ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম | মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ঘরে বসে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম | মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার উপায়

ইউটিউব ভিডিও তৈরী করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

আপনার হাতের স্মার্টফোনটি কিন্তু যথেষ্ট শক্তিশালী। ভিডিও রেকর্ড থেকে শুরু করে ভিডিও এডিট ও আপলোড পর্যন্ত সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া মোবাইল ফোনেই করা যায়। মোবাইল দিয়ে ভিডিও তৈরী করে ইউটিউবে আপলোড করে গুগল এডসেন্স প্রোগ্রামে যুক্ত হয়ে আয় করা সম্ভব। এছাড়া যথেষ্ট বেশি সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার পেলে স্পন্সরড ভিডিও করেও টাকা ইনকাম সম্ভব।

কী নিয়ে ইউটিউব ভিডিও বানাবেন, সেটা নিয়ে ভাবছেন? বর্তমানে ইউটিউবে সকল ধরণের ভিডিও কনটেন্ট এর চাহিদা ও ভিউয়ার রয়েছে। নির্দিষ্ট টপিক সিলেক্ট করে সেই বিষয়ক ভিডিও মোবাইলে তৈরী করে ইউটিউব দ্বারা মোবাইল দিয়ে ইনকাম করতে পারে যেকেউ।

Read More: ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়


ইউটিউব চ্যানেলে গুগল এডসেন্স যুক্ত হওয়ার এই প্রক্রিয়াটি ইউটিউব মনিটাইজেশন নামে পরিচিত। একটি ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ হতে গেলে প্রয়োজন হয়ঃ

বিগত ৩৬৫ দিনে ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম
মোট ১০০০ সাবস্ক্রাইবার
উল্লেখিত দুইটি শর্ত পুরণ হয়ে গেলেই ইউটিউব থেকে আয় শুরু হয়। একটু আগেই যেমন বললাম, আপনার চ্যানেল কিছুটা বড় হতে শুরু করলে ইউটিউব মনেটাইজেশন এর পাশাপাশি বিভিন্ন স্পন্সারশিপ থেকেও আয় সম্ভব। এছাড়াও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম এর আরো পথ তো থাকছেই।

ব্লগিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

দিনদিন অনলাইনে লেখার চাহিদ বাড়ছে। সে কথা মাথায় রেখে আপনিও হাতের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে খুলে ফেলতে পারবেন একটি ব্লগ। আপনার ব্লগ এ গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল নিতে পারলেই শুরু হয়ে যাবে আয়।

ব্লগিং শুরু করতে প্রথমে ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার কিংবা অন্য কোনো ব্লগিং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে নিজের ব্লগিং সাইট সেটআপ করুন। এরপর ধীরেধীরে কনটেন্ট পোস্ট করুন ও ব্লগে যথেষ্ট পরিমাণ মানসম্মত কনটেন্ট থাকলে গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করুন। গুগল এডসেন্স এপ্রুভ হয়ে গেলে আপনার ব্লগে এড দেখানোর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। এছাড়াও ব্লগে স্পন্সরড পোস্ট ও অ্যাফিলিয়েট পোস্টিং এর মাধ্যমেও আয়ের সুযোগ রয়েছে।


উল্লেখ্য যে, মোবাইল দিয়ে ব্লগিং করে আয় করার ক্ষেত্রে প্রথমে ব্লগের ডোমেইন ও হোস্টিং কিন্তু কিছু অর্থ খরচ হবে। আপনি যদি এই খরচ বহনে অপারগ হন, সেক্ষেত্রে অন্য কোনো ব্লগেও অর্থের বিনিময়ে লিখতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ফ্রিল্যান্সিং মানে শুধু নির্দিষ্ট কোনো কাজ  নয়। কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে স্বাধীনভাবে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে কাজ করে অর্থ উপার্জনকেই বলা হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে ফ্রিল্যান্সারগণ মোবাইলের মাধ্যমে অনেক টাকা আয় করে থাকেন।

আপনিও যদি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার কোনো একটি স্কিল অর্থাৎ দক্ষতা থাকার প্রয়োজন পড়বে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি এক বা একাধিক কাজ করতে পারেন। মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো হলোঃ

কনটেন্ট রাইটিং
ট্রান্সলেশন
কপিরাইটিং
ব্লগ কমেন্টিং
ফোরাম পোস্টিং
ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট
প্রুফরিডিং
প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন রাইটিং
ট্রান্সক্রিপশন, ইত্যাদি
আরো জানুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি ও ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে অনলাইনে আয় করবেন

ফটো ও ভিডিও বিক্রি করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

আপনার হাতে থাকা ফোনটি যদি ভালো ছবি ক্যাপচার করতে সক্ষম হয় এবং আপনারও ফটোগ্রাফি সম্পর্কে ধারণা থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি বা ভিডিও বিক্রি করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।

হতে পারে ফটোগ্রাফি আপনার শখ। এই শখকে কাজে লাগিয়ে আপনিও মোবাইল দিয়েই টাকা আয় করতে পারেন। ছবি ও ভিডিও বিক্রির জন্য অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। এমন মোবাইল ফটোগ্রাফি বিক্রির কিছুর জনপ্রিয় ওয়েবসাইট বা সার্ভিস হলোঃ

  • শাটারস্টক
  • ফোপ
  • আইএম
  • স্ন্যাপওয়্যার
  • ড্রিমসটাইম

এসব সাইটে স্টক ইমেজ ছাড়াও প্রায় সকল ধরনের ছবিই কেনাবেচা হয়। আপনি যে ধরনের ছবিই তুলুন না কেনো, এসব সাইটে মোবাইল দিয়ে তোলা ছবি বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।

অনলাইন টিউশন করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে অনলাইনে শেখার গুরুত্ব বেড়েই চলেছে। আপনি যদি কোনো বিষয়ে পারদর্শী হন, সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়ে অনলাইনে মোবাইলের মাধ্যমে অন্যদের পড়ানোর মাধ্যমেও আয় করতে পারেন।

অনলাইন টিউশান এর পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্স বানাতে পারেন, যা বিক্রি করেও আয় করা সম্ভব। এছাড়াও আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী সে বিষয় নিয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে কাজ করেও আয় করতে পারেন।

ধরুন আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং ভালো বুঝেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে একাধিক আয়ের পথ খোলা রয়েছে, তাও মোবাইল দিয়েই। প্রথমত আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে আয় করতে পারেন। এরপর অন্যদের ডিজিটাল মার্কেটিং অনলাইনে শিখিয়েও আয় করতে পারেন।

