কিল গুলো বিল্ডআপ করে একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটিং হয়েবে কাজ করতে পারেন,নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারেন । এবং কি খুব ভালো পরিমাণের সেলারি দিয়ে কাজ করতে পারেন।
কেননা বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা প্রচুর। আপনি যদি BDJOBS এ গিয়ে সার্চ দেন তাহলে দেখবেন যে 50 টি ক্যাটাগরির মধ্যে প্রায় 20 থেকে 25 টি ক্যাটাগরিতেই ডিজিটাল মার্কেটারদের খুজতেছে। বুঝতে পারতেছেন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে।
এটাতো বাংলাদেশের ভিতরে। আপনি যদি একজন দক্ষ ডিজিটাল মার্কেটিং হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস প্রচুর কাজ রয়েছে। এখানে নিয়মিত বাংলাদেশের ডিজিটাল মার্কেটাররা কাজ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে। নিজেদের ক্যারিয়ার তৈরি করছে। কেউ আর চাকরির পিছনে ছুটছে না।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রচুর ডিজিটাল মার্কেটার রয়েছে যারা নিজেদেরই ডিজিটাল মার্কেটিং এর এজেন্সি খুলেছে এবং অন্যান্য প্রাইভেট কোম্পানির মার্কেটিং করে দিচ্ছে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার খুবই ভালো এবং কার্যকারী একটি ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়, নতুনদের জন্য অবশ্যই জানা প্রয়োজন
কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের সাথে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংকে নিজের আয়ত্বে আনতে পারবেন। তবে সুসংবাদটি হল ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ হওয়ার জন্য আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠানে পড়তে হবে না বা কোর্স করতে হবে না।
গুগলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায় খুঁজে খুঁজে যারা হয়রান, আজ কোর্সটিকায় তাদের জন্য দারুণ একটি পোস্ট হতে চলছে। আজ আমরা কোর্সটিকায় আলোচনা করবো, ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার সবগুলো উপায়। পাশাপাশি আরো জানবো, ডিজিটাল মার্কেটিং এ ভালো করার আপডেট সব তথ্য।
ডিজিটাল মার্কেটিং হল সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং পিপিসি বিজ্ঞাপনের মতো এক বা একাধিক মার্কেটিং চ্যানেল (মাধ্যম) ব্যবহার করে ইন্টারনেটে পণ্য বা পরিষেবাদি প্রচার ও বিক্রয় করার প্রক্রিয়া। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্র্যান্ডে আগ্রহী ক্রেতাদের সন্ধান করতে পারেন, তাদের সাথে আলাপচারিতা করতে এবং গ্রাহক হওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রচলিত ডিজিটাল মার্কেটিং এর উদাহরণ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, পিপিসি মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এবং ইমেল মার্কেটিং।
যখনই আপনি কোন কোম্পানির মালিক হবেন, অথবা ব্যবসার CEO হবেন তখনই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আপনাকে সচেতন হতে হবে। আপনার বিক্রি বাড়াতে কিংবা ক্রেতাদের কাছে পণ্যের জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে দিতে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে উঠবে।
বর্তমানে বিশ্বের নামীদামি সব সংস্থা তাদের অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে পণ্যের ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভরশীল। কারণ, একমুখী বিজ্ঞাপনের পুরাতন পদ্ধতিগুলো এখন আর কাজ করে না। যার ফলে ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করে অনলাইন গ্রাহকদের সাথে দ্বি-মুখী যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। কেননা এখনকার সময়ে ক্রেতাদের বড় একটি অংশই অনলাইন বা ইন্টারনেট থেকে আসে।
আপনি যদি মনে করেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার প্রতিদিনের কাজগুলোর মতো একটি অপরিহার্য কাজ নয়, তাহলে তা অবশ্যই আপনার ব্যবসার জন্য ক্ষতিকারক হবে। আপনি যখনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইট, পোস্ট, শেয়ার বা মন্তব্য করছেন, তখনই আপনি নিজেকে মার্কেটিং করছেন এবং অনলাইনে আপনার নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করছেন।
আপনি যদি আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত কোন কাজ ইমেলের মাধ্যমে প্রচার করেন, কিংবা কোন অনলাইন বিজ্ঞাপন সংস্থার কাছে জমা দেন, তাহলে ধরে নিন সক্রিয়ভাবে আপনিও ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত।
কীভাবে একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হওয়া যায়, তা শিখে এর জ্ঞান আপনি ব্যক্তিগতভাবে অথবা পেশাগতভাবে ব্যবহার করতে পারেন এই দক্ষতাগুলো আপনাকে আপনার ব্যবসার প্রচারণা বৃদ্ধিতে আরো সাহায্য করবে। পাশাপাশি বেশি বেশি সেল জেনারেট করতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
ঘরে বসেই কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন
একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে হলে আপনাকে অনলাইনভিত্তিক সকল প্রযুক্তির সাথে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর এগুলো একদমই কঠিন কিছু না। আপনি যদি বিভিন্ন প্রকার সোশ্যাল মিডিয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকেন এবং জানেন কিভাবে সেগুলো ব্যবহার করতে হয়, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক কৌশলই আপনি নিজে থেকে আয়ত্বে আনতে পারবেন।
কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের সাথে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংকে নিজের আয়ত্বে আনতে পারবেন। তবে সুসংবাদটি হল ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ হওয়ার জন্য আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠানে পড়তে হবে না বা কোর্স করতে হবে না।
কোর্সটিকায় আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার এমন কিছু প্রাথমিক পদ্ধতি তুলে ধরব, যেগুলো অনুসরণ করে আপনি নিজের বাড়িতে থেকে আপনার দক্ষতা অর্জন করতে এবং তৈরি করতে পারেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য নিচের ৫ টি বিষয়গুলোর ওপর আপনার ভালো ধারণা থাকতে হবে:
- Search Engine Marketing
- Content Marketing
- Social Media Marketing
- Email Marketing
- Digital Marketing Analytics Tools
1. Search Engine Marketing
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি প্রধান উপাদান। বিভিন্ন প্রকার সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজ বা SEO করে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং পরিচালনা করা হয়। কখনো কখনো Google Ads অথবা Bing Ads এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হয়।
SEO হচ্ছে ওয়েবসাইট গুগলে র্যাঙ্ক করার একটি বহুল প্রচলিত প্রকৃয়া, যার ফলে কেউ নির্দিষ্ট কোন একটি বিষয় নিয়ে গুগলে সার্চ করলে নিজের ওয়েবসাইট ভিজিটরের সামনে নিয়ে আসা যায়।
অনলাইন মার্কেটিং এ SEO খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটি আপনার ওয়েবসাইটে টার্গেট করা ট্র্যাফিক বা ভিজিটর এনে দিতে পারে। যদিও পেইড বিজ্ঞাপনের চেয়ে SEO একটি ধীর প্রক্রিয়া। তবে এটি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য দীর্ঘমেয়াদী ফলাফল এতে দিতে সক্ষম।
কোর্সটিকায় Search Engine Optimization (SEO) নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং সহজভাবে শিখিয়েছি কিভাবে SEO করতে হয়। নিচের বাটনে ক্লিক করে SEO শিখে নিন।
SEO শিখুন
2. Content Marketing
প্রতিটি ডিজিটাল মার্কেটিং প্রচারের বিষয়বস্তু বা কনটেন্টের উপর ভিত্তি করে। এটি SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, বা ইমেল মার্কেটিং যাই হোক না কেন, বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে আপনার লক্ষ্য করা গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর এবং তাদের সাথে জড়িত থাকার অনিবার্য একটি অংশ।
কন্টেন্ট মার্কেটিং হল লিখে অথবা ভিডিও বা এনিমেশন তৈরি করে পণ্যের প্রচার করা।
একজন কনটেন্ট মার্কেটার তার পণ্যের প্রচারণা আর্টিকেল লিখে প্রচার করতে পারে। অথবা চাইলে তার ওপর একটি ভিডিওচিত্র তৈরি করেও প্রচারণা চালাতে পারে। যা কনটেন্ট মার্কেটিং এর অংশ।
এতজন ভালো কনটেন্ট মার্কেটার হওয়ার জন্য আপনার দুর্দান্ত লেখার দক্ষতা, এসইও কপিরাইটিং দক্ষতা এবং বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা থাকতে হবে। নিচে দেয়া বাটনে ক্লিক করে আপনি কনটেন্ট মার্কেটার হওয়ার সবগুলো ধাপ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
কনটেন্ট মার্কেটিং শিখুন
3. Social Media Marketing
আমি মনে করি যে, সকলেই একটি বিষয়ের সাথে একমত আজকাল ফেসবুক বা টুইটার ছাড়া একটি পৃথিবীকে কল্পনা করা প্রায় অসম্ভব।। বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠিত সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কগুলো আমাদের জীবনে এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এ আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর বিশেষ প্রভাব বিস্তার করছে।
যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং এর লক্ষ্য হচ্ছে অনলাইনের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা, তাই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য শাখা হিসেবে প্রাধান্য পাচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফরম ব্যবহার করে অনলাইনে থাকা মানুষের কাছে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচারণার নামই হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। আমরা সময় কাটানো, বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন কিংবা চিত্তবিনোদনের জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি।
আর সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং মার্কেটিং মূলত এই সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে কেন্দ্র করেই হয়ে থাকে। কারণ এর মাধ্যম যেখানে আমরা ইন্টারনেটে সক্রিয় থাকা লোকেদের কাছে নিজের পণ্য বা সার্ভিস প্রচার করতে পারি এবং তাদের কাছে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিতে পারি।
যেহেতু বিশ্বব্যপি বেশকিছু সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে, তাই এই মার্কেটিং এ ভালো করতে হলে সর্বাধিক প্রচলিত প্লাটফরমটিকেই বেছে নিতে হবে। কোর্সটিকায় Social Media Marketing নিয়ে তথ্যবহুল একটি আর্টিকেল রয়েছে। নিচে দেয়া বাটনে ক্লিক করে আপনি খুব সহজেই লেখাটি পড়তে পারেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শিখুন
