ডিজিটাল মার্কেটিং কি | কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন

সোশ্যাল মিডিয়াকে সঠিকভাবে কাজে লাগান

ডিজিটাল মার্কেটিং কি | কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করবেন

বর্তমান সময়ে চাকরির জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং একটি উল্লেখযোগ্য, দ্রুত প্রসারমান, চ্যালেঞ্জিং এবং জনপ্রিয় একটি ক্ষেত্র। যারা আনন্দ নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন, তারা ইচ্ছে করলে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। কারণ, এই ক্যারিয়ার আপনাকে একদিকে যেমন প্রযুক্তিপ্রেমী করে তুলবে, অন্যদিকে আপনার জীবনকে করে তুলবে স্বাচ্ছন্দময়।

Read More: ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়


আর প্রযুক্তির হাত ধরে ই-কমার্স যেভাবে প্রতিমুহূর্তে জনপ্রিয় হচ্ছে, তাতে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার এটিই সঠিক সময়। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, আগে হোক আর পরে হোক, প্রায় সব ধরণের ব্যবসাই ডিজিটাল রূপ নিচ্ছে। আর ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রসারে আপনার মতো ডিজিটাল মার্কেটারদের সহযোগীতা লাগবেই।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

ডিজিটাল মার্কেটিং পণ্য বা সার্ভিস বিক্রির জন্যে এমন এক ধরণের মার্কেটিং যা ইন্টারনেটের সাহায্যে প্রযুক্তির ব্যবহারে সম্পন্ন করা হয়। এটি মোবাইল ফোন, ডিসপ্লে অ্যাডভার্টাইজিং ও অন্যান্য ডিজিটাল মিডিয়ামের সঙ্গে সম্পৃক্ত। যে কোন পণ্য বা বিজনেস ব্র্যান্ডকে কাস্টোমারের কাছে পৌঁছানোর জন্যে নানা ধরণের অনলাইন চ্যানেল ব্যবহার করা হয়। আর এটাই মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং যা ইন্টারনেটের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

১৯৯০ থেকে ২০০০ সালের মাঝে ডিজিটাল মার্কেটিং ডেভেলপ করে। টেকনোলোজির ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং পণ্য, ব্যবসা, এমনকি ব্র্যান্ডিং এর সংজ্ঞাই পাল্টে দেয়, পাল্টে দেয় ব্র্যান্ডিং করার প্রচলিত পদ্ধতি। ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ারে যা যা করতে হয়।

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান, তবে জেনে নিন এই ক্যারিয়ারে আপনাকে কী কী কাজ করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে একজনের পণ্য বা সার্ভিস অন্যদের কাছে ডিজিটাল্লি পৌঁছে দেয়া। আর এটির জন্যে নানা ধরণের কাজ করতে হয়। তার মাঝে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত কাজগুলো দেখে নিন নিচের তালিকায়-

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাউজেশন (SEO)

সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং

কন্টেন্ট মার্কেটিং

কন্টেন্ট অটোমেশন

ক্যাম্পেইন মার্কেটিং

ইমেল মার্কেটিং

ডাটা-ড্রাইভেন মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া অপটিমাইজেশন

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

ই-কমার্স মার্কেটিং


কেন ডিজিটাল মার্কেটিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেবেন

প্রথমেই বলেছি, বর্তমাণ সময়ে সবার কাছে একটা পণ্য বা সেবা প্রচারের সেরা মাধ্যম ডিজিটাল মার্কেটিং। যারফলে, একটা সাধারণ কোম্পানী থেকে শুরু করে একটা মাল্টি ন্যাশনাল কিংবা ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানী প্রায় সম্পূর্ণরূপেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল। কাজেই, এ সেক্টরে কর্মীর চাহিদা অনবরত বেড়ে চলেছে। সুতরাং, ডিজিটাল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়া যে কারো জন্যেই সহজ ও নিরাপদ এবং সময়যোগী।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্যে বিশেষ কোন প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রির প্রয়োজন হয় না। কাজেই, আপনি যে বিষয়েই প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি নিন না কেন, চাইলে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এ আসতে পারেন। সত্যিকার অর্থে আপনি নিজের অজান্তেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িয়ে আছেন।

আপনি কি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন না? আপনি কি কাউকে ইমেল পাঠান না? আপনি কি সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু খুঁজে দেখেন না? অবশ্যই, আপনি এ সবের প্রায় সব কাজই করেন। তবে, সেটার জন্যে আপনার কোন পূর্ব পরিকল্পণা থাকে না, আপনি এমনিই করেন। যখন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নেবেন, তখন আপনার কাজই এগুলোই যেগুলো আপনি আগেই করতেন।

আবার, এর মানে এই নয় যে, আপনি কোন কিছু সম্পর্কে ভাসা ভাসা ধারণা নিয়েই সেটি শুরু করে দেবেন। যদি করেন, তবে সফল হওয়ার সম্ভাবণা কমে যাবে। আর যদি জেনে শুনে, ভাল করে বুঝে নিয়ে করেন, তাহলে আপনি অবশ্যই সফল হবেন। সুতরাং, নতুন কোন কিছু শুরু করার আগে যদি কিভাবে করতে হবে সে বিষয়ে কিছু টিপস অনুসরণ করা যায়, তাহলে সেটি অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার

যারা এইমুহূর্তে নিজের ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরু করার কথা ভাবছেন, তাদের জন্য আমরা এখন সেরা কিছু টিপস নিয়ে করব আলোচনা! যে কোন কিছুতেই ভালো করতে চাইলে সেটা সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকা জরুরি। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও এটি সত্যি। যেহেতু জনপ্রিয় এবং দ্রুত বর্ধনশীল একটি পেশা তাই এখানে প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। তবে সেই প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার একটিই মৌলিক উপায়; সেটি হচ্ছে, প্রতিমুহূর্তে সবকিছু থেকে শেখার আগ্রহ। এসইও, এসইওম, পিপিসি এসব কী জিনিস তা সম্পর্কে জানুন।

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এ প্যাশন হিসবে নিতে পারেন, তাহলে সফলতা আপনার হবেই হবে। আর প্যাশন হিসেবে নেওয়া তখনই সম্ভব হবে, যখন এটি সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত জ্ঞান থাকবে। অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করতে পারেন এ বিষয়ে।

সোশ্যাল মিডিয়াকে সঠিকভাবে কাজে লাগান

সোশ্যাল মিডিয়া অর্থাৎ ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদির কল্যাণে এখন সারা পৃথিবীতেই পরিচিত অপরিচিত মানুষের সাথে যোগাযোগের বিশাল একটি সুযোগ তৈরী হয়েছে। তাই, আপনি যদি শুধুমাত্র এটিকে সেলফি বা ছবি আপলোড কিংবা সময় কাটানোর একটি মাধ্যম হিসেবে এতোদিন ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে সেই অভ্যাসকে বিদায় জানাতে হবে এখন।

ডিজিটাল মার্কেটিং-এ ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চাইলে মানুষের সাথে স্মার্টলি যোগাযোগ করা শিখতে হবে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে মানুষের সাথে সুন্দর যোগাযোগ তৈরী করে, এটিকে কাজে লাগাতে শিখুন।

আমি ফেসবুক মার্কেটিং এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করছি ২ বছরের বেশি সময় ধরে। আমার কাছে এই পেশাটা খুব মজাদার। যদিও আমি একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, তারপরও আমার পছন্দ ফেসবুক মার্কেটিং। ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে হলে আপনাকে জানতে হবে।

কিছু সাধারণ স্কিল বা দক্ষতা। ধরুন,আপনি একটি কাপড়ের বিজ্ঞাপণ দিয়ে ক্রেতা আনতে চান, বিক্রি বাড়াতে চান, সেক্ষেত্রে যদি টার্গেট অডিয়েন্স সিলেক্ট করতে না পারেন, বা থ্রি পিসের বিজ্ঞাপণে যদি ছেলেদেরও দিয়ে রাখেন সেটা খুব একটা কার্যকরী হবে না। অর্থাৎ পণ্যের বিজ্ঞাপণ দেওয়ার সময় আপনার বুঝে নিতে হবে এর ক্রেতা কারা, তারপর তাদের টার্গেট করেই বুস্ট বা এডস দিতে হবে। বুস্টের ক্ষেত্রে ‘গেট ম্যাসেজ’ অপশন হলো যেটায় লাইক,কমেন্টের চেয়ে ক্রেতাদের ম্যাসেজ বেশি আসবে।