ফেসবুক ই-কমার্স দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
পূর্বে ব্যবসা শুরু করা একটি লম্বা প্রসেস ছিলো। তবে ফেসবুক ব্যবহার করেই বর্তমানে যেকোনো ধরনের অনলাইন ব্যবসা বা ই-কমার্স শুরু করা সম্ভব ঘরে বসেই। দেশে ফেসবুক এর অসংখ্য ইউজার রয়েছে। ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যবহারকারীই হয়ে উঠতে পারে আপনার কাস্টমার।

ফেসবুক ব্যবহার করে ই-কমার্স বিজনেস করতে আপনার ইনভেস্ট করতে হবে কিছু প্রোডাক্ট কেনার জন্য। এরপর উক্ত প্রোডাক্ট আপনার ফেসবুক ই-কমার্স পেজের ক্যাটালগে এড করে দিয়ে যেসব জায়গা থেকে সেল আসা সম্ভব, সেসব জায়গায় শেয়ার করুন। ব্যবহারকারীগণ ইচ্ছুক হলে আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি হতে বেশি সময় লাগবেনা।


বর্তমানে অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তার বৃদ্ধির বদৌলতে ফেসবুক অনলাইন শপ পেজগুলো থেকে পণ্য ক্রয়ের হার অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সাপ্লাই ডিমান্ডের কথা মাথায় রেখে মোবাইল দিয়ে অনলাইন বিজনেস শুরু করে টাকা আয় করতে পারেন আপনিও।

ফেসবুক মনিটাইজেশন দ্বারা মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও রয়েছে মনিটাইজেশন সুবিধা। ফেসবুক পেজ মনেটাইজ করে পেজে পোস্ট করা ভিডিও থেকে আয় করা সম্ভব। ফেসবুক পেজ মনেটাইজ করতে প্রয়োজনঃ

গত ৬০ দিনের মধ্যে ৬০০,০০০ মিনিট ওয়াচ টাইম
সর্বনিম্ন ৫টি একটিভ ফেসবুক ভিডিও
১০ হাজার পেজ ফলোয়ার।
এছাড়াও আপনি ফেসবুক ও ইউটিউব এর জন্য একই কনটেন্ট তৈরী করে দুইটি প্ল্যাটফর্মে আপলোড করতে পারেন। সেক্ষেত্রে সফলতার সম্ভাবনার হার বেশি থাকে।

ফেসবুক থেকে ইনকাম এর একাধিক মডেল রয়েছে, যেমনঃ ইন-স্ট্রিম এড, ফ্যান সাবস্ক্রিপশন, ব্র‍্যান্ডেড কনটেন্ট ও সাবস্ক্রিপশন গ্রুপ। ফেসবুকে যেহেতু ভিডিও শেয়ারিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই ভাইরাল করা যায়, সেক্ষেত্রে সময় দিলে ফেসবুক পেজ মনেটাইজেশন তুলনামূলক সহজ একটি কাজ।

রিসেলিং ব্যবসা করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

রিসেলিং ব্যবসাকে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ধরুন, আপনি ৫০টাকা দরে এক ডজন কলম কিনলেন এবং ৬৫টাকা দরে বিক্রি করলেন। বাড়তি যে দামে বিক্রি করবেন, সেটাই আপনার লাভ। এটাই হচ্ছে মূলত রিসেলিং ব্যবসার মডেল।

আপনি অনলাইনে শপ খুলে প্রোডাক্ট লিস্ট করতে পারেন। এরপর যখনই অর্ডার পাবেন, তখন কমদামে ওই পণ্য কিনে গ্রাহকের কাছে পৌছে দিবেন। রিসেলিং ব্যবসার সুবিধা হলো, আপনাকে প্রোডাক্ট স্টোর করে রাখার পেছনে কোনো  টাকা খরচ করতে হবেনা। শুধুমাত্র ফোন ব্যবহার করেই আপনি এই ব্যবসা করতে পারবেন ঘরে বসেই।

ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

ইন্সটাগ্রাম শুধুমাত্র একটি ফটো বা ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মই নয়, এর থেকে আয় করাও সম্ভব। ইন্সটাগ্রাম থেকে একাধিক মাধ্যমের সাহায্যে আয় সম্ভব। ইন্সটাগ্রাম এ আয় করার উপযোগী প্রোফাইল তৈরি করতেঃ

একটি আকর্ষণীয় প্রোফাইল বায়ো তৈরী করুন
নিয়মিত নির্দিষ্ট বিষয় এর আঙ্গিকে পোস্ট করুন
পোস্ট এর কোয়ালিটি বজায় রাখুন
একই ধরনের অন্য প্রোফাইলের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন
ফলোয়ারদের সাথে এনগেজমেন্ট স্থাপন করুন
ইন্সটাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে দরকার একটি মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগের। ইন্সটাগ্রাম থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কিছু উপায় হলোঃ

টাকার বিনিময়ে অন্যের একাউন্ট প্রোমোট করে

স্পন্সরড পোস্ট করে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করে, ইত্যাদি

অন্যসব প্ল্যাটফর্মের মতোই ইন্সটাগ্রামে কনটেন্ট এর বিশাল চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি এই চাহিদা অনুযায়ী কনটেন্ট সাপ্লাই দিতে পারেন, সেক্ষেত্রে খুব সহজেই অল্পদিনের মধ্যে আপনার ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল জনপ্রিয় হয়ে যাবে ও আয় করতে পারবেন।

মাইক্রোওয়ার্ক সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

ছোটোখাটো অনেক সহজ কাজ, যেমনঃ পোস্ট শেয়ার, ভিডিও দেখা, কমেন্ট করা, অ্যাপ ইন্সটল ইত্যাদির কাজের বিনিময়ে কিছু সাইট অর্থ প্রদান করে থাকে। এসব সাইটকে মাইক্রোওয়ার্ক সাইট বলে। এসব সাইটের সুবিধা হচ্ছে, যেকেউ যেকোনো ডিভাইস এমনকি মোবাইল দিয়েও এসব সাইট থেকে আয় করতে পারে। কিছু জনপ্রিয় মাইক্রোওয়ার্ক সাইট হলোঃ

মাইক্রোওয়ার্কার্স
পিকোওয়ার্কার্স, ইত্যাদি
ইনভেস্টমেন্ট বা ট্রেডিং সাইট থেকে মোবাইল দিয়ে ইনকাম
ব্যাংক যে টাকা রাখার বিনিময়ে সুদ প্রদান করে, এটা আমাদের সকলের জানা। কিন্তু ব্যাংক থেকে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ অর্থ লাভ করতে প্রয়োজন বিশাল অংকের অর্থ। এছাড়া অনেকে সুদ অপছন্দ করেন। ইনভেস্টমেন্ট সাইটগুলো বর্তমানে আপনাকে টাকা ইনভেস্ট করার বিনিময়ে লাভ দিতে পারে।