4. Email Marketing
ইমেল মার্কেটিং বিলুপ্ত হয়ে যায়নি। ইমেল মার্কেটিং এখন আর ফলপ্রসূ নয়, এমনটি যারা ভাবেন, তাদের জন্য অবাক করা তথ্য হচ্ছে বিশ্বজুড়ে এখন প্রতিদিন ইমেল মার্কেটিং এর ওপর বিলিয়ন ডলারের কাজ হয়।
বর্তমান সময়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা এবং প্রোডাক্ট সম্পর্কে সচেতন করার জন্য ইমেল মার্কেটিং বেশ কার্যকরী। তবে একজন ইমেল মার্কেটার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই এর কিছু দুর্দান্ত কৌশল জানতে হবে। অন্যথায় আপনার ইমেলগুলো আপনার ব্যবহারকারীর স্প্যাম ফোল্ডারেই গিয়ে জমা হবে।
ইমেল মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনাকে প্রথমে এর কিছু টুলস ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং তারপরে এটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শিখতে হবে। চিন্তার কোন কারণ নেই। কোর্সটিকায় আমরা আপনাকে শেখাবো কিভাবে একজন সফল ইমেল মার্কেটার হওয়া যায়। নিচে দেয়া বাটনে ক্লিক করলে আপনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ইমেল মার্কেটিং শেখার সকল কৌশল।
ইমেল মার্কেটিং শিখুন
5. Digital Marketing Analytics Tools
ডিজিটাল মার্কেটারদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের বিভিন্ন মার্কেটিং Marketing Analytics Tools এর ওপর দক্ষতা থাকতে হয়।
এটি অবশ্যই মনে রাখবেন যে, একজন সুদক্ষ ডিজিটাল মার্কেটারের কাজ শুধু এসইও বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন পরিচালনা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি এসইও বিশেষজ্ঞ বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবস্থাপকের কাজ। সুতরাং একজন পেশাদার ডিজিটাল মার্কেটারের কাজ হচ্ছে ক্রেতার অবস্থান, পছন্দ ও আগ্রহ বুঝে পণ্যের টার্গেট নির্ধারণ করা। যা বিভিন্ন প্রকার Analytics Tools এর মাধ্যমে সম্ভব।
আর এটি আয়ত্বে আনতে আপনাকে Google Analytics এবং Google Search Console এর মতো বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষণ টুলস কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শিখতে হবে। কোর্সটিকায় আপনি Google Analytics এর ওপর দারুণ সব টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। নিচে দেয়া বাটনে ক্লিক করে জেনে নিন সবকিছু।
GOOGLE ANALYTICS শিখুন
শেষ কথা
আমি নিশ্চিত যে এতক্ষণে আপনি এখনই বুঝতে পেরেছেন, ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা কোনও সহজ কাজ নয়। প্রতিটি কৌশল কীভাবে আলাা আলাদা কাজ করে এবং সর্বাধিক ফলাফলের জন্য কীভাবে আপনি তাদের একত্রিত করতে পারেন তা জানতে প্রচুর পড়া এবং প্রচুর অনুশীলন প্রয়োজন।
তবে সুসংবাদটি হল ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ হওয়ার জন্য আপনাকে কোন প্রতিষ্ঠানে পড়তে হবে না বা কোর্স করতে হবে না। কঠোর পরিশ্রম এবং ধৈর্যের সাথে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংকে নিজের আয়ত্বে আনতে পারবেন। আপনার যা যা দরকার তা হল শেখার ইচ্ছা এবং প্রচুর ধৈর্য।
সবশেষে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পথ আরো বেশি মসৃণ করতে নিচে দেয়া সংক্ষিপ্ত টিপসগুলো অনুরণ করুন:
এসইও দিয়ে শুরু করুন: পিপিসি, সামগ্রী বিপণন এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং দ্বারা ব্যবহৃত অনেকগুলি ধারণা এসইও নীতির উপর ভিত্তি করে। প্রথমে আপনার এসইও দক্ষতা তৈরি করা শিখতে আরও সহজ করে তুলবে।
প্রাকটিস, প্রাকটিস, প্রাকটিস: ইন্টারনেট মার্কেটিং কোন তাত্ত্বিক ধারণা নয়। এটি বেশিরভাগই ব্যবহারিক। একবার আপনি কৌশলটির পিছনে তত্ত্বটি বুঝতে পারলে বাস্তবে এটি কার্যকর করার চেষ্টা করুন। ফলাফলগুলো নিরীক্ষণ করুন। একবার ব্যর্থ হলে কি কি ভুল আছে, তা শোধরানোর চেষ্টা করুন।
সম্ভব হলে Certificate নিন: আপনার শেখার মাধ্যমে আপনি যে অগ্রগতি লাভ করছেন, তার স্বীকৃতি স্বরূপ Certificate নিন। এটি আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের একটি দুর্দান্ত উপায়। বিভিন্ন সংস্থা থেকে আপনি কোর্স করে প্রশংসাপত্র সরবরাহ করতে পারেন। Certificate অর্জন করা অবশ্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। তবে সম্ভব হলে অবশ্যই করে নিন।
অভিজ্ঞদের সাথে কাজ করুন: অভিজ্ঞ ডিজিটাল মার্কেটারদের অধীনে কিছুদিন কাজ করুন। প্রয়োজন হলে বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করুন। এর ফলে তাদের কৌশলগুলো আপনি শিখতে পারবেন। বাস্তব শিক্ষা আপনাকে এতটা পারদর্শী করে তুলবে, যা কোন কোর্স বা বই পড়ে আপনি জানতে পারবেন না।
নিজের একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন: কাজের দক্ষতা এবং রেকর্ড প্রদর্শের জন্য নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। আপনি এখন পর্যন্ত কি কি কাজ করেছেন, কাদের সাথে কাজ করেছেন, সফলতা… এসবকিছু আপনার পোর্টফোলিওতে যুক্ত করুন। এর ফলে বায়ার আপার প্রফেশনাল প্রোফাইল দেখে আকৃষ্ট হবে। একটি ওয়েবসাইট তৈরির অর্ডার দিন।