বর্তমানে এটায় বেশি কার্যকরি বলে আমি মনে করি। আরেকটা আছে ‘পোস্ট ইনগেজমেন্ট’ যেটায় পোস্টে লাইক,কমেন্ট ও বেশী মানুষ দেখবে। পেজের বা পোস্টের বিজ্ঞাপণের রিচ নির্ভর করে সিলেক্ট করা বাজেট ও বিজ্ঞাপণের দিন, অডিয়েন্স বা তাদের বয়স,টার্গেট ইত্যাদি অনুযায়ী। ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে মাসে ২০,০০০ টাকা থেকে .৩ লক্ষ টাকাও আয় করা সম্ভব! ফেসবুকের ই-লার্নিং সাইট ব্লু-প্রিন্টের মাধ্যমে অনলাইনে ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স করে নিতে পারেন।

এখানে অনেকগুলো বিষয় নিয়ে কোর্স সম্পূর্ণ করে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা আছে অনলাইনেই। পেয়ে যাবেন সার্টিফিকেটও। এছাড়া অনেক ভালো কিছু আইটি কোম্পানি আছে যাদের কাছ থেকেও কোর্সটি শিখে নিতে পারেন। তবে, কাজ শুরুর সময় আপনার দরকার হবে একটি ডুয়েল কারেন্সির অর্থাৎ ডলার দিয়ে পেমেন্ট হয় এমন একটি আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ড বা ভিসা কার্ড (ডেবিট/ক্রেডিট)। এছাড়া পেপল একাউন্ট দিয়েও ফেসবুকে বিজ্ঞাপণ দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।

নিজেকে আপ-টু-ডেট রাখুন
বর্তমান সময়ে চারপাশের হালচাল কী, বিশেষ করে প্রযুক্তি বিশ্বে এখন কোন বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে, সে সব সম্পর্কে আপনাকে ভালো ধারণা রাখতে হবে। যেহেতু ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড প্রতিমুহূর্তে এগিয়ে যাচ্ছে, তাই একে কেন্দ্র করে ক্যারিয়ার গড়তে গেলে নিজেকেও রাখতে হবে আপ-টু-ডেট। একদম আপডেট খবরের জন্য টুইটার এবং বর্তমানের মার্কেটিং ট্রেন্ড এর জন্য লিংকডইন ব্যবহার করতে পারেন।

নিজস্ব ব্র‍্যান্ড তৈরী করুন- এর অর্থ হচ্ছে নিজের পরিচয় অন্যদের সামনে তুলে ধরা। অনেকটা নিজের ঢোল নিজে পেটানোর মতো মনে হলেও এটিই বাস্তবতা। আপনি যদি আপনার দক্ষতা বা যোগ্যতাকে অন্যদের সামনে তুলে ধরতে না পারেন, তাহলে ক্যারিয়ার প্রতিযোগিতায় কখনোই এগিয়ে থাকার সুযোগ পাবেন না।

নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করুন
যেভাবেই দেখুন না কেন, সকল ক্ষেত্রেই সফলতা অর্জনের জন্য নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক, বাস্তব জীবন সকল ক্ষেত্রে মানুষের সাথে মিশে যেতে শিখুন, সুন্দর করে কথা বলা শিখুন। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় ক্যারিয়ার বিষয়ক ওয়ার্কশপ, সেমিনার ইত্যাদি হয়, সেগুলোতে অংশ নিন।
নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি পেলে আপনাতেই দেখবেন নিজেকে আপডেট রাখা বা মেন্টর খুঁজে বের করা বা নিজের ব্র্যান্ডিং করার ব্যাপারগুলো অনেক সহজ হয়ে গেছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার? ১১ টি জনপ্রিয়

ওল্ড স্কুল মার্কেটারদের মতে ডিজিটাল মার্কেটিং দুই প্রকার: অনলাইন মার্কেটিং, অফলাইন মার্কেটিং। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক বড় একটি ইন্ডাস্ট্রি তাই এখানে ধারাবাধা সুত্র দিয়ে এর প্রকারভেদ সঙ্গায়িত করা সম্ভব নয়। যারা দীর্ঘদিন যাবত ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে আছেন, তাঁদের বিভিন্ন জনের ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রকারভেদ নিয়ে। তবে সবথেকে জনপ্রিয় এবং স্ট্যান্ডার মতামত হচ্ছে Digital Marketing ২ প্রকার।

এখন অনেকেই হয়তো অবাক হবেন ডিজিটাল মার্কেটিং আবার অফলাইনে হয় হ্যাঁ, এর আগের পোস্টে আমরা আলোচনা করে ছিলাম ডিজিটাল মার্কেটিং কি? তা নিয়ে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে প্রচার, প্রচারণা, বিক্রি করাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলে ইলেকট্রনিক ডিভাইস সেটা অফলাইনেও হতে পারে, তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটা অংশ অফলাইনেও হয়ে থাকে।

  • Table of Contents
  • অনলাইন মাকেটিং
  • এসইও (SEO)
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
  • পে-পার ক্লিক (PPC)
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)
  • কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)
  • ই-মেইল মার্কেটিং (Email Marketing)
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)
  • অফলাইন মার্কেটিং
  • অনলাইন মাকেটিং


সহজ কথায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে মার্কেটিং করাকেই অনলাইন মার্কেটিং বলে। অনলাইন মার্কেটিং এর কয়েকটি জনপ্রিয় মেথড নিয়ে চলুন একদম সহজভাবে আলোচনা করা যাক।
এসইও (SEO)

এসইও এর পূর্ণরূপ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)। সাধারণত ইউজার তার প্রয়োজনীয় তথ্য কোন না কোন সার্চ সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে থাকে, বেশির ভাগ ইউজার গুগলে সার্চ করে থাকে, এখন  আপনে যে নীশে কাজ করছেন সেই একই নীশে অনেক ওয়েবসাইট আছে এবং প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে, কিন্তু গুগল কোন ওয়েবসাইট রেখে কোনটাকে র‌্যাঙ্ক দিবে? কেনই বা আপনার ওয়েবসাইটকে র‌্যাঙ্ক দিবে? সার্চ ইঞ্জিনে র ্যাঙ্কিং এর এই কাজটাই করা হয় এসইও এর মাধ্যমে। এসইও হচ্ছে ওয়েবসাইটে ট্রাফিক পাওয়ার অর্গানিক মেথর্ড অর্থাৎ ফ্রি মেথড। ডিজিটাল মার্কেটিং এর বড় একটা পার্টজুড়ে রয়েছে এসইও।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)

এসইএম মানে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং। উপরে আমরা আলোচনা করলাম এসইও নিয়ে, যেটা হচ্ছে ফ্রি মেথর্ড, আর এসইএম হচ্ছে পেইড মেথর্ড। এসইএম এ আপনার টার্গেটেড সার্চ ইঞ্জিনে বিভিন্ন ক্যাটাগরির অ্যাড দিতে পারবেন, সেটা প্রোডাক্ট সেল বা ওয়েবসাইট ট্রাফিক যে কোন অবজেক্টটিভে হতে পারে। এসইও একটা লং টাইম প্রসেস কিন্তু এসইএম এ খুব অল্প সময়েই রেজাল্ট আনা যায়।
পে-পার ক্লিক (PPC)

পিপিসি মানে পে-পার ক্লিক, ধরুণ আপনার ল্যান্ডিং পেজে ট্রাফিক আনার জন্য অ্যাড দিলেন কোন সার্চ ইঞ্জিনে, ইউজার সার্চ করে আপনার অ্যাডটি দেখতে পেলো এবং অ্যাডে ক্লিক করে আপনার ল্যান্ডিং পেজে আসলো, এই যে আপনার অ্যাডে ক্লিক করলো তখন সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে চার্জ করবে, অর্থাৎ সহজ কথায় আপনার অ্যাডে প্রতিটি ক্লিকের জন্য সার্চ ইঞ্জিনকে পে করতে হবে, এটাই পে-পার ক্লিক মডেল বা পিপিসি।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM)

সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমরা বেশির ভাগ ফেসবুক কে বুঝে থাকি, কিন্তু ফেসবুকের বাইরে আরো হাজারো সোশ্যাল মিডিয়া আছে ইউজার এবং কান্ট্রিভেদে একেক স্থানে একেক টা পপুলার, যেমন আমাদের বাংলাদেশে ফেসবুক বেশি জনপ্রিয়। এসএমএম বলতে পেইড অথবা অর্গানিক উভয় মেথর্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং করাকে বুঝায়।
কনটেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing)

কনটেন্ট মার্কেটিং বলতে ভিডিও, অডিও, আর্টিকেল যে কোন কিছু হতে পারে। যেমন ইউটিউব বা টিকটকে ভিডিও ক্রিয়েশন এবং মার্কেটিং। অডিও এর ক্ষেত্রে পডকাস্ট বা অডিও বুক হতে পারে। আর্টিকেল যেমন এখন আপনি আমার আটিকেল পড়ছেন এছাড়া হ্যান্ডবুক বা পিডিএফ বুক এর মাধ্যমে হতে পারে ইত্যাদি এগুলোই কনটেন্ট মার্কেটিং।

ই-মেইল মার্কেটিং 

(Email Marketing)
ইমেইল আমাদের দেশে গুরুত্বপূর্ণ না হলেও ইউরোপের দেশগুলোতে এনআইডির মতো ইমেইল আইডি সমান গুরুত্ব রাখে। মোটামুটি প্রায় সবাই ইমেইল ব্যবহারে অভ্যস্ত আর এ কারণেই ইমেইল মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ একটা মেথর্ড কেননা এখানে সহজেই টার্গেটেড অডিয়েন্সের কাছে পৌছানো যায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing)

সহজ কথায় অন্যর প্রোডাক্ট আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং মেথর্ড ইউজ করে সেল করে দিলেন এবং সেখানে থেকে কিছু কমিশন নিলেন এটাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
 

অফলাইন মার্কেটিং

অফলাইন মার্কেটিং কয়েক বছর আগেও বেশ জনপ্রিয় এবং কার্যকারী মেথর্ড ছিলো কিন্তু ওয়েব ২.০ আসার পর এবং ডিজিটাল টান্সফরমেশন শুরু হবার পর এই মেথর্ডের কার্যকারীতা দিন দিন কমে যাচ্ছে, তবে এখনো ডেড হয়ে যায়নি। চলুন কয়েকটি জনপ্রিয় অফলাইন মার্কেটিং মেথর্ড সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
রেডিও মার্কেটিং (Radio Marketing)

আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও আমাদের দেশে রেডিও মার্কেটিং অনেক জনপ্রিয় ছিলো কিন্তু ডিজিটাল টান্সফরমেশনের ফলে রেডিও এখন স্মার্টফোনে চলে এসেছে  মজার ব্যপার হলো এখনো রেডিও তে ভালো পরিমাণ অডিয়েন্স আছে। তো সহজ কথায় রেডিও তে পণ্যের প্রচার প্রচারণা চালানোকেই রেডিও মার্কেটিং বলে।
টেলিভিশন এডভার্টাইজিং (Television Advertising)

আমরা যারা ছোট বেলায় টিভিতে প্রচুর সময় কাটিয়েছি তাদের কাছে মার্কেটিং এর এই মেথর্ড টা অনেক পরিচিত। এখনো টিভিতে প্রচুর পরিমাণে বিজ্ঞাপন শো করা হয়, এটাই টেলিভিশন এডভার্টাইজিং।
মোবাইল এডভার্টাইজিং (Mobile Advertising)

মোবাইলে আমরা বিভিন্ন কোম্পানী থেকে প্রমোশনাল এসএমএস পাই, কল পেয়ে থাকি এটাই মোবাইল এডভার্টাইজিং।
ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড মার্কেটিং (Billboard Marketing)

শহরের মেইন মেইন জায়গাতে আমরা বড় পর্দার এডভার্টাইজিং দেখতে পাই তাছাড়া দোকানের সামনে, স্কুল, কলেজ, অফিস ইত্যাদি বিভিন্ন স্থানে এখন  ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড দেখা যায় এটাকেই বিলবোর্ড মার্কেটিং বলে।

ডিজিটাল মার্কেটিং গাইডলাইন শীর্ষক আজকের আলোচনায় আজকে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কিছু বিশেষ টিপস শেয়ার করবো। তো বন্ধুরা সাথেই থাকুন।

প্রথমেই আলোচনা করা যাক ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে কি?
ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি কৌশল যার সাহায্যে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে কোন পণ্যের প্রচারণার মাধ্যমে সর্বাধিক সংখ্যক ক্রেতা খুঁজে বের করা যায়।

তার মনে হলো Digital Marketing ইন্টারনেট সংশ্লিষ্ট একটি বিষয়।
Table of Contents
Digital Marketing এর জনপ্রিয় ক্যাটাগরি

এসইও – Search Engine Optimization (SEO)

১) ই-মেইল মার্কেটিং – Email Marketing

২) সোশ্যাল মেডিয়া মার্কেটিং – Social Media Marketing (SMM)

৩) কনটেন্ট মার্কেটিং – Content Marketing

৪) মিউজিক মার্কেটিং – Music Marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য করণীয়

১) ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যসিকগুলো জানতে হবে।

২) কনটেন্ট রাইটিং সম্পর্কে ভালভাবে জানতে হবে।

৩) মার্কেটিং টুলস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

 ৪) গুগল কিভাবে কাজ করে তা জানতে হবে।

৫) সোশ্যাল মিডিয়া কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানতে হবে।

 ৬) এসইও কিভাবে করতে হয় তা জানতে হবে।
 
Digital Marketing করে কি কি লাভ হতে পারে

১) যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে থাকে তাই সহজে পণ্যের প্রচারণা চালানো সম্ভব।

২) অনেক কম সময়ে অনেক মানুষের কাছে ব্র্যান্ড/প্রোডাক্ট সম্পর্কে তুলে ধরা যায়।

৩) Digital Marketing করার জন্য কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বাসায় বসে নিজে নিজেই পুরো মার্কেটিং শেখা যায় বলে অর্থ খরচ কম হয়।

৪) ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সেরা মার্কেটিং পদ্ধতি।

৫) নতুন বা পুরাতন উভয় ধরণের পণ্য দিয়েই ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব।

৬) ছোট থেকে বড় সকল ধরণের পণ্যই Digital Marketing এর মাধ্যমে করা যায়।
 

ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শেখা যায়

(Digital Marketing)
আমরা বর্তমান সময় ডিজিটাল মার্কেটিং তিনটি উপায়ে খুব ভালভাবে শিখতে পারি।

১) অনলাইন থেকে কোন কোর্স ক্রয় করে !