ইনভেস্টমেন্ট সাইট অনেক থাকলেও, অনেক ইনভেস্টমেন্ট সাইটের আড়ালেই থাকে প্রতারণার সম্ভাবনা। তাই যেকোনো ইনভেস্টমেন্ট সাইটে যেকোনো অংকের অর্থ ইনভেস্ট এর আগে এটা নিশ্চিত করুন যে, সাইটটি প্রতারক নাকি আসলেই কাজ করে।

ডেলিভারি সার্ভিস এর মাধ্যমে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

বাংলাদেশে অনলাইন শপিং মার্কেটপ্লেস এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজন বাড়ছে ডেলিভারি সার্ভিস প্রদান করার জন্য লোকবলের। আপনার কাছে যদি একটি সাইকেল বা বাইক এবং হাতের কাছে একটি স্মার্টফোন থাকে, সেক্ষেত্রে যুক্ত হতে পারেন ফুডপান্ডা, সহজ ফুড এর মতো ফুড ডেলিভারি সার্ভিসে। এই ডেলিভারি সার্ভিস এর কাজ পার্ট-টাইম ও ফুল-টাইম, আপনার ইচ্ছামত যেকোনো উপায়েই করতে পারেন।

ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

সম্প্রতি দেশে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলো যোগাযোগ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি নিয়ে এসেছে। আপনার যদি রাইড শেয়ারিং করার মতো একটি যানবাহন ও একটি স্মার্টফোন থাকে, তবে এখনই আয় শুরু করতে পারেন।

পাঠাও, উবার এর মতো রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলোতে কাজ করা যায় পার্ট-টাইমও। আপনি যদি ইনকামের একটি আলাদা সোর্স খুঁজে থাকেন, তবে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসে ড্রাইভিং করে মোবাইল দিয়েই ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অ্যাপস

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করার অসংখ্য অ্যাপ থাকলেও খুব কম অ্যাপেই টাকা ইনকাম করা যায়। এসব অ্যাপ থেকে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ অর্থ আয় করা না গেলেও হাত খরচের টাকা তোলা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কিছু উল্লেখ্যোগ্য অ্যাপঃ

পোল পেঃ এই অ্যাপটি মূলত বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারকারীর মতামত এর জন্য পে করে থাকে। এটি একটি অপিনিওন ও আনসার রিওয়ার্ড অ্যাপ। অর্জিত ক্রেডিট তোলা যাবে গুগল প্লে, নেটফ্লিক্স, আমাজন, এক্সবক্স ইত্যাদির গিফট কার্ড হিসেবে। আপনি চাইলে এই গিফট কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন বা বিক্রিও করতে পারবেন।


গুগল অপিনিওন রিওয়ার্ডঃ এই অ্যাপটি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে অনেক জনপ্রিয়। অ্যাপটি মূলত বিভিন্ন সার্ভে কমপ্লিট এর জন্য গুগল প্লে ক্রেডিট দিয়ে থাকে।
আরো জানুনঃ ফাইভারে যেভাবে কাজ করবেন

মোবাইল দিয়ে বিকাশ থেকে ইনকাম

হ্যাঁ, বিকাশ অফার থেকেও মোবাইলে টাকা ইনকাম সম্ভব। বিকাশ থেকে টাকা আয় করা অত্যন্ত সহজ। মূলত বিকাশ অ্যাপ রেফার করে বিকাশ দিয়ে ইনকাম করা যায়। বিকাশ অ্যাপ রেফার করে ১০০ টাকা পর্যন্ত বোনাস পাওয়া যাবে। বিকাশ অ্যাপ দিয়ে মোবাইলে আয় করতেঃ

বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে ডানদিকের বিকাশ লোগোতে ক্লিক করুন
‘রেফার বিকাশ অ্যাপ’ অপশন থেকে ‘রেফার’ এ ক্লিক করুন
অ্যাপের লিংকটি যেকোন মাধ্যম, যেমনঃ এসএমএস, ই-মেইল, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ইত্যাদির মাধ্যমে শেয়ার করুন
রেফারেল লিংক ব্যবহার করে যিনি বিকাশ অ্যাপ দিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি তুলে একাউন্ট খুলে লগ ইন করবেন, তিনি পাবেন ২৫ টাকা ইনস্ট্যান্ট বোনাস।

এরপর তিনি বিকাশ অ্যাপ থেকে প্রথমবার যেকোনো পরিমান মোবাইল রিচার্জ বা ক্যাশ আউট করলে পাবেন আরও ২৫ টাকা ক্যাশব্যাক বোনাস। সর্বমোট ৫০ টাকা বোনাস পাবেন গ্রাহক। আপনিও বোনাস পাবেন।
উল্লিখিত মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম এর ১৪টি উপায়ের মধ্যে কোন উপায়টি আপনার সবচেয়ে পছন্দের? আমাদের জানান কমেন্ট সেকশনে। এছাড়া আপনার আইডিয়াও শেয়ার করুন আমাদের সাথে!

অনলাইন টাকা রোজগার করার সেরা উপায়, Best ideas for earning money online in Bengali
 in Finance,Technology

অনলাইনে বিভিন্ন সাইট আছে যার সদ্ব্যবহার করে অনেকেই টাকা উপার্জন করতে পারেন, যদিও অনেকেই এই সম্পর্কে অবগত নয়, আবার অনেকে এইভাবে কাজ করে মাসে মাসে প্রচুর টাকা উপার্জন করছেন। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা অনলাইনে  ইনকাম  করার বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে আলোচনা করবো।

অনলাইন টাকা রোজগার করার সেরা উপায়

ফ্রিল্যান্সিং, freelancing
ফ্রিল্যান্সিং বর্তমান সময়ে অনলাইনে আয়ের সব থেকে জনপ্রিয় উপায়। আপনার দক্ষতা অনুসারে আপনি বিভিন্ন সাইটে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। গ্রাফিক ডিজাইনার এবং অনুবাদকরাও ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সহজে পেতে পারেন। বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে লগ ইন করে অ্যাডমিন এর সাথে চুক্তির যাবতীয় শর্ত ও দেনা পাওনা বুঝে নিয়ে কাজে যোগ দিতে পারেন।

 ফ্রিল্যান্সিং করে আজকের সময়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছেন। কেউ চাইলে এই ফ্রিল্যান্সিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারেন। কাজ করার জন্য অনলাইনে প্রচুর পরিমাণ রিসোর্স আছে, সেগুলো থেকে আইডিয়া নিতে পারেন, অথবা ফ্রি কোর্স করে ফেলতে পারেন। নিজেকে দক্ষ করে তুলে তবেই ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে পা রাখুন। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় এবং প্রচুর চাহিদা রয়েছে এমন কয়েকটি ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের নাম হল –

ফ্রিল্যান্সিং
ওয়েব ডিজাইন

ওয়ার্ডপ্রেস থিম কাস্টোমাইজেশন এন্ড ডেভেলপিং

এসইও

কন্টেন্ট রাইটিং

ভিডিও এডিটিং

ওয়েব প্রোগ্রামিং

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট।


গুগল ড্রাইভ কি এবং কিভাবে তা ব্যবহার করতে হয়? Know what is Google Drive and its usage in Bengali

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়, earn through affiliate marketing
 নেট দুনিয়ায় বিচরণ করেন এমন ব্যক্তিগণ এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে নিশ্চই অবগত। তবে অনেকের মনে প্রশ্ন আছে যে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?