শেখা থামাবেন না: ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি শিল্প যা সর্বদা পরিবর্তিত হয়। তাই এই সেক্টরে কখনোই শেখা থামাবেন না। কখনোই মনে করবেন না যে, আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর সবকিছু জানেন। ডিজিটাল মার্কেটিং এ পেশাদার হিসাবে আপনার কাজ হচ্ছে সর্বশেষ ঘটনাবলীর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার ক্লায়েন্টদের অবহিত করা।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে নতুনদের জন্য পরামর্শ
শিখতে নতুনদের জন্য পরামর্শ:
কী কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান – চাকরির জন্য নাকি ব্যবসার জন্য নাকি ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য, সেটা ঠিক করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কী কী শিখতে হয়, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা নিন।
কোন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে শুরু করবেন, তা ঠিক করুন।
নিজে নিজে শিখবেন নাকি কোনো ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনি আসলেই সময় দিতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হোন।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে নিজেকে আপডেটেড রাখুন।
কী কারণে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান – চাকরির জন্য নাকি ব্যবসার জন্য নাকি ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য, সেটা ঠিক করুন।
একেক জায়গায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ আর শেখার সুযোগ একেক রকম। আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী তাই শেখার ধরনও আলাদা হবে।
আপনি যদি নিজের ব্যবসার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং করতে চান, তাহলে আপনার এক্সপেরিমেন্ট করার স্বাধীনতা বেশি থাকে। তাই কোনো স্কিল একবারে আয়ত্ত না করলেও চলে। দরকার অনুযায়ী নিজের স্কিল ডেভেলপ করতে পারবেন।
আবার ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে খুব নির্দিষ্ট প্রজেক্টে ফোকাস করতে হয়। ভুল করলে সেটা তাৎক্ষণিকভাবে ইনকাম কমিয়ে দিতে পারে। তাই নির্দিষ্ট স্কিল ভালোভাবে আয়ত্ত করে তবেই অন্য স্কিলে সময় দেয়া উচিত।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কী কী শিখতে হয়, সে ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা নিন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কী কী শেখা দরকার, সে ব্যাপারে একদমই জানা না থাকলে স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য সময় বেশি লাগবে। আবার কোন স্কিল কতটুকু আয়ত্ত করা যথেষ্ট, সেটাও জানা জরুরি।
কোন ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে শুরু করবেন, তা ঠিক করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের সব কাজ আপনি একবারে শিখতে পারবেন না। আবার একেক কাজ থেকে ইনকামের সুযোগও আলাদা। তাই যে ক্যাটাগরির স্কিল সবচেয়ে কম সময়ে আয়ত্ত করে ইনকাম নিশ্চিত করতে পারবেন, সে ক্যাটাগরি দিয়েই শুরু করুন।
নিজে নিজে শিখবেন নাকি কোনো ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স করবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিন।
আপনাকেই ঠিক করতে হবে কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখলে আপনার সুবিধা হবে। নিজে নিজে শিখলে হয়তো টাকা খরচ করতে হবে না তেমন। কিন্তু লার্নিং ম্যাটেরিয়াল নিয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি করতে হবে। আবার কোর্স করলে সময়ে বাঁচলেও খরচের ব্যাপার আছে। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার আগে নিজের পরিস্থিতি নিয়ে ভাবুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য আপনি আসলেই সময় দিতে পারবেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হোন।
নিজে নিজে শিখুন বা কোর্স করুন, আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের উপর নিয়মিত সময় দিতে হবে। অন্তত প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আয়ত্ত করতে হবে। তাই প্রতিদিন যদি কমপক্ষে ২-৩ ঘণ্টা সময় ম্যানেজ করতে না পারেন, তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা কঠিন হয়ে যাবে আপনার জন্য।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে নিজেকে আপডেটেড রাখুন।
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে সাফল্য পাবার উপায় নিয়ে আপনাকে প্রতিনিয়ত ভাবতে হবে। সারা বিশ্বের কোম্পানি আর ব্র্যান্ডগুলো কীভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজে লাগাচ্ছে, সেটা জানা থাকলে আপনার প্রোমোশনে নতুনত্ব নিয়ে আসতে পারবেন। তাই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ব্লগ, ভিডিও, সেমিনার, কেস স্টাডিসহ বিভিন্ন রিসোর্স নিয়মিত ব্যবহার করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব
ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। এটি একটি বহুমুখী পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান তার বিজনেসের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে খুব সহজে। চলুন দেখি এই ডিজিটাল মার্কেটিং