আমরা অনলাইন থেকে ভালমানের কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স ক্রয় করে Digital Marketing শিখতে পারি।

এক্ষেত্রে প্রথমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সফলতা খুঁজে দেখতে হবে। প্রতিষ্ঠানটি কত বছর যাবৎ সফলতার সাথে ব্যবসা করছে তা দেখতে হবে।

ভিডিও কোর্সের ক্ষেত্রে ভিডিওর গুণগত মান যাচাই করে নিতে হবে। কেননা -হযবরল- কোন ভিডিও থেকে কিছু শেখা সম্ভব নয়।


২) অনলাইনে ইউটিউব কিংবা গুগলকে সঙ্গী বানিয়ে

আপনি অনলাইন থেকে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও দেখেও একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।

অথবা,

আপনি চাইলে গুগলে আপনার চাহিদা অনুযায়ী সার্চ করে অনেক তথ্য আহরন করে নিজের শেখার গতিকে করতে পারেন প্রাণবন্ত।
৩) কোন আইটি সেন্টার থেকে কোর্স করে

আপনি চাইলে কোন ভাল মানের আইটি সেন্টার থেকে কোর্স করেও একজন ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে নিজেকে বিশ্বের হাজারো মার্কেটারের মাঝে প্রকাশ করতে পারেন।
তবে তার জন্য আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি সঠিক কোন প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করছেন কি না তা দেখে নিবেন।
অবশ্যই তাদের রিভিউ চেক করে নিবেন। তারা কি পরিমান সফল স্টুডেন্ট তৈরী করছে তা ভালভাবে খেয়াল করবেন।

Digital Marketing in Bangla

প্রতিষ্ঠানের রিভিউ ভাল না হলে এবং লোভনীয় অফার দেখালে এমন প্রতিষ্ঠান এড়িয়ে চলায় উত্তম।

তাহলে,
বন্ধুরা, এখন জানা যাক কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা শুরু করবেন-
আপনি যদি একজন সাফল্য Digital Marketing হতে চান তবে আপানাকে প্রথমতো জানতে হবে।

Digital Marketing কি,এর প্রকারভেদ কি,এবং কিভাবে শুরু করা যাই এই ডিজিটাল মার্কেটিং।

এর পূর্নঙ্গ ধারনা থাকতে হবে।

আপনি জানেন কি?

Digital Marketing এর প্রধান স্তম্ভ কয়টি? অথবা এই মার্কেটিং এর শাখা কতটি?

Digital Marketing শেখার উপায় সমূহ

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার উপায়– আপনি দুইভাবে এটি শিখতে পারেন-

পেইড মেথোড
 ফ্রি মেথোড
পেইড মেথোড উপায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং –

পেইড মেথোড উপায়ে শিখার জন্য পেমেন্ট করতে হয়, কেননা অনেকেই ফ্রিতে শিখতে আগ্রহী না।
ইউটিউবে পরিপূর্ণ গাইডলাইন না থাকায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলাই ফ্রিতে শেখতে চাননা অনেকেই।
এজন্য পেইড মেথোড উপায়ে শিখতে চায়। একজন সফল ডিজিটাল মার্কেটার হতে চাইলে এবং এটি শিখে ক্য়ারিয়র গড়তে চাইলে একটি কোর্স অবশ্যই করতে পারেন।

অনেকেই বর্তমানে পার্সোনালি অনলাইন কোর্স করে থাকেন। আর সেখান থেকে আপনি Digital Marketing শিখতে পারেন।
এছাড়াও আমাদের দেশে অনেক আইটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সে সব প্রতিষ্ঠান থেকেও খুব সহজে আপনারা Digital Marketing শিখতে পারবেন।

তাছাড়াও আমরা অনলাইনে ই-লর্নিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও কোর্স করতে পারি।
স্কিলস শেয়ার
খান একাডেমি
লেন্ডা উদেমি (ইত্যাদি)

উপরের এই ওয়েবসাইড গুলো থেকেও কোর্স করা যায়। তবে এগুলো হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইট।
তাই কোর্সের ভাষা হবে পরোপুরি ইংরেজি দিয়ে। কারণ, এখানে সব এক্সপার্ট মার্কেটাররা কোর্স করে থাকেন।
তাই আপনাকে ইংরেজি ভালোভাবে জানতে হবে এবং তারা আপনাকে Digital Marketing এর এক্সপার্ট বানাতে সহায়তা করবে।
এতে করে আপানাকে Digital Marketing নিয়ে আর বাড়তি কোন চিন্তা করতে হবেনা।

ফ্রি-মেথোড উপায়ে ডিজিটাল মার্কেটিং-
ডিজিটাল মার্কেটিং এ আয় কেমন? এমন প্রশ্নের উত্তরে বলা যেতে পারে যে, এর মাধ্যমে এক সময় আপনি যা আয় করবেন তা আপনার কল্পনারও অতীত।
তবে এর জন্য আপনাকে কিন্তু অনেক বেশি পরিমাণ ধৈর্য রাখতে হবে।
এটি শেখার উত্তম প্লাটফর্ম হচ্ছে ইউটিউব। এর মাধ্যমে আমরা সহজেই স্কিল ডেভেলপ করে নিতে পারি।

আর অনেকেই ফ্রিতে ইউটিউবে আউটসোর্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং শেখাচ্ছেন। ইউটিউবে যদি আমরা Digital Marketing লেখে সার্চ করি তবে এই সংশ্লিষ্ট অনেক ভিডিও লিস্ট চলে আসবে।
সেসব থেকে আপনি শিখতে পারেন। আর এভাবেই কোন টাকা খরচ ছাড়ায় শেখতে পারবেন।

এছাড়াও কোন নির্দিষ্ট বিষয় ইউটিউব থেকে শিখতে পারেন। এতে করে আপনার শেখার বিষয় গুলো এলোমেলো হবেনা।
এই ছিলো আমাদের Digital Marketing শেখার উপায়।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন আনলিমিটেড

কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, আমরা Digital Marketing শেখার পরেও আমাদের  কিছু ভুলের কারণে অনেক পিছিয়ে থেকে যাই।

তাহলে এখন জেনে নেওয়া যাক সেসব ভুলগুলো-
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব অনেক। অনেকেই এটিকে এড়িয়ে চলে। আর এর সম্পর্কে জ্ঞান না থাকা হচ্ছে একটি বড় ভুল।

সোশ্যাল মিডিয়া হচ্ছে Digital Marketing এর অন্যতম মাধ্যম।
বিনিয়োগের রিটার্ন
রিটার্ন সম্পর্কে না জেনে Digital Marketing করা উচিত হবেনা। কারণ, কাজ করার সময় অবশ্যই এই কথাটা মাথায় রাখতে হবে।
মার্কেটিং এর কাজের দিক বিবেচনা করে কাজ করতে হবে। যাতে করে ক্ষতির সম্মুখীন না হতে হয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং তো শিখলাম তাহলে আয় করার জন্য কি কি করতে হবে? অর্থাৎ Digital Marketing শিখে আয় করতে হলে কি কি করতে হয়?
চলুন এবার জেনে নেব Digital Marketing শেখার পর অনলাইন থেকে আয়ের পরবর্তী ধাপ।

ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার পর অনলাইন থেকে আয়

ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করা সম্ভব । কিন্তু শেখার বা জানার থেকে প্রফেশনাল স্কিল ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আপনি ইচ্ছে মতো আয় করতে পারবেন।
তবে এই Digital Marketing করে আয় সুনির্দিষ্ট নয়।
আর ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে সত্যিই যদি আপনি আয় করতে চান, তবে আপনাকে এই বিষয়ে অবশ্যই জ্ঞান রাখতে হবে এবং পারদর্শী হতে হবে।
তাহলেই আপনি Digital Marketing করে আয় করতে পারবেন।

Digital Marketing থেকে আয়

ডিজিটাল মার্কেটিং দিয়ে আয় করার জন্যে আপনাকে সেই বিষয়ে সম্পূর্ণ ধারণা এবং দক্ষতা থাকতে হবে।
আপনি Digital Marketing করার জন্য প্রচলিত ধ্যান ধারনা থেকে নিজিকে বিরত রাকতে হবে।
আর Digital Marketing এর সকল বিষয় বস্তুর উপরে নজর রাখতে হবে। সেই সাথে নিজেকে এবং নিজের সাইটকে মজবুত করে নিতে হবে।

নিজের পরিচিতি দাঁড় করতে হবে এই বিশাল অনলাইন জগতে। এই ভাবেই Digital Marketing জগতে নিজের ভবিষ্যৎ দাঁড় করাতে হবে।
কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে-

Digital Marketing এর সেবা ও পণ্য প্রচার প্রচারনায় হচ্ছে মূল উদ্দেশ্য। আর এমন কাজ করার জন্য একজন ডিজিটাল মার্কেটারের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
এসব কাজের জন্য কিছু মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন ডিজিটাল মার্কেটাররা।
এই মাধ্যম গুলো থেকে যেকনো একটির উপরে দক্ষতা বাড়াতে হবে।

