ফ্রিল্যান্সিং কি ? কিভাবে শুরু করব - ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার

অনলাইনে আয়

ফ্রিল্যান্সিং কি ? কিভাবে শুরু করব - ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার

ফ্রিল্যান্সিং কি ? কিভাবে শুরু করব ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার

অনলাইনে আয়, অনলাইনে ইনকাম ২০২৩, ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায়!
অনলাইনে আয়, অনলাইন ইনকাম তথ্য ও প্রযুক্তি,
অনলাইনে ইনকাম ২০২৩, ঘরে বসে আয় করার সহজ উপায়!
২০২৩ সালের অনলাইন ইনকামের সঠিক গাইডলাইন পেতে এই পোষ্ঠটি পোরো পড়ুন!

অনলাইনে ইনকাম

আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আশা করি সবাই ভালো আছেন। অনলাইনে ইনকাম  শিরোনামে আজকে আমরা ঘরে বসে সহজে অনলাইন থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো । earn money from Freelancing.

Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়

আজকাল ফেসবুকে ঢুকলেই  অনেকেই প্রশ্ন করে কিভাবে অনালাইন  আয় করা যায়? কিভাবে ঘরে বসে সহজে টাকা আয় করা যায়? কিভাবে সহজে অনলাইনে কাজ পাওয়া যায়? কিভাবে মোবাইল দিয়ে ঘরে বসে আয় করা যায়?
আবার অনেকেই বলে ভাই আমি কিভাবে ফ্রিলান্সিং শুরু করবো ? আমি তো নতুন আমি  ফ্রিলান্সিং এর কোন কাজটি আগে শিখবো। কোন কাজের চাহিদা বেশী? কোথায় থেকে কাজ শিখবো ? ফ্রিলান্সিং বা আউটসোর্সিং কি ?

তো সবার কথা বিবেচনা করে আজকে আমি  ফ্রিলান্সিং বা  অনলাইন থেকে আয় করার উপর একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন দেবার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
অনলাইনে ইনকাম ২০২৩। শুরুতেই  বলে নিচ্ছি আজকের আর্টিকেলটা কিন্তু অনেক বড় হবে ।
কাজেই খুব সময় নিয়ে ধৈর্য্যসহকারে পড়তে হবে। আর আমি ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারি আপনি যদি এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন । তবে ফ্রিলান্সিং নিয়ে আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকবে না।
আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার এখন কি করা উচিত, কিভাবে সামনে আগানো উচিত।

ফ্রিল্যান্সিং কি

(What Is Freelancing In Bangla)
ফ্রিল্যাংসিং কি কিভাবে শুরু করবোফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায় (About freelancing in Bangla).

সোজা ভাবে বললে, ফ্রিল্যান্সিং এমন একটি আলাদা মাধ্যম বা উপায়, যার দ্বারা আপনারা অনলাইন কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।
এমনিতে, একজন চাকরি (job) করা ব্যক্তিকে সকাল ১০ থেকে বিকেল ৬ অব্দি অফিসে গিয়ে এক ধরণের কাজ করতেই হবে। make
money from Freelancing.

 
কিন্তু, freelancing এর মাধ্যমে কাজ করা লোকেরা স্বনির্ভর (self-employed) থাকেন।
তাই, ফ্রিল্যান্সিং এর মানেই হলো স্বাধীন ভাবে কাজ করা বা মুক্তপেশা। এটাও এক ধরণের ব্যবসা বললে আমি ভুল হবোনা।

এই প্রক্রিয়াতে লোকেরা, অনলাইন বিভিন্ন সূত্রের (sources) মাধ্যমে কাজ খুঁজে নিজের ইচ্ছে হিসেবে কাজ করেন।
এক্ষেত্রে, যারা এভাবে স্বাধীন হয়ে freelancing এর কাজ করেন, তাদের “freelancer” বলা হয়।
আজ, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলির মাধ্যমে,