কিভাবে একটি প্রতিষ্ঠান জন্য লাভজনক হতে পারে এবং এর গুরুত্ব কি।
খরচ কমায় (Decreases costs)
খরচ কমানোর ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। ডিজিটাল মার্কেটিং এর খরচ ট্রেডিশনাল মার্কেটিং এর খরচের চেয়ে অনেক কম আপনি কম খরচে অধিক সংখ্যক কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে পারবেন এবং আপনার ব্যবসার লক্ষ্য পূরণ করতে পারবেন।
অনলাইন বিক্রয় চালায়(Drives online sales)
যেহেতু ডিজিটাল Marketing মানেই Online Marketing এবং অনলাইনে সংঘটিত হয়। এই কৌশলগুলি স্বাভাবিক ভাবেই অনলাইন বিক্রয় বিক্রির জন্য পরিচালিত হয়। আপনি যদি অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করতে চান, ডিজিটাল Marketing খুব-ই জরুরি।
আয় বৃদ্ধি করে(Increases revenue)
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে উপার্জনের জন্য পেইড এবং অর্গানিক স্ট্যাটিজিক পদ্ধতিতে প্রচারণা চালানো হয় । যার মাধ্যমে রেভিনিউ বৃদ্ধি পায়। আপনার বাজেটের আকার যাই হোক না কেন, ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে আপনার সংস্থার আয় নীচের লাইন থেকে ধীরে ধীরে বাড়ানোর সুযোগ দেয়।
নির্ভুলতার সাথে লক্ষ্যগুলি (Targets with precision)
ডিজিটাল মার্কেটিং চ্যানেলগুলো আপনাকে জনসংখ্যা তথ্য, জনগনের আগ্রহ এবং এমনকি জনগণ কি ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করছে সেটি দ্বারা কাস্টমার দের টার্গেট করে দেয়। এর অর্থ আপনি আপনার মার্কেটিং এর বেশিরভাগ প্রচেষ্টা করে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যক্তির সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন।
প্রসার প্রসারিত করে(Expands reach)
আপনার ব্যবসায়ের আকার যাই হোক না কেন, আপনার ব্যবসাকে ক্রমাগত আপনার টার্গেটেড গ্রাহক এর কাছে প্রচার করতে হবে। এই প্রচার প্রসারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং খুবই প্রয়োজনীয় একটি মাধ্যম। ডিজিটাল মার্কেটিং দেশ জুড়ে এবং বিশ্বজুড়ে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। যাতে করে আপনি আপনার ব্যবসাকে নতুন নতুন বাজারে প্রসারিত করতে পারেন এবং এমনকি বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য করতে পারেন।
ব্র্যান্ড সুনাম তৈরি করে(Builds brand reputation)
আপনার ব্যবসা নতুন হোক আর পুরাতন হক আপনার ব্র্যান্ডকে ক্রমাগত মানুষের কাছে পৌঁছাতে হলে এবং মানুষকে আপনার ব্র্যান্ড সম্পর্কে সচেতন করতে হবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে। যে সকল প্রোডাক্ট অনলাইনে বিক্রি করা হয় সে সকল প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে এবং যে সকল প্রোডাক্ট অনলাইন পেজ নয় তাদের জন্য গ্রাহকদের সচেতনতা খুবই জরুরী এবং আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানাটাও তাদের জন্য জরুরি সে ক্ষেত্রে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার ব্র্যান্ড খ্যাতি বাড়িয়ে দেবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোন সেক্টর সবচেয়ে চাহিদা বেশি থাকে
ডিজিটাল মার্কেটিং হল ১০০ শতাংশ ফলাফল ভিত্তিক একটা মার্কেটিং পদ্ধতি. এই সেক্টরটি বেশ লাভজনক একটি সেক্টর. আমার ধারনা মতে অন্য যে কয়টি সেক্টর আছে তার থেকে সবথেকে বেশি রিলাবেল সেক্টর হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এবং আগামী পাঁচ বছরে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কেমন তা নিয়ে একটা পোস্ট করেছি পড়ে দেখতে পারেন।
কারণ যদি আমরা লক্ষ্য করি গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর তাদের অল্টারনেটিভ হিসেবে বাজারে কেনভার প্রচলন চলছে. এবং যারা একেবারেই নতুন বা ক্লাইন্ট তার ছোট একটি কাজ গ্রাফিক্স ডিজাইন করা লাগবে সেটি হয়তো সে কেনভার মাধ্যমে সহজে করে নিতে পারেন।
সেই ক্ষেত্রে যারা অভিজ্ঞ বা মোটামুটি যারা কাজ শিখছে তারা কাজ থেকে চ্যুত হয়ে যাচ্ছে।
আবার আরেকটি উদাহরণ যদি দেই সেটা হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট. এই সেক্টরে অল্টারনেটি বর্তমানে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সেটা হচ্ছে চ্যাট গিভিটি অথবা এই ধরনের ওপেন এ আই প্রজেক্ট যেগুলো দ্বারা খুব সহজেই পেয়ে যাচ্ছে এবং প্রজেক্টে ব্যবহার করতে পারছেন।
কিন্তু এটা অতটা সহজে চাকরি চ্যুত হবে না কারণ হচ্ছে । এখানে যদি এআই অথবা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা কোন প্রোগ্রাম করানো হয় সেটার জন্য অবশ্যই তাকে প্রোগ্রামিং জানতে হবে।
কারণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সব সময় সঠিক কোড আপনাকে দিবে না. আবার সে আপনাকে একটি থেকে 90% কোড দিবে কিন্তু টেন পার্সেন্ট কিছু প্রবলেম করে রাখবে সে টেন পার্সেন্ট প্রবলেম আপনাকে নিজের ম্যানুয়ালি ফিক্সড করে নিতে হবে।
তারপর বলা যায় না আগামী দিনগুলোতে এই সেক্টরটি কতটুকু প্রভাব বিস্তার করতে পারবে এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
আচ্ছা এইবার মূল প্রশ্নের উত্তরে ফিরে আসি সেটা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন সেক্টরে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কোন সেক্টর সবচেয়ে চাহিদা বেশি থাকে?