  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
  • ই-মেইল মার্কেটিং মাধ্যম।
  • গুগল মার্কেটিং মাধ্যম এবং
  • সার্চ ইন্জিন অপ্টিমাইজেশন এর মাধ্যমে।


উপরের যেকনো একটি বিভাগে অভিজ্ঞতা সহ ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন নিশ্চিন্তে।
Digital Marketing এর সমস্ত কিছু নিজের আয়ত্তে নিতে হবে এবং প্রতিনিয়ত অনুশীলনের মাধ্যমে নিজের কাজের জায়গা গড়ে নিতে হবে।

এতে করে মাসে একটা এমাউন্ট আশা করা যায়।
Digital Marketing এর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু টুলস

গুগল ট্রেন্ডস (Google Trends)
এনালিটিক্স অফ গুগল (Analytics of Google)
গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যনার (Google Keyword Planner)
 ইয়ান্ডেক্স মেট্রিকা (Yandex Metrica)
গুগল পেজ স্পিড (Google Page Speed)
গুগল অপ্টিমাইজ (Google Optimize)
বাফার (Buffer)

ডিজিটাল মার্কেটিং এ সফল হতে কোন বিষয়ে দক্ষ হওয়া লাগে

কেমন কনফিগারেশনের ল্যাপটপ হলে ডিজিটাল মার্কেটিং শেখা এবং কাজ করা ভাল হবে?
চলুন জেনে নেয়া যাক কেমন ল্যাপটপ ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কেমন ল্যাপটপ বেটার হবে?

Digital Marketing এর জন্য ল্যাপটপ নির্বাচন
আমরা অনেকেই Digital Marketing শেখার জন্য একটা বিষয়ে দ্বিধার মধ্যে পড়ে যাই তা হলো কেমন বৈশিষ্টের ল্যাপটপ কিংবা পিসি ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য সেরা হবে?
আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য আহামরি খুব বেশি বাজেটের ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপের প্রয়োজন পড়বে না।
মোটামুটি ২০-৩৫ হাজার টাকা বাজেটের একটি ল্যাপটপ দিয়েও আপনার Digital Marketing এর যাত্রা শুরু করতে পারেন।

শেখার পর যখন আয় করবেন তখন একটি বেশি দামের ল্যাপটপ নিয়ে কাজ করবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন সম্পর্কে আজকের পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে মার্কেটিং এর চাহিদা উচ্চহারে বাড়ছে। বর্তমান সময় হল ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ। বর্তমানের যত রকমের কাজকর্ম হচ্ছে সবই প্রায় ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে। আর সাধারনত এর পরিপ্রেক্ষিতে বড় বড় যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারা তাদের পণ্য প্রোডাক্ট প্রচারণার জন্য ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করছে। কেননা আদিম যুগের সনাতন মার্কেটিং করার পদ্ধতির চেয়ে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

তাই সাধারণত ব্যবসাক্ষেত্রে থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রচারণায় এখন অনলাইনের মাধ্যমে হচ্ছে। তাছাড়া ক্যারিয়ার হিসেবে অনেকেই এই ডিজিটাল মার্কেটিং কে নিজের পেশা হিসেবে দেশে বেছেও নিচ্ছেন। অনেকে সফল হয়েছেন এর মাধ্যমে এবং নিজের সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে পেরেছেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি

ডিজিটাল ডিভাইস ও প্রযুক্তির ব্যবহার করার মাধ্যমে কোন প্রোডাক্ট বা পণ্যের প্রসার করাকে বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং। সহজভাবে বলতে গেলে অনলাইনের মাধ্যমে কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পূর্ণ বাক্যে প্রচার বা প্রসার করাকেই সাধারণত বলা হয়ে থাকে ডিজিটাল মার্কেটিং। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং হচ্ছে জনপ্রিয় একটি ব্যবসা টেকনিক।

প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে উন্নয়ন ঘটেছে বর্তমানে সবক্ষেত্রেই। ব্যবসা ক্ষেত্রে পরিবর্তন ঘটেছে ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে। মানুষ বর্তমানে কোন পণ্য কেনার আগে সেই পণ্য নিয়ে বিশ্লেষণ করতে পছন্দ করে।

মানুষ বাজারে গিয়ে পণ্য কেনা আছে এখন অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য কিনতে চাই। কেননা অনলাইনের মাধ্যমে পণ্য কেনা অনেক সহজ এবং এর ফলে তাদের মূল্যবান সময় অনেক বেঁচে যাচ্ছে। তাছাড়া তারা যে পন্যটি অনলাইনের মাধ্যমে কিনছে সেটা সম্পর্কে বিশ্লেষণ তারা সেখানে পেয়ে যাচ্ছে।

আর সাধারনত এসব সবকিছুই সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য। ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য মানুষের জীবনযাত্রা অনেক সহজতর হয়ে গিয়েছে।ঘরে বসে মানুষ এখন অর্ডার করার মাধ্যমেই পেয়ে যাচ্ছে তার কাঙ্খিত প্রোডাক্ট।

প্রোডাক্টের গুণমান বিশ্লেষণ করে ফেলতে পারছে তারা নিমিষেই। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্বের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তাই বলাই বাহুল্য ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ

আমরা এখন বসবাস করছি ইন্টারনেটের ডিজিটাল যুগে। বর্তমান বিশ্বের বাজারব্যবস্থা যেভাবে ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিতে আস্তে আস্তে আস্তে আমার মনে হয় সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন মানুষ দোকানে যাওয়া বন্ধ করে দিবে। তারা আস্তে আস্তে অনলাইনে পণ্য কেনার প্রতি আগ্রহ বেশি দেখা যায়। কেননা জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রা ক্রমেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

তাছাড়া বাজারে গিয়ে পণ্য কিনতে হলে তাদেরকে অনেক সময় নষ্ট করতে হয় কিন্তু সেটা অনলাইনের মাধ্যমে কোনো পণ্য কিনলে করতে হবে না এবং তারা খুব সহজেই সার্চ করে বিভিন্ন ধরনের পণ্য দেখতে পারবেন। আর যদি সে পণ্যটি পছন্দ হয় তাহলে অনলাইনে বিশ্বস্ত বিক্রেতার হাত ধরে সেই পণ্যটি অর্ডার করে কিনে নিতে পারবেন।

আর সাধারনত অনলাইনে এই বাজার ব্যবস্থাটা মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নির্ভরশীল। তাই আপনি যদি এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে নিজেকে যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর দক্ষ করে না তুলতে পারেন তাহলে কোন সময়ে আপনি বর্তমান বাজারে টিকে থাকতে পারবেন না।

কেননা আপনার পণ্য কেমন এই বিষয়ে মানুষ যদি অনলাইনে সার্চ করে জানতে না পারে যদি বুঝতে না পারে তাহলে মানুষ আপনার পণ্য কেন কিনবে। তাই আপনি যদি ভবিষ্যতে নিজের ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চান বা নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলতে চান তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনাকে করতে হবে।

তাছাড়া বর্তমানে যারা ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকেন তাদেরও ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে এখান থেকে কাজ পাওয়ার। কেননা সময়ের সাথে সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং আরো অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আর বর্তমানে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসা অনলাইনে প্রচারণার জন্য ডিজিটাল মার্কেটার খুঁজে বেড়াচ্ছেন।আপনি যদি এই ক্ষেত্রে দক্ষ একজন ডিজিটাল মার্কেট তার হন তাহলে আপনার ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করা লাগবে না।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ ফ্রিল্যান্সিং

মানুষ এখন অনলাইনে ব্যবসার চেয়ে অনলাইনে ব্যবসা কাকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আর এই জন্য সাধারণত বিশ্বের বড় বড় ব্যবসায়ীরা ডিজিটাল মার্কেটিং এর দিকে নজর দিচ্ছে। বর্তমানে এখনই সময় হচ্ছে নিজেকে একজন পরিপূর্ণ দক্ষ ডিজিটাল মার্কেট হিসেবে তৈরি করে নিজের ক্যারিয়ার গঠন করা।

আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজটা ভাল ভাবে শিখতে পারেন তাহলে এই ক্ষেত্রে আপনার কাজের অভাব হবে না। আপনি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটপ্লেসগুলোতেও ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রচুর কাজ পেয়ে যাবেন।যেসব ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ পাবেন নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