এই ফ্রিল্যান্সাররা (freelancer) নানান ধরণের কাজ, প্রজেক্ট বা সার্ভিস খুঁজে, সেগুলি তারা তাদের ক্লায়েন্টস (clients) দেড় জন্য নির্ধারিত সময়ে পুরো করছেন।
এবং, কাজ বা প্রজেক্ট পুরো করার বিনিময়ে তাদের ক্লায়েন্টরা তাদেরকে টাকা দিচ্ছেন।

অবশ্যই, আপনি যেই প্রজেক্ট বা কাজ করবেন বলে ভাবছেন, তার জন্য কত টাকা নিবেন, সেটা আপনার ক্লায়েন্ট (client) এর সাথে আগেই ঠিক করে নিতে পারবেন।
এবং, সঠিক ভাবে কাজ শেষ হওয়ার পর, আপনার টাকা আপনাকে দিয়ে দেয়া হয়।

ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে কাজ করার সুবিধে অনেক

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজে আপনি নিজেই ঠিক করতে পারবেন যে, আপনি কতটা সময় কাজ করতে চান, কতটুকু কাজ করতে চান এবং এই কাজ আপনি পার্ট টাইম (part-time) করবেন না ফুল টাইম (full-time).

তাছাড়া, ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নেয়া কাজ গুলি করার জন্য আপনার কোনো বিশেষ জায়গার প্রয়োজন হবেনা।
কারণ, প্রায় সব ধরণের কাজ করার জন্য আপনার কেবল একটি ল্যাপটপ (laptop) বা কম্পিউটারের (computer) এবং তার সাথে ইন্টারনেট কানেক্শনের প্রয়োজন।
তাই, সবটাই আপনি নিজের ঘরে বোসে বোসেই করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কে আমরা একটি বিসনেস (business) হিসেবেও নিয়ে কাজ করতে পারি।
সোজা ভাবে, ফ্রিল্যান্সিং কি বা ফ্রিল্যান্সিং বলতে কি বুঝায় ?

Freelancing মানে হলো, যেই কাজের বিষয়ে বিশেষ অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা (skills) আপনার আছে, তার সাথে রিলেটেড কাজ অন্যদের জন্য করা এবং তার বিনিময়ে টাকা নেওয়া।
তাই, অন্যরা তাদের প্রয়োজন হিসেবে আপনাকে কাজ দিবে, এবং সেই কাজ যদি আপনি জানেন, তাহলে নির্ধারিত সময়ে আপনার তাকে সেই কাজ করে দিতে হবে।

এক্ষেতের, আপনার এমন কিছু দক্ষতা (skills) বা কাজ জানা থাকতে হবে, যেগুলি লোকেরা আপনার দ্বারা করাতে চাইবেন।
তাছাড়া, এমন ভাবেও বলা যেতে পারে যে, freelancing হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে আপনি আপনার জানা কাজ বা দক্ষতা ব্যবহার করে অন্যদের জন্য কাজ করেন।

এখানে আপনি বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে পারবেন।
যেমন, writing, designing, digital services, selling services বা যেকোনো অন্য কাজ যেটা আপনি জানেন এবং যেটা লোকেরা আপনাকে দিয়ে করাতে চায়।

এই কাজগুলি, ঘন্টায় (hourly), ডেইলি (daily), সপ্তাহিক (weekly) বা মাস (monthly) হিসেবে করতে পারবেন।
শেষে এটাই আমি বলবো, যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করতে চান এবং এখান থেকে অনলাইন টাকা আয় করতে চান,

তাহলে সবচে আগেই এটা দেখতে হবে যে, আপনার মধ্যে এমন কি বিশেষ ট্যালেন্ট (talent), কোয়ালিটি, দক্ষতা (skills) রয়েছে যার বিনিময়ে লোকেরা আপনার ওপরে ভরসা করে কাজ দিবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কি বা ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে, এবেপারে হয়তো আপনার ভালো ভাবে জ্ঞান হয়ে গেছে।
তাহলে, চলুন এখন আমরা Freelancing এর বিষয়ে আরো অধিক কিছু জেনেনেই।

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করব

ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো | Freelancing করে আয় করুন
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না? সমস্যা কিসের! চলুন এ ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক- ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) দিনকে দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তরুণ প্রজন্মের মাঝে। ফ্রিল্যান্সিং কী, ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কী, ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো; আজকে এবিষয়ে জানবো। জানবো আসলেই ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা যায় কি না। এছাড়াও জানবো, ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বেছে নেওয়া ঠিক হবে কি না।