বর্তমান সময়ে এই ডিজিটাল দুনিয়ায় অনেকটা কম সময়েই যেকোনো প্রোডাক্টকে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে পৌছে দেওয়া যায়। এফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমনই একটি প্রসেস। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে আপনার ক্রেতা বিক্রেতার মধ্য মধ্যস্ততাকারীর ভূমিকা পালন করতে হয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে অনেকেই অনলাইন ইনকাম করছেন এবং বর্তমানে ভালো অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত।   

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়
কম্পিউটার শিক্ষার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা, What is the Importance of computer education in Bengali

ব্লগিং, blogging
ওয়েবসাইটের মতই ব্লগ লেখার মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। তুলনা করতে গেলে ওয়েবসাইটের এর তুলনায় ব্লগ তৈরির খরচ অপেক্ষাকৃত কম হয়। তাছাড়া চাইলে বিনামূল্যেও ব্লগ প্ল্যাটফর্ম খোলা যায় এবং লেখার কাজ শুরু করা যায়, কারণ ব্লগ খুলে তো বসে থাকলেই চলবে না। নিয়মিত কিছু না কিছু ব্লগে আপডেট করতে হবে। এভাবে ব্লগ সাইটকে ব্যস্ত রাখতে পারলে প্রায় বছরখানেক পর টাকা উপার্জন করা সম্ভব হবে।  

ব্লগিং

ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, Best ever detailed study about wordpress in Bengali

ইউটিউব, YouTube

 নানা বিষয় নিয়ে ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও বানিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার কাছে ভালো বিষয় এবং তা উপস্থাপনা করার দক্ষতা থাকতে হবে, তবেই ভিউয়ার বাড়বে এবং টাকা আয় করা সম্ভব হবে।

ওয়েবসাইট তৈরি করার কাজ, earn by creating websites
কেউ চাইলে নিজেই ওয়েবসাইট বানিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে আয়ের ব্যবস্থা করতে পারেন, আপনার যে ব্যাপারে দক্ষতা আছে তা নিয়ে ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং তা গুগল অ্যাডসেন্সের সঙ্গে জুড়ে দিতে পারেন। পাঠকেরা যত বেশি আপনার ওয়েবসাইট পড়বে, আপনার আয় তত বেশি হতে থাকবে।

ইউটিউব
সমীক্ষা সার্চ ও রিভিউ, review and research
বিভিন্ন অনলাইন সমীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেও আপনি টাকা আয় করতে পারেন। এছাড়া অনলাইনে বিভিন্ন কিছু সার্চ করেও রোজগারের সুযোগ থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন পণ্যের ব্যাপারে রিভিউ লিখেও আয় করা যেতে পারে।

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সম্পর্কে বিশদ তথ্য, Best details on Hardware and Software in Bengali

সমীক্ষা সার্চ ও রিভিউ
অনুবাদক বা ট্রান্সলেটর, translator
কারও যদি বিভিন্ন ভাষায় দক্ষতা থাকে তবে সে অনুবাদক হিসাবে অনলাইন সাইটে কাজ করতে পারেন। বিভিন্ন নথি অনুবাদ করার কাজ অনলাইনে থাকে, বিভিন্ন সাইটে এই কাজগুলো করলে শব্দপিছু অর্থ পাওয়া যায়। তবে ভারতীয় ভাষায় সাধারণত অনুবাদের কাজ তেমন বেশি পাওয়া যায় না, সেক্ষেত্রে বিদেশি ভাষাই বেশি প্রাধান্য পায়।

অনুবাদক বা ট্রান্সলেটর
মোবাইলে গেম খেলে টাকা ইনকাম, earn by playing games in mobile
আজকাল নতুন জেনারেশন এর অনেকেই মোবাইল দিয়ে গেম খেলে। তবে এখনও অনেকেই জানেন না যে এই মোবাইল দিয়ে গেম খেলেও ঘরে বসেই প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়। এরজন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল অথবা একটি ফেসবুক পেজ বানিয়ে নিয়ে সেখানে লাইভ স্ট্রিম করে অনেকেই প্রতি মাস হিসেবে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন। তাছাড়াও অনেক গেমিং অ্যাপ আছে যার ব্যবহারকারীরা খেলার মাধ্যমে পয়েন্ট জমা করে পরে তা টাকায় রূপান্তরিত করে ব্যাংকে নিয়োগ করতে পারেন।

মোবাইলে গেম খেলে টাকা ইনকাম

ভিডমেট কি? ভিডমেট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, Best detailed information about Vidmate in Bengali   

অনলাইন শিক্ষকতা, online tutorials
করোনা মহামারীর সময় থেকে ঘরে বসে অনলাইনে শিক্ষকতা করার প্রবণতা গোটা বিশ্বে অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনও বিষয়ে যদি দক্ষতা থাকে তবে সেই বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইন শিক্ষকতা সংক্রান্ত অ্যাপের দ্বারা অনলাইনে পড়াতে পারেন। সেক্ষেত্রে দেশ বা বিদেশের ছাত্রও পড়াতে হতে পারে। বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যারা এই ধরণের পঠনপাঠন পরিচালনা করে এবং বিভিন্ন রাজ্যের ছাত্রছাত্রী একসাথে সেখানে ক্লাস করতে পারে। তবে এই কাজ শুরু করতে গিয়ে আগে পরীক্ষা দিয়ে ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়।

লেখালিখি সংক্রান্ত কাজ, earn by writing
যেসব ব্যক্তির লেখার ক্ষেত্রে হাত ভালো, তারা কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করে দেখতে পারে। এই পেশায় যারা কাজ করেন তারা বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিবেদন লিখে অনলাইন নির্দিষ্ট সংস্থার কাছে পাঠাতে পারেন, এক্ষেত্রে পছন্দমত নিজ দক্ষতা অনুযায়ী যেকোনো ভাষা ব্যবহার করতে হবে। বেশ কয়েকটি সংস্থা রয়েছে যাদের কাছে শব্দপিছু পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা থাকে, কিছু ক্ষেত্রে দিন বিশেষে কত প্রতিবেদন পাঠানো হচ্ছে তার উপরও পারিশ্রমিক ঠিক করা হয়ে থাকে।  

কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে, কম্পিউটার কি কি কাজে ব্যবহার করা হয়? Know about the Importance of computer in Bengali

অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ, online data entry
আজকাল বিভিন্ন ধরনের অনলাইন সাইট রয়েছে যেখানে বেশ কিছু কোম্পানির তরফে  কাজ করলে কোম্পানির তরফ থেকে আপনাকে ডেটা দেওয়া হবে এবং সেগুলো সঠিকভাবে বিভিন্ন ফর্ম বা শিটে ফিলাপ করে দিলে আপনি প্রতিদিনের হিসেবে প্রচুর টাকা অর্জন করতে পারবেন। এই ডাটা এন্ট্রির কাজ মোবাইল দিয়ে অথবা ল্যাপটপ দিয়েও করা যেতে পারে। আজকাল বেশ কিছু সরকারি অফিসের তরফেও প্রচুর কাজ থাকে যা অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করে সেখান থেকে কাজ নিয়ে এসে বাড়িতে বসেই বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি অথবা ফর্ম ফিলাপ এর কাজ করে দিয়ে প্রতিদিন প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও গুগলে গিয়ে সার্চ করলে এ ধরনের অনলাইন ডাটা এন্ট্রির কাজের সন্ধান পেয়ে যাবেন যা বাড়িতে বসেই করা যায় এবং এর মাধ্যমে আপনি প্রতিদিন এমনকি প্রতি মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

অনলাইনে ডাটা এন্ট্রির কাজ

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, social media marketing
বর্তমান দিনে সমস্ত জায়গার মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে। এই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ার সাইটকে কাজে লাগিয়েও আপনি বাড়িতে বসেই প্রচুর টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সামাজিক মাধ্যমে কোনও দোকান বা কোনো ইনস্টিটিউট এর প্রচার করার কাজ শুরু করতে পারেন এবং এর জন্য চুক্তি করে ভালো টাকা উপার্জন করা সম্ভব।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

গ্রাহক সহায়তা বা কাস্টমার সাপোর্ট এর কাজ, Customer support
যে কোনো ব্যক্তি বাড়িতে বসে অনলাইনের মোবাইল বা ল্যাপটপের ব্যবহার করে কাস্টমার সাপোর্টের কাজ করতে পারেন এবং এর দ্বারা মাসে প্রচুর টাকা কামাতে পারবেন। অ্যামাজনের মতো বড় কোম্পানিও এই কাস্টমার সাপোর্ট এক্সিকিউটিভ এর কাজ ঘরে বসেই করার সুযোগ প্রদান করে থাকে। এইক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজ হয়, যেমন চার্ট সাপোর্ট, ইমেইল সাপোর্ট, ভয়েস সাপোর্ট ইত্যাদি; এছাড়াও আরো অনেক বিকল্প রয়েছে । এইসব কাজ করেও আপনি প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার নিয়ম

মোবাইল হাতে নিয়ে আমরা বেশিরভাগ সময়ই ফেসবুক, টিক টক বা অন্যান্য ওয়েবসাইট নিয়ে পড়ে থাকি। কিন্তু আমরা কখনো এটা নিয়ে চিন্তা করি না যে মোবাইল দিয়ে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অনেকগুলো পথ আপনার জন্য রয়েছে যেগুলো আমরা আজ আপনাদের সামনে সুন্দরভাবে তুলে ধরব।

অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করার অনেকগুলো পথ রয়েছে এগুলো থেকে আপনার যে পথটি সহজ মনে হয় সেটি বেছে নিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন। আজকের এই পোস্টটিতে আপনারা জানতে পারবেন মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ নিয়ম। তাই আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার নিয়ম।

Table of Contents
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 2023
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম app
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট অ্যাপ
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম

আপনি যদি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার খুব একটা বেশি দক্ষতা থাকতে হবে না সামান্য কিছু ধারণা থাকলেই হয়ে যাবে। কারণ আজকের এই পোস্টটিতে আপনাদের জানিয়ে দেবো টাকা ইনকাম করার সম্পূর্ণ নিয়ম ও পদ্ধতি সমূহ। আপনি যদি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে কন্টেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, অ্যাপ ইন্সটল, ফেসবুক মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ইউটিউবিং, ব্লগিং, ফটোগ্রাফার, রিসেলিং ইত্যাদি থেকে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

সচরাচর অনেকের মুখেই এটা শোনা যায় যে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায় না। কিন্তু কথাটি একেবারেই মিথ্যা। আপনার যদি মনবল ও কাজের ধৈর্য শক্তি থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য কিছুটা কষ্ট করতে হবে কিন্তু আপনি অবশ্যই মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তো চলুন দেখে নেওয়া যাক মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম কিভাবে করবেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম 2023

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার একাধিক উপায় রয়েছে। আর হ্যাঁ 2023 সালে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার নতুন কয়েকটি উপায় বের হয়েছে। যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা মোবাইল দিয়ে অতি সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য মোটামুটি একটি মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট সংযোগ, আর ধৈর্য শক্তি থাকলেই আপনি মোবাইল দিয়ে অনায়াসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার কয়েকটি উপায় হল:

ইউটিউব ভিডিও আপলোড।
ফটো শুটিং।
ফেসবুক মার্কেটিং।
ফেসবুক ই-কমার্স
রিসেলিং ব্যবসা।
টাকা ইনকাম করার অ্যাপস।
বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম।
ইনস্টাগ্রাম থেকে।
অনলাইন টিউশন করিয়ে।
ফ্রিল্যান্সিং করে।
ড্রাইভিং।
ব্লগিং করে।
ভিডিও এডিটিং।
অ্যাপ ইনস্টল।

বর্তমান সময়ে অর্থাৎ, 2023 সালএ এসব টাকা ইনকাম করার উপায় গুলো খুবই জনপ্রিয়ভাবে দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। আপনি ইচ্ছে করলে উপরে দেওয়া যে কোনো উপায়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন মোবাইল দিয়ে। কেননা এসব সাইট থেকে আপনি মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার উপায়
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে হলে নানা ধরনের উপায় রয়েছে। আপনার ইচ্ছে মতো যেকোনো উপায়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
ভিডিও এডিটিং:  ভিডিও এডিটিং করে আপনি যদি ইউটিউব অথবা ফেসবুকে আপলোড করে থাকেন তাহলে আপনি সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফটোশুটিং: ফটোশুটিং করে আপনি যদি শাটার স্টক বা সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ফটো ভাইরাল করতে পারেন তাহলে সেখান থেকেও আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুক মার্কেটিং/ফেসবুক ই-কমার্স: ফেসবুক মার্কেটিং বা ফেসবুক ই-কমার্স, ফেসবুকে নানা উপায়ে কাজ করে টাকা ইনকাম করানো কে বোঝানো হয়।
রিসেলিং: রিসেলিং মানে হল যেকোনো অ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কোন পণ্য শেয়ার এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা। যার পারসেন্টেন্স আপনাকে দেয়া হবে সেখানে আপনার কোন প্রকার ইনভেস্ট করা লাগবে না।