১.Upwork.com
২.Freelancer.com
৩.Fivver.com
৪.Toptal.com
৫.Guru99.com


আপনি এই সকল সাইটগুলোতে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য অসংখ্য কাজ পেয়ে যাবেন। তবে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ভাল ক্যারিয়ার গড়তে হলে অবশ্যই আপনাকে আগে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজটা পরিপূর্ণ ভাবে শিখতে হবে। তারপর আপনি এই সকল সাইট গুলোতে গিয়ে কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন। নিচের পোস্ট দুটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ-

ডিজিটাল মার্কেটিং জব

আমি উপরে যে সাইট গুলোর নাম বললাম সেগুলো সাধারনত ইন্টারন্যাশনাল মার্কেট প্লেস। আপনি যদি একজন ভাল ডিজিটাল মার্কেট আর হন তাহলে আপনি এই সাইট গুলোর মাধ্যমে খুব ভালোভাবেই আপনার স্কিলের প্রমাণ দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ পেয়ে যাবেন।

তাছাড়া আপনি চাইলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার কাজের দক্ষতা সম্পর্কে তাদের জানাতে পারেন। তাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য যদি কোন ডিজিটাল মার্কেট এর প্রয়োজন হয় এবং তাদের যদি আপনাকে সেই কাজের জন্য উপযুক্ত মনে হয় তাহলে তারাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

বর্তমানে যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা বিশ্বে বেড়েই চলেছে তাই এই ক্ষেত্রে কাজের জন্য তেমন ভাবতে হয় না। আপনি যদি সঠিকভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ জানেন তাহলে আপনি এর মাধ্যমে নিজের সুন্দর ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। কেননা ব্যবসা যতদিন রয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ ততদিন রয়েছে।

তাই আপনাকে এই ক্ষেত্রে কাজের জন্য কোন চিন্তা করতে হবে বলে আমার মনে হয় না। আপনাকে শুধু নির্দিষ্ট কাজের জন্য দক্ষ হতে হবে তাহলে আপনি সফল মার্কেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ কিভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন?

এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন যে, ডিজিটাল মার্কেটিং এ ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেয়া আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ন। আপনি যদি একজন এক্সপার্ট ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারেন, তাহলে শুধুমাত্র ফ্রিল্যান্সিং বা জব নয়, নিজে বিজনেস করতে পারবেন। এজন্য আপনাকে একটি অনলাইন মার্কেটিন্নগ এজেন্সি দার করাতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখবেন ভাবছেন? নিচের পোস্টে কমপ্লিট গাইডলাইন দেখে নিন।


ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব

বাস্তব জীবন আর অনলাইন জগতের মধ্যে যদি পার্থক্য খুঁজতে চান, তাহলে এক কথায় বলতে হয় অনলাইন জগত অনেক বেশি স্বচ্ছ। এখানে কাজ পেতে হলে আপনাকে কোন প্রকার ইন্টারভিউ বা সার্টিফিকেট এর প্রয়োজন নেই। আপনার কাজের অভিজ্ঞতা এবং আপনার নিজের পোর্টফোলিও প্রমাণ করবে আপনি কতটা দক্ষ।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর মূল উদ্দেশ্য হল কোন বিজনেস বা সার্ভিসের ব্র্যান্ডিং বা অনলাইন প্রেজেন্স গ্রো করা। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখার পাশাপাশি নিজের অনলাইন প্রেজেন্স গ্রো করতে থাকুন। এজন্য নিজের একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলুন। অনলাইনে যত প্ল্যাটফর্মে প্রোফাইল তৈরি করা যায়, সব জাগায় নিজের প্রোফাইল তৈরি করে ফেলুন।

তারপর আপনি সব জাগায় নিজের এক্টিভিটি বাড়াতে থাকুন। আপনার অনলাইন প্রেজেন্স দেখে এবং আপনার প্রোফাইলের প্রফেশনালিজম দেখে বিজনেস ওনার রা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন, নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আপনাকে কখনই কারো কাছে যেতে হবে না। আপনার চেষ্টা এবং পরিশ্রমই যথেষ্ট।
আমাদের শেষ কথা

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে রাখাটা খুবই জরুরী। আপনি যদি একটু ধৈর্য ধরে কষ্ট করে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজ শিখে নিতে পারেন তাহলে মনে করবেন আপনি ভবিষ্যতের যেকোনো মার্কেটিংয়ের জন্য প্রস্তুত। তবে অবশ্যই এক্ষেত্রে আপনাকে কষ্ট করে ডিজিটাল মার্কেটিং এর সম্পূর্ণ বিষয়টাই শিখতে হবে।

অনেক সময় অনেক এক্সপ্রিমেন্ট এবং অনেক অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং এ নিজদেরকে দক্ষ হিসেবে তুলে ধরতে পারবো। আপনি যদি এই ক্ষেত্রে কিছুদূর যাওয়ার পর হাল ছেড়ে দেন তাহলে কিন্তু আপনি কোন ভাবে সফল হতে পারবেন না।

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ারঃ সফল হওয়ার ১০ টি পদক্ষেপ

আজকের পৃথিবীকে ডিজিটাল জগত বলা হলে কোন ভুল হবে না। আর এই ডিজিটাল জগতে সবচেয়ে এক্সাইটিং পেশা হলো ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার । ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) এ নিত্যনতুন চ্যাঁল্যাঞ্জের কোন অভাব হয় না। আপনি একবার যদি এই পেশাতে কাজ শুরু করেন তাহলে একটা ব্যাপার কিন্তু নিশ্চিত। একঘেয়ে লাগার মত সময়ই পাবেন না আপনি।

এখন বিশ্ব জুড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার ছড়িয়ে পরছে। তাই এখানে আপনার ক্যারিয়ার শুরু করার এটাই সবচেয়ে ভাল সময়। এখানে সব সময় আপনি পাবেন নতুনত্তের স্বাদ। পরপর দুটো দিন কখনই সমান পাবেন না। প্রতিযোগিতা এই পেশাতে আছে সবসময় কিন্তু সফলতার সুযোগও কম নয়।

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার শুরুর পদক্ষেপ সমূহ

১। সবার আগে জানা দরকার সামাজিক মাধ্যমগুলো কি করে কাজ করে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শুধু সেলফি আর পোষ্ট শেয়ার করার জন্য নয়। এখানে মানুষ এবং বিভিন্ন পণ্য আর সেবার মধ্যে একটা ত্রিমুখী যোগাযোগ ঘটে। বিভিন্ন পণ্যের ব্র্যান্ড আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সদস্য বিভিন্ন মানুষের মাঝে এই যোগাযোগ বোঝাটা খুব জরুরী। এই যোগাযোগ পণ্যগুলোর বিক্রিতে কি করে প্রভাব ফেলছে সেটাও আপনাকে বুঝতে হবে। এটা বুঝতে পারলেই কিন্তু আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার -এ প্রথম সাফল্য পেয়ে গেলেন।

২। লিঙ্কডইন-এ আপনার প্রোফাইল তৈরি করুন
পেশাগত সাফল্য পেতে হলে আপনাকে লিঙ্কডইনে সক্রিয় হতে হবে। আজকের পৃথিবীতে কি জানেন এটার চেয়ে অনেক জরুরী আপনি কাকে কাকে জানেন। লিঙ্কডইন দুনিয়াজুড়ে পেশাজীবীদের এমন একটি যোগাযোগ মাধ্যম যেখানে বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে আপনার জানার অনেক সুযোগ আছে। এছাড়াও পাবেন  বিভিন্ন বিষয়ে অনেক আপডেট। আপনার আপডেটড লিঙ্কডইন প্রোফাইল সম্ভাব্য নিয়োগদাতাদের আপনার ব্যাপারে একটা বার্তাই দেবে, আপনি আপনার পেশার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সবকিছুই জানেন।