আমি ধরে নিলাম আপনার একটা ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি আছে. এখন আপনি আমার একটা এজেন্সির সাথে কাজ শুরু করলেন বা কন্টাক্ট নিলেন। তিন মাস হয়ে গেল আপনি হয়তো কাঙ্খিত ফলাফল আমাকে এনে দিতে পারছেন না। এই কারণে কিন্তু আপনি দুইটা জিনিস হারাচ্ছেন সেটা হচ্ছে আপনি আপনার হারাচ্ছেন, আর সেই ক্লায়েন্টের হয়ে যে সমস্ত ক্লায়েন্ট আসতো যেগুলা আপনি পরবর্তী প্রজেক্ট করতেন সেই লাইনগুলো হারাবেন।
এখন অল্প টাকায় যদি বিনামূল্যে অনেক অনেক কাস্টমার আছে সেটাকে বলা হয় অর্গানিক ট্রাফিক। এর চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়বে।
এই সেক্টরে কাজের অনেক চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার স্যাপার রয়েছে। যদি এই জায়গায় সফলভাবে কাজ করতে পারেন তাহলে অনেক কিছু করতে পারবেন।
এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয় সেই সাথে সাথে জনপ্রিয়. ডিজিটাল মার্কেটিং এর তিনটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে. আপনি এখন যে সেক্টরে কাজ করেন না কেন আপনাকে মূলত তিনটা বিষয়ে অবশ্যই অবশ্যই জানতে হবে । অন্যথায় আপনি এই ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে কোন কিছুই করতে পারবেন না. তাই আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই তিনটা বিষয় সাথেই কাজ করে যেতে হবে।
আপনাকে মাথায় রাখতে হবে কম টাকায় কিভাবে অডিয়েন্স আনা যায়
কিভাবে সে কাস্টমারের সাথে আরো পরবর্তী ডিল করা যায়
কিভাবে কাস্টমার গুলো দীর্ঘ সময় ধরে রাখা যায়
যদি ক্যারিয়ার তৈরি করার কথা ভাবেন তাহলে অবশ্যই অবশ্যই এই তিনটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে না হলে আপনি কোন কাজ করতে পারবেন না তার জন্য লেগে থাকতে হবে.
আর আপনি যদি শখের বসে কোন একটা ভিডিও দেখে বা একটা পোস্ট করে সেটার উপরে যদি ইন্টারেস্ট জাগে তাহলে কোন কিছুই হবে না. এটা ভাবতে হবে যে আপনার সেই কাজটার উপর এন্টারটেইনমেন্ট পাচ্ছেন কিনা। ডিজিটাল মার্কেটিং কোন সেক্টর সবচেয়ে চাহিদা বেশি থাকে।
এক নাম্বার কম টাকায় কিভাবে অডিয়েন্স আনা যায় এ ব্যাপারে আলোচনা করছি:
বর্তমানে অনলাইনে প্রচারিত অনেক সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গুগল বিং ইয়ানডেক্স আরো অনেক. এ সকল আর্জেন্টিনা আমাদের রয়েছে অনেক অনেক কম্পিটিটার অর্থাৎ আমরা যে টপিক নিয়ে কাজ করছি সেই টপিকে অনেকে লেখালেখি করছে এবং সেখানে তাদের প্রোডাক্ট সেল করছে.
এই প্রোডাক্ট সেল করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানি তারা বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে এর জন্য প্রচুর পরিমাণে টাকা সেই সার্চ ইঞ্জিনকে দিতে হয়। এখানে কিভাবে আমরা কম টাকায় োনরকম বিজ্ঞাপন ছাড়াই সার্চ ইঞ্জিনিয়ার র্যাংকিংয়ে আনতে পারি সেটাই হচ্ছে প্রথম ধাপ যে কম টাকায় কিভাবে অডিয়েন্স আনতে পারি।
কিভাবে কাস্টমারের সাথে পরবর্তী ডিল করতে পারি ?
ডিজিটাল মার্কেটিং কোন সেক্টর সবচেয়ে চাহিদা বেশি থাকে?
কাস্টমারের সাথে ডিল করা একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আমরা যে কোন কাজ পাওয়ার সময় আমার ক্লাইন্টের সাথে তো বা কাস্টমারের সাথে বিভিন্ন শলা কৌশল দিয়ে আমার পণ্যটি বিক্রয় করার চেষ্টা করি। এই দক্ষতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমার সেলস বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
আপনি আপনার ক্লায়েন্টকে আপনার কথা দিয়ে যতটুকু আকর্ষণ করতে পারবেন তাতে করে আপনার কাজ পাওয়ার বা অন্য সেল করার পসিবিলিটি বেড়ে যাবে।
যখন আপনার প্রতি বিশ্বাস অর্জন করবে এবং আপনাকে কাজে দিবে আপনি সেই কাজটা সুন্দর করে সময় নিয়ে নিজের মনে করে কাজটি করে দিলে সে অবশ্যই অবশ্যই অনেক খুশি হবে।
যখন সে আপনার বর্তমান কাজটা খুবই পছন্দ করবে দেখবেন পরবর্তী কাজের জন্য আপনাকে আগাম জানিয়ে যাবে যে পরবর্তী যে কয়টি প্রজেক্ট আসবে আমি আপনাকে দিয়েই করানোর চেষ্টা করব।
কিভাবে কাস্টমারকে দীর্ঘ সময় ধরে রাখবো ?