অ্যাপস: বর্তমান সময়ে নানা ধরনের অ্যাপস রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারেন।
বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম: আপনি বিকাশ থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ইনস্টাগ্রাম থেকে: আপনার যদি ইনস্টাগ্রাম এ বড় একটি আইডি থেকে থাকে তাহলে ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে আপনি থাকেন ইনকাম করতে পারবেন।
অনলাইন টিউশন: আপনি যদি অনলাইনে টিউশনি করিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে কয়েকটি ছাত্রের প্রয়োজন হবে আর ভালো একটু ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে। তাহলে আপনি অনলাইনে টিউশনি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং: বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং করে সর্বোচ্চ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এই ফ্রিল্যান্সিং এর ভেতরে সকল কাজ সমূহ রয়েছে।

ড্রাইভিং: আপনি যদি একজন ভালো ড্রাইভার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি অনলাইনে কার সম্পর্কিত এপ্স এ অ্যাড হয়ে কার ড্রাইভিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

ব্লগিং/ ভিডিও এডিটিং: আপনি যদি ভিডিও এডিটিং বা ব্লগিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার মোটামুটি একটি ভালো ব্লগার হতে হবে। তাহলে আপনি ব্লগিং করে ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে পোস্ট করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অ্যাপ ইন্সটল: অ্যাপ ইনস্টল এমন একটি ইনকাম করার পন্থা যেখানে আপনি অ্যাপ ইন্সটল করে অন্যজনকে রেফার কোড এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম app
মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য প্লে-স্টোর বা ক্রোম ব্রাউজারে অনেকগুলো অ্যাপস রয়েছে যেগুলো আপনি ব্যবহার করে মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনলাইনে নানা ধরনের ফেক বা ভুয়া অ্যাপস রয়েছে যেগুলো আপনার এড়িয়ে যেতে হবে। যে অ্যাপস গুলো থেকে মোবাইল দিয়ে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেই অ্যাপসগুলো আপনার ব্যবহার করতে হবে।

তাই আপনি যদি app দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার একটু যাচাই করে অর্থাৎ সেই app টি সঠিক অর্থাৎ, রিয়েল কিনা সেটা জেনে আপনাকে কাজ শুরু করতে হবে তাহলেই আপনি ধীরে ধীরে মোবাইল দিয়ে app এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট অ্যাপ
আপনি যদি মোবাইলে টাকা আয় করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে চান তাহলে আপনার যা যা করতে হবে তা আমি সুন্দর হবে তুলে ধরছি। আপনি যদি বিকাশে পেমেন্ট নিতে চান তাহলে যে কোন অ্যাপস বা যেকোনো উপায়ে টাকা ইনকাম করে সেই টাকা নেওয়ার সময় বা টাকা উঠানোর সময় পেমেন্ট অপশনে আপনার বিকাশ নাম্বারটি দিয়ে সাবমিট করবেন তাহলে আপনি মোবাইল থেকে ইনকাম কৃত টাকা বিকাশে নিতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় পেমেন্ট নগদ এবং বিকাশে
মোবাইল দিয়ে টাকা আয়-বর্তমান সময়ে হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি একটু টেকনিক খাটালেই ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।এবং আপনি চাইলে নগদ এবং বিকাশ এর মত বাংলাদেশী পেমেন্ট মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিনের পেমেন্ট প্রতিদিন নিতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় পেমেন্ট নগদ এবং বিকাশে
এবজন্য আজকের এই পোস্টেে  আপনাদেরকে একদম কিলিয়ার করে দিব। কিভাবে আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে প্রতিদিন টুকিটাকি কাজ করে ঘরে বসে নগদ এবং বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিবেন।

বর্তমানে হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইন থেকে ঘরে বসে ভালো মানের ইনকাম করা যায়। আবার অনেকে এই মাধ্যমগুলির সঠিক না জানার ফলে প্রতারণার শিকার হয়েও বিভিন্ন অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সম্মুখীন হয়।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় নগদ এবং বিকাশে পেমেন্ট

সেজন্য অনলাইন থেকে ইনকাম করার জন্য শুরুতেই আপনার যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে বিশ্বস্ত একটি মাধ্যমকে আপনার চয়েজ করতে হবে।
বিশ্বস্ত মাধ্যম যদি আপনি চয়েজ করতে না পারেন তাহলে আপনি হয়তো বা হয়রানি এবং প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

বিশ্বস্ত মাধ্যমে কিভাবে চিনবেন?
আপনি অনলাইনে যে মাধ্যম বা ওয়েবসাইটে আপনি কাজ করবেন, সে মাধ্যম বা ওয়েবসাইটের আপনি যোগাযোগের ঠিকানা তাদের কমিউনিকেশন গুলি দেখে নিবেন।
এর পরে সেই ওয়েবসাইটের অবশ্যই ফেসবুক পেজ ভিজিট করবেন এবং সে ওয়েবসাইটের অবশ্যই ফেসবুক গ্রুপ ভিজিট করবেন।
ফেসবুক পেজের প্রিভিউ আপনি ফলো করবেন এবং রেটিং ফলো করবেন। এছাড়াও তাদের ফেসবুক গ্রুপে ইউজারদের পোস্টগুলি ফলো করবেন।
এছাড়াও সেই ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে ইউটিউব সার্চ করে তাদের ইউটিউব চ্যানেলটির ভিডিও কমেন্টগুলো দেখে নিবেন।
যে কোন ওয়েবসাইটে অনলাইন থেকে ইনকাম করার কাজ করার পূর্বে এই বিষয়গুলি যদি আপনি দেখে নেন, তাহলে আপনি অটোমেটিকলি বুঝে যাবেন সেই ওয়েবসাইট বা সেই মাধ্যমটি বিশ্বস্ত কিনা।

আশা করছি আপনাদেরকে এমন একটি ওয়েবসাইটের আজকে সন্ধান দিব যে ওয়েবসাইটে এই সকল বিষয়গুলো হান্ডেট পার্সেন্ট বিশ্বস্ত মনে হবে।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয়

মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে আজকে যে ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনাকে জানাবো সে ওয়েবসাইটটি খুবই বিশ্বস্ত একটি ওয়েবসাইট। নতুন হলেও এই ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণ বিশ্বস্ত ইউজাররা কাজ করে যাচ্ছেন কন্টিনিউ এবং পেমেন্ট নিয়ে যাচ্ছেন বিকাশ এবং নগদে।

ওয়েবসাইট এর নাম কি?