অনেক মানুষ ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চাইলেও সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে শুরু করতে পারছে না। ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে আপনার জানাশোনা একদম না থাকলেও এই লেখা শেষে বেশ সুন্দর একটা ধারণা পেয়ে যাবেন।

বর্তমান সময়ে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুঁকছে। আবার সঠিক নিয়ম কানুন না জানার ফলে ছিটকে পরছে খুব অল্পতেই। খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয় এই পেশায় টিকে থাকতে প্রথমে স্কিল ডেভলপ্ট করতে হয়। আবার জানতে হয় কাজ করার মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রিল্যান্সিং এর আদ্যোপান্ত নানান তথ্য।
ফ্রিল্যান্সিং কাকে বলে

ফ্রিল্যান্সিং (Freelancing) হলো নিজের কম্পিউটার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার বিনিময়ে অর্থ উপার্জনের নিমিত্তে একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের (Clients) সাথে স্বল্প সময়ের চুক্তিভিত্তিক কাজ; যা উক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হয়ে বা না হয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয়। এখানে যিনি ফ্রিল্যান্স সেবা দিয়ে থাকেন অর্থাৎ চুক্তিভিত্তিক কাজটি করে থাকেন তাকে ফ্রিল্যান্সার (Freelancer) বলা হয়।

বর্তমান সময়ে কম্পিউটার এবং অনলাইন সংক্রান্ত প্রায় সকল কাজকেই ফ্রিল্যান্সিং হিসেবে ধরা হয়।
আশা করছি ফ্রিল্যান্সিং কী তা বুঝতে আর বাকি নেই।

ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ

ফ্রিল্যান্সিং পেশা সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকে বলে ফ্রিল্যান্সিং এ আয়ের কোন নিশ্চয়তা নাই। এছাড়াও বলে ফ্রিল্যান্সিং পেশার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এরকম হাজারো নেতিবাচক ধারণা করে অনেক মানুষ। কিন্তু সত্যি বলতে ফ্রিল্যান্সিং এমন কোন খারাপ দিক নেই।

ফ্রিল্যান্সিং মূলত একটি মুক্ত পেশা। একজন ফ্রিল্যান্সার চাইলে নিজের ইচ্ছামত সময় দিয়ে কাজ করতে পারবে। বর্তমান এখন সবাই অনলাইন মুখে হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সব পৃথিবীর বড় বড় কোম্পানি ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল। মানুষ যত বেশি ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হবে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের ভবিষ্যৎ তত বেশি ভালো হবে।

বিগত ১০ বছর আগে কিন্তু মানুষ এত ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল ছিল না। কারণ ইন্টারনেট ছাড়াই তখন আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারতাম। কিন্তু বর্তমানে আমাদের নিত্য নতুন সকল কাজ অনলাইন এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। বর্তমান একটা কোম্পানির সকল প্রোডাক্ট অনলাইনে কেনাবেচা করা হয়।

যাকে আমরা ই-কমার্স মনে থাকে। যতদিন যাবে এই ই-কমার্স ব্যবসা তত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য একজন ডিজিটাল মার্কেটার প্রয়োজন। তাহলে আপনি ভাবুন একজন ডিজিটালের ভবিষ্যৎ কি রকম হবে।

যারা বলে ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। তারা হয়তো ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেই। পৃথিবীতে গত দশ বছর আগে ওয়েবসাইটের সংখ্যা খুবই কম ছিল। কিন্তু বর্তমানে গুগলে হাজার হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে। একটা ই-কমার্স কোম্পানি যখন যাত্রা শুরু করে তার প্রথম কাজ হলো ওয়েবসাইট তৈরি করা।

ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যারা ওয়েবসাইট তৈরি করে তাদের ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলা হয়। দিন যত যেতে থাকবে মানুষ তত বেশি ওয়েবসাইট তৈরি করবে। তাহলে একজন ওয়েব ডিজাইনের কাজ কি কখনো থেমে থাকবে। কখনোই ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ থেমে থাকবে না। 