৩। নেটওয়ার্কিং গ্রুপে যোগ দিন
যদিও লিঙ্কডইনে অনেক গ্রুপ আছে, কিন্তু আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল হবে যদি আপনি আপনার আশেপাশের কোন গ্রুপে সশরীরে যোগ দেন। এই গ্রুপগুলো মাঝেমাঝেই বিভিন্ন বিষয়ের অভিজ্ঞ পেশাজীবীদের আমন্ত্রণ জানায়। তাদের বক্তব্য থেকে আপনার কিন্তু অনেককিছু জানার আছে। কে জানে একদিন হয়তো আপনার ভবিষ্যৎ বসের সাথে এখানেই দেখা হয়ে যেতে পারে।

৪। খুজে নিন একজন পথ প্রদর্শক
পেশাগত জীবনে শিক্ষক নয় দরকার একজন পথপ্রদর্শকের। যিনি তার নিজের ভুলভ্রান্তি থেকে শেখা অভিজ্ঞতা আপনার সাথে ভাগ করে নেবেন। কাছের কোন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে বিহিন্ন বিসয় জানাটা আপনার এগিয়ে যাওয়াতে অনেক সাহায্য করবে। ডিজিটাল মার্কেটিং পেশায়ে যারাই আছেন তারা সবাই কিন্তু নতুনদের সাহায্য করতে আগ্রহী। তাই কাওকে কিছু জিজ্ঞেস করতে একদমই দ্বিধা করবেন না।


৫। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলুন
সময়টাই এখন ছুটে চলার। আর ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার জগতে এই চলা হয় আলোর গতিতে। এই গতির সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে বদলাতে না পারলেই কিন্তু পিছিয়ে পরবেন। কখন, কোথায়, কি হচ্ছে; চটজলদি জানার জন্য টুঁইটার একটা ভাল মাধ্যম। এছাড়া লিঙ্কডইন পালস থেকে আপনি জানতে পারবেন আপনার কাজের ক্ষেত্রে বা আপনার পছন্দের ক্ষেত্রে কখন কি নতুন ঘটছে। যে কোন চাকরীর ইন্টার্ভিউতে আপনাকে অবশ্যই জিজ্ঞেস করা হবে আপনার কাজের (Digital Marketing) ক্ষেত্রের একদম নতুন আপডেটগুলো। তাই এসব ব্যাপার আগে থেকেই জেনে রাখুন যেন আপনি সেসব তথ্য সময়মত ব্যাবহার করতে পারেন।


৬। শুরু করে দিন ব্লগিং
যে কোন বিসয়ে আপনার জ্ঞান অন্যের কাছে তুলে ধরার জন্য ব্লগিং এখন সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম।এতে করে আপনি যেমন শিখতে পারেন তেমনি অন্যকে শেখাতেও পারেন। এটা আপনার নিজের পেসাগত বিষয়ের ওপর আপনার কতটা আগ্রহ তা অন্যের কাছে তুলে ধরে। তাছাড়াও আপনার ব্লগ কতজন পরছে বা শেয়ার করছে, এই প্রশ্ন কিন্তু ইন্টার্ভিউতে আপনাকে করা হতে পারে। তাই আপনার ব্লগটা এমন ভাবে সাজান যাতে অন্যরাও আপনার লেখার প্রতি আগ্রহ দেখায়।

৭। ডিজিটাল জগতের বিশ্লেষণটা বোঝার চেষ্টা করুন
ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার জগতে তথ্যের বিশ্লেষণ বোঝাটা খুবই জরুরী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা গুগল এনালাইটিকস কি ভাবে কাজ করে সেটা জানা আপনার জন্য খুবই প্রয়োজন। আপনাকে নানা ধরনের বিসয় বা ছবির ডিজিটাল জগতে প্রয়োগ ও প্রয়োগের তথ্য বিচার বিশ্লেষণ করতে হতে পারে। কিন্তু তার আগে এই কাজ গুলো কেমন করে করবেন সেটা জেনে নিন। গুগলের সহযোগী প্রোগ্রামগুলো থেকে আপনি এব্যাপারে বিনা মুল্যে সাহায্য পাবেন।

৮। কিছু অনলাইন কোর্স করুন
ডিজিটাল মার্কেটিং ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-এ হাতেখড়ির জন্য অনলাইনে হাজারো কোর্স রয়েছে। এর মধ্যে অনেকগুলোই আপনি বিনামুল্যে করতে পারেন। এসব কোর্স একদিকে যেমন আপনাকে প্রাথমিক বিষয়গুলো সম্পর্কে জানাবে অন্যদিকে আপনার সিভিতে যোগ করবে নতুন অভিজ্ঞতা।

৯। কোড শেখাটা খুবই জরুরী
এখন ইন্টারনেটে যে কোন ওয়েব ডেভলাপমেন্তের কাজ করতে হলে আপনাকে কোড করাটা জানতে হবে। আর এই কোডিং জানা মানুষের কিন্তু ডিজিটাল জগতে অনেক দাম। চাকরি বা কাজ পেতে খুব একটা সমস্যা হয়না।

১০। প্রতিষ্ঠান না এজেন্সি ?
এই প্রশ্নের উত্তর তা পেয়ে গেলেই কিন্তু ডিজিটাল জগতে আপনার পা দেয়ার সময় হয়ে গেছে বুঝতে হবে। আপনি কি একটা বড় প্রতিস্থানের নিজস্ব কর্মী হিসেবে কাজ করতে চান নাকি কোন এজেন্সিতে থেকে বহুবিধ দায়িত্ব পালন করতে চান। দুটোরই ভাল মন্দ দিক আছে। চাইলে আপনি কাজের জায়গা পরিবর্তনও করতে পারেন। কিন্তু সবার আগে জানা দরাকার শুরুটা কোথা থেকে করবেন।

ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার এর মত গতিশীল পেশা আপনার ভাল লাগবেই। কারন এই পেশাতে একঘেয়েমির কোনই সুযোগ নেই। প্রতিটা দিন আপনার জন্য নতুন কোন সম্ভবনা নিয়ে আসবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয় কেমন

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ১-২টি ক্যাটাগরিতে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করলে আপনি মাসে গড়ে ৳১০,০০০ – ৳৫০,০০০ পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। তবে এটি ক্লায়েন্ট, প্রজেক্টসংখ্যা ও আপনার নির্ধারিত রেটের উপর নির্ভরশীল। তাই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনো প্রত্যাশা না রাখাই ভালো।

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম Fiverr থেকে একটা উদাহরণ নিয়ে দেখা যাক।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

এসইও ব্যাকলিংকের এ সার্ভিসে ১ দিনের ডেলিভারিতে এ ফ্রিল্যান্সার চার্জ করছেন ৫ ডলার। প্রতিদিন তিনি যদি ১টি করে প্রজেক্ট পান, তাহলে সারা মাসে তার উপার্জন হবে ১৫০ ডলার। আবার Fiverr এ আয়ের উপর ২০% ফি কেটে রাখে। অর্থাৎ, ফি কাটার পর মাসিক উপার্জন গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ১২০ ডলারে। ডলারের রেট ১০০ টাকা ধরলে এক্ষেত্রে মাসিক আয় ৳১২,০০০।

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং থেকে ভালো আয় করার জন্য আপনাকে তাই নিয়মিত যেমন কাজ পেতে হবে, তেমনি এমন একটি রেট ঠিক করতে হবে যেন প্রজেক্টসংখ্যা কম হলেও আপনার আয় কমে না যায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিংয়ে কী কাজ করতে হয়?

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিংয়ে আপনার মূল কাজ হলো ক্লায়েন্টের ডিমান্ড অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট কাজের ডেলিভারি দেয়া। যেমন, একটি ফেসবুক মার্কেটিং প্রজেক্টে আপনার কাজ হতে পারে ৩ সপ্তাহের অ্যাড ক্যাম্পেইন চালিয়ে ক্লায়েন্টের জন্য কমপক্ষে ১০০টি কোয়ালিটি লিড নিয়ে আসা।
ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে শুরু করবেন?
 