ওয়েবসাইটের নাম – www.workupplace.com

এই ওয়েবসাইটে একাউন্ট করার জন্য আপনার প্রথমেই এই লিঙ্কের উপরে একটি ক্লিক করে এই ওয়েব সাইটের হোম পেজে প্রবেশ করবেন।মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
এরপরে আপনার সামনে এই ওয়েবসাইটের হোমপেজ আসলে উপরের দিকে রেজিস্ট্রেশন বলে একটি অপশন দেখতে পাবেন।
সেখানে আপনি ক্লিক করার সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন ফরম চলে আসবে সেখানে আপনি আপনার নাম ইমেইল এড্রেস এবং ফোন নাম্বার দিয়ে একাউন্ট তৈরী করে ফেলবেন।

মোবাইল দিয়ে টাকা আয়
অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে আপনার প্রোফাইলটি ওপেন হয়ে যাবে আপনি আপনার প্রোফাইল থেকে “ফাইন্ড জব“বলে একটি অপশন রয়েছে। সে অপশন থেকে এই সাইটে যতগুলি লাইভ আকারে কাজ রয়েছে সবগুলি কাজ আপনি দেখতে পাবেন।
সেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দের কাজটির উপরে ক্লিক করে দিলে কাজ কিভাবে করতে হবে বাংলায় সবকিছু বর্ণনা দেওয়া আছে সেই অনুযায়ী আপনি কাজ কমপ্লিট করে দিবেন।
যেভাবে একাউন্ট তৈরি করবেন তার ভিডিও লিংক আমি দিয়ে দিচ্ছি। এখান থেকে আপনারা চাইলে আরও সহজভাবে দেখে নিতে পারেন- https://youtu.be/IucYMNwP1bY

এই সাইটে কি ধরনের কাজ করতে হয়?
এ সাইটে যত ছোট ছোট অনলাইন রিলেটিভ কাজ রয়েছে- যেমন ফেসবুক, ইউটিউব, ওয়েবসাইট ভিজিট, অ্যাপস ইনস্টলেশন এ ধরনের ছোট ছোট কাজ করে আপনি ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।

এই সাইটে কিভাবে কাজ করবেন সে বিষয়ে এই ভিডিওটি দেখুন- https://youtu.be/ORdUYTL3NoU

সবকিছুই শিখলেন সব কাজই করলেন কিন্তু পেমেন্ট সম্পর্কে আপনার অবশ্যই জানতে হবে কারণ আপনি কাজ করেছে এই প্রেমেন্ট এর জন্য।
তো চলুন এখন এই সাইটের প্রেমেন্ট সম্পর্কে একটু জেনে আসি-
এই সাইটের পেমেন্ট সিস্টেম হচ্ছে আপনি বাংলাদেশ থেকে যদি কাজ করেন। তাহলে নগদ এবং বিকাশের মাধ্যমে আপনি পেমেন্ট উইড্রো দিতে পারবেন।
তবে এই সাইটটির সম্পন্ন ডলার কনভার্ট এ চলে। এজন্য আপনার ডলার এ কাজ করবে আপনি 1.5 ডলার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পেমেন্ট উইথড্রো দিতে পারবেন।

পরিশেষে আপনাদের কে একটি কথাই বলবো আমি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে এই ওয়েবসাইটে আমি নিজেও বিভিন্ন সময়ে কাজ করে থাকি এবং কাজ দিয়ে থাকি তো আপনারা নিশ্চিন্তে এই ওয়েবসাইটটিতে রেজিস্ট্রেশন করে আপনি মূল্যবান সময় অতিবাহিত করে মোবাইল ফোন দিয়ে কাজ করে ভালো মানের ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুকে আয় বিকাশে পেমেন্ট

ফেসবুকে আয় বিকাশে পেমেন্ট নিন
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ফেসবুক। সাধারণত ফেসবুক সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় কিন্তু বর্তমানে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার অনেক সুযোগ রয়েছে। ফেসবুকে আয় বিকাশে পেমেন্ট নেয়ার উপায় সম্পর্কে লেখাটিতে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।

মানুষের অনুভূতি শেয়ার করার সব থেকে বড় প্লাটফর্ম হল ফেসবুক। পূর্বে ফেসবুক শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হতো কিন্তু বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কিভাবে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করা যায়?
ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের পদ্ধতি নিয়ে আমরা এই লেখাটিতে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনারা কয়েকটি উপায়ে ফেসবুক ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন এবং বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। ফেসবুকে আয় বিকাশে পেমেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এই লেখাটিতে।

  • বিষয়বস্তুর সহজ সারণী
  • ফেসবুকে আয় বিকাশে পেমেন্ট
  • ফেসবুকে টাকা ইনকামের উপায়
  • ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম
  • ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম
  • ফেসবুকে রিল ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম
  • ফেসবুকে এফ-কমার্স বিজনেস করা
  • ফেসবুকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম
  • ফেসবুক পেজ/ আইডি ক্রয়-বিক্রয়
  • ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট
  • ফেসবুকে আয় বিকাশে পেমেন্ট


ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে ফেসবুক ইনকাম সম্পর্কে জানতে হবে। এবং এরপরে আপনার একটি মোবাইল নাম্বারে বিকাশ একাউন্ট করে নিতে হবে। পরবর্তীতে আপনারা ফেসবুক থেকে ইনকাম কৃত টাকা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হলো বিকাশ। আমাদের প্রায় সবার কাছেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট আছে তাই ফেসবুক থেকে ইনকাম করা টাকা খুব সহজেই আমরা বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবো। চলুন জেনে নেয়া যাক ফেসবুকের মাধ্যমে কিভাবে আমরা টাকা ইনকাম করতে পারব।

ফেসবুকে টাকা ইনকামের উপায়

আমরা ফেসবুক ব্যবহারের পাশাপাশি ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারব। বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হল ফেসবুক। ফেসবুককে সবথেকে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বলা হয়।

ফেসবুকের মাধ্যমে আমরা ইউটিউব এর মত টাকা ইনকাম করতে পারব এছাড়াও ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক বর্তমান সময়ে প্রচলিত সবথেকে জনপ্রিয় ফেসবুক থেকে টাকা ইনকামের উপায় গুলো সম্পর্কে।

ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম

বর্তমানে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে আপনারা টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করার জন্য প্রথমত আপনাদের সুন্দর সুন্দর ভিডিও আপলোড করতে হবে যা দর্শকদের পছন্দ হবে। সাধারণত ফেসবুকে দুইভাবে ভিডিও আপলোড করে আমরা টাকা ইনকাম করতে পারবঃ

ফেসবুক পেইজে ভিডিও আপলোড করে।

ফেসবুক প্রোফাইলে রিল ভিডিও আপলোড করে।
ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম
আপনার যদি একটি ফেসবুক পেজ থাকে তাহলে আপনি এই ফেসবুক পেইজে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য ফেসবুক প্রদত্ত কিছু শর্তাবলী পূরণ করতে হবে এবং শর্তগুলো পূরণ করে তাদের কাছে মনিটাইজেশন এর জন্য আবেদন করলে আপনার পেজটিকে ফেসবুক অ্যালগরিদম যাচাই-বাছাই করে মনিটাইজেশন প্রদান করবে।

ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে আপনারা অফুরন্ত টাকা ইনকাম করতে পারবেন যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা। চলুন জেনে নেয়া যাক ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করতে কিকি শর্তগুলো পূরণ করতে হবেঃ

ফেসবুকের রুলস অমান্য করে কোন কাজ করা যাবে না।
কোন ব্যক্তি বা দেশ ও জাতিকে অপমান করে কোন ধরনের ভিডিও বা পোস্ট করা যাবে না।
সুন্দর ও ভালো কোয়ালিটির ভিডিও পাবলিশ করতে হবে।
পেইজে সর্বনিম্ন ৫টি ভালো কোয়ালিটির ভিডিও থাকতে হবে এবং প্রত্যেকটি ভিডিও ৩ মিনিটের বেশি সময় হতে হবে।


ফেসবুক পেইজএ সর্বনিম্ন ১০ হাজার লাইক/ ফলোয়ার থাকতে হবে।
শেষ দুই মাসে ৬ লক্ষ মিনিট পাবলিক ওয়াচটাইম থাকতে হবে।
অবশ্যই ফেসবুক পেইজ এর ভিডিও গুলো আপনার নিজের তৈরি করা হতে হবে। কোন ধরনের কপিরাইট কনটেন্ট আপলোড দেওয়া যাবে না।
উপরে উল্লিখিত শর্তাবলী পূরণ করে ফেসবুকের কাছে আবেদন করলে আপনার ফেসবুক পেজটি ইনকামের জন্য মনিটাইজেশন করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে আপনার ভিডিওতে এড শো করবে আপনি এই এডের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুকে আয় বিকাশে পেমেন্ট

ফেসবুকে রিল ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম
সম্প্রতি ফেসবুকে রিল ভিডিও আপলোড দেওয়ার নতুন একটি ফিচার চালু হয়েছে। ফেসবুকে রিল ভিডিও আপলোড এর মাধ্যমে আমরা ইনকাম করতে পারব তবে ফেসবুকে রিল ভিডিও আপলোড দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্তাবলী আছে। সেগুলো মেনে ফেসবুকের কাছে এপ্লাই করলে আপনাকে মনিটাইজেশন দেওয়া হবে।

আমরা ফেসবুক প্রোফাইল এর মাধ্যমে রিল ভিডিও আপলোড করতে পারব। তবে অবশ্যই আমাদের বয়স ১৮+ হতে হবে। সব দেশে এখন পর্যন্ত ফেসবুক রিল ভিডিও  থেকে টাকা ইনকামের পদ্ধতি চালু হয় নাই, তবে দ্রুত সকল দেশের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে। তাই আপনারা চাইলে ফেসবুকে রিল ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুকে এফ-কমার্স বিজনেস করা

বর্তমানে ফেসবুকের এফ-কমার্স বিজনেস খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। আমরা অনেক সময়ে ফেসবুক স্কল করার সময় দেখি বিভিন্ন পেইজে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর এড দেয়। আপনারা চাইলে ফেসবুকে একটি পেইজ ক্রিয়েট করে প্রফেশনাল ভাবে এফ-কমার্স বিজনেস করতে পারবেন।

এফ-কমার্স বিজনেস করার জন্য অবশ্যই প্রথমে আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। আপনি যেই প্রোডাক্টগুলো বিক্রি করবেন প্রথমে সেগুলো পাইকারি ক্রয় করে নিতে হবে। এবং ফেসবুক পেইজ বুস্ট এর মাধ্যমে তারগেট অডিয়েন্সের কাছে আপনার প্রোডাক্টের অ্যাড পৌঁছাতে হবে।

বর্তমানে মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করতে অধিক পছন্দ করে যার কারণে এফ-কমার্স বিজনেসের চাহিদা দিন দিন অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি ফেসবুকে প্রফেশনাল ভাবে একটি এফ-কমার্স  বিজনেস দাঁড় করাতে পারেন তাহলে এখান থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফেসবুকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম

আমরা প্রথমে জেনে নেই এফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে – এফিলিয়েট মার্কেটিং হল অন্য একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট নিজে মার্কেটিং করে কাস্টমারদের কাছে বিক্রি করা। আপনার কোন ফেসবুক পেইজে বা প্রোফাইলে যদি ভালো পরিমাণে ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনি বড় বড় কোন কোম্পানির এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।

আপনার পেইজে কোন ভিডিওর মাধ্যমে বা পোস্ট এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে ওই পণ্যগুলো সম্পর্কে জানাবেন এবং তারা যদি এগুলো ক্রয় করে তাহলে লাভ এর কিছু অংশ আপনাকে প্রদান করা হবে। তবে ফেসবুকে এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অবশ্যই আপনাকে মার্কেটিং সম্পর্কে জানতে হবে।

ফেসবুক পেজ/ আইডি ক্রয়-বিক্রয়
প্রথমে আপনি ফেসবুকে একটি পেইজ ক্রিয়েট করে সেটিতে সঠিকভাবে কন্টিনিউ কাজ করে বেশ কিছু লাইক/ফলোয়ার অর্জন করে এটিকে বিক্রি করে দিবেন। বর্তমানে অনেকেই এই কাজটি করে থাকে। আপনি যদি একটা ফেসবুক পেজে ভালো পরিমাণে লাইক/ফলোয়ার অর্জন করতে পারেন তাহলে ভালো দামে এই পেজটিকে বিক্রি করতে পারবেন।

ফেসবুক একাউন্ট বা পেজ বিক্রি করার জন্য ফেসবুকেই অনেক Facebook Account/Page Buy Sell গ্রুপ পাবেন। তবে যেহেতু সোশ্যাল মিডিয়ার কারবার সেহেতু ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে এডমিন ডিল করে নেওয়া অবশ্যই ভালো অন্যথায় প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট

উপরে আমরা ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম এর যে সকল পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেছি উক্ত পদ্ধতিতে ইনকামকৃত টাকা আপনারা খুব সহজেই বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। শুধুমাত্র ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা ইনকাম করলে এই টাকা সর্বপ্রথম আপনার ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করতে হবে।

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ  আশাকরি ফেসবুকে আয় বিকাশে পেমেন্ট সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। টাকা ইনকাম সম্পর্কিত বিস্তারিত জানতে কমেন্ট এর মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন।

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Read More: কিভাবে ফাইভারে সফল হবেন

Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি

Read More: ওয়েব ডিজাইন কি

Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

 
 

Read More: Mobile Phone Price | Phone Review

Read More: ডাটা এন্ট্রি কি

Post a Comment

0 Comments