কাস্টমার ধরে রাখার ব্যবসার উপার্জন অথবা সফলতার একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ. আপনার সার্ভিস অথবা পণ্য যদি মানসম্মত হয় অবশ্যই কাস্টমার দীর্ঘ সময় আপনার সাথে থাকবে।
কিন্তু আপনার অন্য যদি বিক্রয় করার সময় খুব চটকদার বিজ্ঞাপন এবং চটকদার মোড়কের মাধ্যমে ক্লাইন্টকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হয় এবং পরবর্তীতে ক্লায়েন্ট যখন সেই পণ্যটি ব্যবহার করতে গিয়ে কোন রকম বিচ্যুতি হয় সে কিন্তু আর কখনোই আপনার সাথে ডিল করবে না।
এই ধাপে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে যে ক্লাইন্টকে ধরে রাখা তাহলে আমার অন্য অথবা সেবা যেন মানসম্মত হয়. ডিজিটাল মার্কেটিং কোন সেক্টর সবচেয়ে চাহিদা বেশি থাকে।
আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হচ্ছে আপনি যে কথাটি বলবেন সেটি যেন আপনার সেবা এবং পণ্যের ভেতর থাকে।
আপনি যদি পণ্য বিক্রয় করে থাকেন তাহলে আপনার কিছু লিমিটেড কাস্টমার থাকলে আপনার তা দিয়ে মোটামুটি ভালো পরিমাণ উপার্জন আসবে।
আর আপনি যদি কোন সার্ভিস ফেল করে থাকেন অথবা ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে থাকেন সেখানে ধরুন আপনি ১৫ থেকে ২০ টা বা ৩০ টা ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করেছেন. আপনি চেষ্টা করবেন দীর্ঘ সময় কাজ করার জন্য রেখে দেওয়া।
দিন শেষে পাঁচ থেকে ছয়টি ক্লাইন্ট চলে আসে কিন্তু আপনাদের সার্ভিস টা যেন অবশ্যই ঠিকঠাক থাকে।
এই কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা করে আমরা বুঝতে পারলাম যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মোটামুটি সব সেক্টরের চাহিদা আছে শুধুমাত্র ক্লাইন্টকে ভালো সার্ভিস দেওয়া এবং ক্লায়েন্টের সাথে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করা এই ব্যাপারটা যদি মাথায় থাকে তাহলে যেকোনো যে কোন কাজে বা সেক্টরে এত ভালো করতে পারবে. ডিজিটাল মার্কেটিং কোন সেক্টর সবচেয়ে চাহিদা বেশি থাকে।
সর্বোপরি কিছু কথা দিয়ে আমার আজকের আর্টিকেল শেষ করব. সেটা হচ্ছে আমি উপরে দুই লাইন বা দুইটা ব্যাপারে কথা বলেছি সেটা হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন আরেকটি হচ্ছে ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট. এগুলোর অল্টারনেটিভ বর্তমানে বাজারে চলে আসলেও আপনি কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর অল্টারনেটিভ সহজে খুঁজে পাবেন না।
কারণ এখানে বেশ কিছু ব্যাপার আছে যেগুলো ম্যানুয়ালি করতে হয় যেমন এসইও এর কিওয়ার্ড রিসার্চ যেটা ম্যানুয়ালি না করলে ভালো রেজাল্ট পাবেন না. দ্বিতীয়ত হচ্ছে যখন আপনি কন্টেন্ট লিখবেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে কন্টেন্ট লেখা আর নিজের হাতে তৈরি করে লেখা ভিতরে অনেক পার্থক্য থাকে।
তো এই জিনিসটার অল্টারনেটিভ যদিও এসে থাকে এটা কিন্তু বেশি দিনের জন্য কাজ করবে না. এটা মানসম্মত কনটেন্ট সরবরাহ করা হয় না তো কন্টেন্টের জন্য যদি আপনি মনে করেন যে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই স্থানে অলরেডি একটা অল্টারনেটিভ চলে এসেছে তাহলে আপনার ধারণা ভুল.
যেহেতু এখানে সব কাজই নিজে হাতে করতে হচ্ছে সে তো আপনি ধরে নেন যে এর ভবিষ্যৎ টা মোটামুটি ভালো এবং সব কথা শেষ কথা হচ্ছে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং হিসেবে একজন ক্যারিয়ার স্পেশালিস্ট হতে পারবেন।
আশা করি আমার এই কনটেন্ট আপনার ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকার চেষ্টা করবেন সাথে থাকলে আমরা আর উৎসাহ পাই এ ধরনের কনটেন্ট নতুন নতুন ভাবে তৈরি করে দেওয়ার জন্য।
সেরা ১০ টি ডিজিটাল মার্কেটিং ট্রেন্ড
কন্টেন্ট মার্কেটিং
আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল কন্টেন্ট এর দ্বারা খুব সহজেই ভিজিটর দের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব। এজন্য কন্টেন্ট মার্কেটিং কে মার্কেটিং সেক্টরের কিং হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে যা বর্তমানে সেরা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।
ভিডিও মার্কেটিং
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটারদের কাছে শর্ট ভিডিও কন্টেন্ট অনেক বেশী অগ্রাধিকার পাচ্ছে। এর মূল কার ভিডিও কন্টেন্ট ব্যবহার করে সহজেই গ্রাহকদের নিকট পন্য বা সার্ভিস সম্পর্কে সামগ্রীক তথ্য উপস্থাপন করা সম্ভব হয়।
চ্যাটবট ব্যবহার
চ্যাটবট ব্যবহার করে ক্লায়েন্টদের দ্রুত সাপোর্ট দেয়া সম্ভব ফলে ক্লায়েন্টরা সেরা কাস্টোমার সার্ভিস এক্সপিরিয়েন্স পায়। যা বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর অভিনব ট্রেন্ড!