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ শিখুন।
 ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে সাইন-আপ করুন।
 ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত কাজ খুঁজুন।
 ক্লায়েন্টের ডিমান্ড অনুযায়ী কাজের প্রপোজাল সাবমিট করুন।
 কাজ পেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঠিকভাবে কাজের ডেলিভারি দিন।
 নিয়মিত পোর্টফোলিও আপডেট করুন।
 ক্লায়েন্টের কাছ থেকে রেফারেন্স ও রিভিউ নিন।
 কীভাবে কাজ করলে আপনি সবচেয়ে ভালো ডেলিভারি দিতে পারেন, সেটি ঠিক করুন।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কাজ শিখুন

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে কাজ শেখার কোনো বিকল্প নেই। আপনি হয়তো মনে করতেই পারেন, “আগে শুরু করি। এরপর একটু একটু শিখে নিলেই হবে।” কিন্তু এভাবে ভালো কাজের ডেলিভারি দেয়া প্রায় অসম্ভব। বরং কাজের কোয়ালিটি খারাপ হলে নতুন কাজ পাবার সম্ভাবনা একেবারে কমে যাবে।

ডিজিটাল মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য যে আপনাকে সব কাজ আগেভাগে পুরোপুরি শিখে নিতে হবে, তা কিন্তু নয়। যে ক্যাটাগরির কাজে আপনি বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বা যে ক্যাটাগরি নিয়ে তাড়াতাড়ি শিখতে পারেন, সে ক্যাটাগরি দিয়েই শুরু করুন। পরে অন্য ক্যাটাগরিতে ফোকাস করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে সাইন-আপ করুন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের শুরুতে অনেকে একসাথে কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট বানান। এতে করে কাজ পাওয়া ও ম্যানেজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। সময়েরও অপচয় হয়। তাই যেকোনো ১টি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে সাইন-আপ করুন। স্কিল আর কনফিডেন্স থাকলে সর্বোচ্চ ২টি প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিতে পারেন। তবে একবারে ২টি অ্যাকাউন্ট কতটুকু ম্যানেজ করতে পারবেন, সেটা আগে ভাবুন।

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে শুধু সাইন-আপ করাই যথেষ্ট নয়। বরং ভালো কোয়ালিটির প্রোফাইল বানাতে হবে আপনাকে। কারণ, ক্লায়েন্টকে ইমপ্রেস করার জন্য এটিই আপনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায়। তাই:

সময় নিয়ে খুব ভালোভাবে ও নির্ভুল ভাষায় আপনার প্রোফাইল টাইটেল ও ডেসক্রিপশন লিখুন। কীভাবে আপনার স্কিল ক্লায়েন্টদের প্রজেক্টে সাহায্য করবে, সেটা যেন এ লেখাতে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, তা নিশ্চিত করুন।
 ক্লায়েন্টের সাথে আপনি কীভাবে কাজ করবেন, তার ধারণা দিতে পারেন। যেমন, কোন সময়ে আপনার সাথে ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করলে সাথে সাথে রেসপন্স পাবেন, সে ব্যাপারে তথ্য দিন।
 প্ল্যাটফর্মে থাকা স্কিল লিস্ট থেকে স্কিল বাছাই করুন। দরকার হলে পরবর্তীতে আপডেট করুন।
 প্রফেশনাল প্রোফাইল ছবি ব্যবহার করুন।
 কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে উল্লেখ করুন।
 স্কিল সার্টিফিকেট থাকলে উল্লেখ করুন।

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে আপনার কাজের পারিশ্রমিক আপনিই ঠিক করবেন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কম রেটের উপর ফোকাস না করে আপনার স্কিলের ভিত্তিতে রেট বেছে নিন।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত কাজ খুঁজুন।

আপনার স্কিল অনুযায়ী প্রতিনিয়ত আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে কাজ খুঁজতে হবে। যত্রতত্র প্রজেক্টে অ্যাপ্লাই না করে ক্লায়েন্টের পোস্ট ভালোভাবে পড়ে প্রজেক্ট সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিন। যদি প্রজেক্ট আপনার স্কিলের সাথে যায় ও কোয়ালিটি কাজের ডেলিভারি দেবার কনফিডেন্স থাকে, তাহলেই শুধু কাজের প্রপোজাল পাঠান।
ক্লায়েন্টের ডিমান্ড অনুযায়ী কাজের প্রপোজাল সাবমিট করুন।

কাজের প্রপোজালে ক্লায়েন্টের প্রতিটি ডিমান্ডকে গুরুত্ব দিন। কীভাবে তার সমস্যার সমাধান করবেন, সে সম্পর্কে লিখুন। আগে এ ধরনের কাজ করে থাকলে তার কথাও উল্লেখ করতে পারেন। এতে করে আপনার স্কিল ও অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্লায়েন্ট ভরসা পাবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
কাজ পেলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঠিকভাবে কাজের ডেলিভারি দিন।

প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্টের ডেলিভারির জন্য নির্দিষ্ট সময় থাকে। সেটি ১ দিন হতে পারে। আবার ১ মাসও হতে পারে। আপনি যেমন প্রজেক্ট নিয়েই কাজ করুন না কেন, ক্লায়েন্ট নির্ধারিত ডেডলাইনের মধ্যে ডেলিভারি নিশ্চিত করুন। নাহলে পেমেন্ট আটকে যাওয়া ও খারাপ রিভিউসহ বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হবে আপনাকে।

কোনো প্রজেক্টে কাজ করার সময় যদি দেখেন যে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় দরকার, তাহলে ক্লায়েন্টকে ঠিকভাবে বুঝিয়ে বলুন ও ডেডলাইন বাড়ানোর অনুরোধ করুন। এতে করে অযাচিত সমস্যায় পড়তে হবে না।
নিয়মিত পোর্টফোলিও আপডেট করুন।

প্রতিটি ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্ট আপনার জন্য একেকটি নতুন অর্জন। তাই একটি প্রজেক্ট শেষ করার সাথে সাথে আপনার পোর্টফোলিও আপডেট করুন। কারণ আপডেটেড পোর্টফোলিওর ভিত্তিতেই নতুন ক্লায়েন্ট পাওয়া সহজ হবে আপনার জন্য।
ক্লায়েন্টের কাছ থেকে রেফারেন্স ও রিভিউ নিন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভালো কোয়ালিটির প্রজেক্ট ডেলিভারি দিতে পারলে যেকোনো ক্লায়েন্ট আপনার যোগ্যতায় বিশ্বাস করবেন। তাই আপনার করা প্রজেক্ট ক্লায়েন্টের পছন্দ হলে তার কাছ থেকে রেফারেন্স ও রিভিউ নিয়ে রাখুন। প্রতিটি ভালো রিভিউ ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে আপনার ক্রেডিবিলিটি বাড়াবে। ফলে আপনি নিজের পারিশ্রমিক বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
কীভাবে কাজ করলে আপনি সবচেয়ে ভালো ডেলিভারি দিতে পারেন, সেটি ঠিক করুন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভালো কাজের ডেলিভারি দেয়া চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ, বিশেষ করে একসাথে ২-৩টি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করলে। তাই আপনার স্কিলের লেভেল, কাজ করার স্টাইল, কাজ করার সময় আর প্রজেক্টের ডিমান্ডসহ বিভিন্ন বিষয় মাথায় রেখে একটি ওয়ার্কফ্লো (Workflow) দাঁড় করান। এটি আপনার প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্টকে অনেকাংশে সহজ করে দেবে।

আপনার ওয়ার্কফ্লো বানানোর সময় কয়েকটি প্রশ্ন বিবেচনা করতে পারেন। যেমন:
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কোন কাজের জন্য আপনি কোন টুল ব্যবহার করেন?
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একেকটি কাজ করার জন্য আপনার গড়ে কত সময় দরকার হয়?
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন কাজের জন্য আপনার রেডিমেড কোনো টেমপ্লেট আছে কি না?
দিন/রাতের ঠিক কোন সময়ে কাজের উপর আপনি বেশি ফোকাস রাখতে পারেন?

Read More: কিভাবে ফাইভারে সফল হবেন

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Read More: ওয়েব ডিজাইন কি

Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

 
 

Read More: Mobile Phone Price | Phone Review

Read More: ডাটা এন্ট্রি কি

Post a Comment

0 Comments