ফেসবুক মার্কেটিং
বর্তমানে সারা বিশ্বে জনপ্রিয় সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুক বিজনেস প্রসারের জন্য অন্যতম একটি মাধ্যম হয়ে দাড়িয়েছে। যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে নানা স্টার্টআপ সহ অনলাইন ভিত্তিক ব্রান্ড।
ইমেইল মার্কেটিং
ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করে খুব সহজে সম্ভাব্য গ্রাহক কিংবা ভিজিটরদের নিকট সরাসরি পৌঁছানো সম্ভব হয়। এটির মাধ্যমে খুব সহজেই ক্লায়েন্টদের সাথে সর্বদা টাচে থাকা যায় এবং বিভিন্ন ধরনের প্রমোশনাল মেইল সহ তথ্য সরবরাহ করা সম্ভব হয়। যার মাধ্যমে ভালো ধরনের সেলস জেনারেট সম্ভব হয়।
লোকাল এসইও
সারা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সার্চ ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে গুগোল অন্যতম। এক ক্লিকেই কাঙ্খিত তথ্য এবং সার্ভিস বেছে নিতে প্রতিদিনই বিলিয়ন মানুষ Google এর সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে থাকে। তাই বিজনেস এর পরিধি সুবিস্তৃত করতে লোকাল এসইও করা সেরা সিদ্ধান্ত যা বর্তমানে অনেক বেশী কার্যকর হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে ভালো ফলাফল পেতে সাইট ট্র্যাফিক পর্যবেক্ষণ সহ প্রাসঙ্গিক কাজে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার এর বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। যা অতিদ্রুত মার্কেটিং এর কাজকে অনেক সহজ এর ফলশ্রুত করবে বলে আশা করা যায়।
ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
ইন্স্যুরেন্সের মার্কেটিং এর মূলমন্ত্র হচ্ছে জনপ্রিয় ব্যক্তিবর্গদের ফেস ভ্যালু ব্যবহার করে ব্র্যান্ড প্রমোট করা। যেহেতু ইনফ্লুয়েন্সারদের সব সময় এক ঝাঁক ফলোয়ার থেকে থাকে তাই খুব সহজেই তাদের ফলোয়ারদের নিকট ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট বিক্রি করা কিংবা প্রমোশন করা সম্ভব হয়, এই সমগ্র মার্কেটিং ফানেলের ভিতরে মূলত লুকিয়ে থাকে ইন্স্যুরেন্সের দের প্রতি আস্থা।
মাইক্রো ব্লগিং
মাইক্রো-ব্লগিং প্ল্যাটফর্মগুলি ডিজিটাল মার্কেটিং জগতে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এ ধরনের মাইক্রো ব্লগিং প্লাটফর্ম গুলোর মাঝে রয়েছে টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, ইত্যাদি। এই প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করে সংক্ষিপ্ত আকারে ছোট ছোট ব্লগ প্রকাশ করে ব্র্যান্ড বা পণ্যের প্রচার করা হয়।
রিমার্কিং মেথড
এই মেথডটি হল একটি শক্তিশালী ডিজিটাল মার্কেটিং মেথড যা ব্যবহার করে হারিয়ে যাওয়া সেলস কিংবা সেলস ডাউনের মতো অপ্রীতিকর অবস্থা থেকে সহজেই বেরিয়ে আসা যায়। যে সকল ভিজিটর কিংবা গ্রাহক আপনার পণ্য কিংবা সার্ভিসের প্রতি পূর্বে আগ্রহ দেখিয়েছিলো তবে বেশ কিছুদিন থেকে তারা আর আপনার ব্যান্ড এর সাথে কানেক্টেড নেই কিংবা কোন ধরনের সার্ভিস ক্রয় করে নি তাদের ইমেইল, মেসেজ মার্কেটিং কিংবা অন্যান্য কোন প্রসেস ব্যবহার করে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে যাতে তারা পুনরায় আবার আপনার ব্র্যান্ড এর সাথে কানেক্টেড হতে পারে।
উপরোক্ত মার্কেটিং ট্রেন্ড গুলি অনুসরণ করে আপনি সহজেই এগিয়ে থাকতে পারবেন এবং আপনার ব্রান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন!
Read More: কিভাবে একজন গৃহিণী ঘরে বসে ইনকাম করতে পারে
Read More: কিভাবে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করা যায়
Read More: এড দেখে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট
Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি
Read More: কিভাবে ফাইভারে সফল হবেন
Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি
Read More: ওয়েব ডিজাইন কি
Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়
Read More: Mobile Phone Price | Phone Review
Read More: ডাটা এন্ট্রি কি
Read More: সেরা ফ্রি টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট
Post Tag, ডিজিটাল মার্কেটিং কি? কমপ্লিট গাইডলাইন,
নতুনরা ডিজিটাল মার্কেটিং কি ভাবে শুরু করবে,
Digital Marketing কি ? Digital Marketing এর জন্য সেরা,
১ ডিজিটাল মার্কেটিং কি?,
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি?,
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ,
ডিজিটাল মার্কেটিং কি চাপের কাজ,
ডিজিটাল মার্কেটিং A to Z,
ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি,
ডিজিটাল মার্কেটিং কি কি শেখানো হয়,
ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার,
ডিজিটাল মার্কেটিং কি কিভাবে করতে হয়,
ডিজিটাল মার্কেটিং কি তা উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করুন,
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার,
ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স,
0 Comments
Please don’t send any spam link