একটা কোম্পানি যখন যাত্রা শুরু করে তার কিন্তু একটা নিজস্ব লোগো দরকার হয়ে থাকে। একটা কোম্পানির লোগো দিয়ে আমরা সেই কোম্পানিতে চিনে থাকি। এ কারণে আপনি যখন একটি কোম্পানি শুরু করবেন,তখন কিন্তু একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার দরকার হবে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে যারা লোগো ব্যানার তৈরি করে তাদের গ্রাফিক্স ডিজাইনার বলে।

এরকম হাজারো উদাহরণ রয়েছে। এগুলো শোনার পর আপনি কখনো বলতে পারবেন না ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ অন্ধকার। বাস্তব একটি উদাহরণ বলি, পৃথিবীতে করোনা কালীন সময়ে অনেক মানুষের চাকরি চলে যায়। আমাদের বাংলাদেশে অনেক সাধারণ মানুষের চাকরি চলে গিয়েছে।

কিন্তু যে সকল ব্যক্তি ফ্রিল্যান্সিং পেশায় নিজেকে ধরে রেখেছে। তাদের কিন্তু চাকরি চলে যায় নি। একজন সফল ফ্রিল্যান্সার করোনা মহামানীর মধ্যে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করেছে। তাহলে ভাবুন পৃথিবীতে যদি কোন দুর্যোগ নেমে আসে। তাহলে একজন চাকরিজীবীর চাকরি চলে যাওয়ার ভয় থাকে। কিন্তু কখনো একজন ফ্রিল্যান্সার এর চাকরি চলে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

এখন আপনাকে যদি কোন মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কি জিজ্ঞাসা করে। আপনি নিশ্চয়ই এর সঠিক জবাব দিতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে দক্ষ কর্মী হতে হবে। আপনি যে সেক্টরে কাজ করতে চান, সেই সেক্টরে কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাহলে আপনি এ পেশাই নিজেকে সফল করে করে ফেলতে পারবেন।

আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং পেশায় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকতে হবে। নতুন যারা ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে তাদের ধৈর্য অনেক কম থাকে। ফ্রিল্যান্সিং পেশায় সফল হওয়ার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন এক থেকে দুই বছর সময় দিতে হবে। তারপর আপনি ফ্রিল্যান্সিং পেশা থেকে উপার্জন করতে পারবেন।


ফ্রিল্যান্সিং কেন করব

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যে কারণ গুলো আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং শেখার প্রতি আরো বেশি আগ্রহ করে তুলবে। এছাড়াও আপনি যদি এই পেশায় দক্ষ হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি কাজের আগ্রহ আরো বেশি হবে। চলুন  ফ্রিল্যান্সিং কেন করব তা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে নেই ।

মুক্ত পেশা: ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবথেকে সুবিধা জনক দিক হলো মুক্ত পেশা। মুক্ত পেশা হলো আপনি যেকোনো সময়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবেন। সকাল কিংবা বিকাল অথবা রাত আপনি যখন ইচ্ছা করবেন। তখন এই কাজ শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করার জন্য আপনাকে অফিস থেকে ছুটি নিতে হবে না। সময়মতো কখনো অফিসে যেতে হবে না।

ঘরে বসে ইনকাম: পৃথিবীর সবাই কিন্তু ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে চায়। কিন্তু মানুষ কখনো ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারত না। টাকা ইনকাম করার জন্য অবশ্যই আপনাকে অফিসে অথবা কর্মস্থলে যেতে হবে। কিন্তু ঘরে বসে টাকা ইনকাম করার সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে ফ্রিল্যান্সিং। কারণ আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সম্পূর্ণ ঘরে বসেই করতে পারবেন। আপনি ফ্রিল্যান্সিং কেন করবেন তার ভালো দিক এটি। তাই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে দিতে পারেন।

নিজের বস নিজেই: যারা সরকারি বেসরকারি চাকরি করে তাদের অফিসে বসের প্যারার কোন শেষ নেই। বসের মন খুশি রাখতে আমাদের বিভিন্ন রকম মিথ্যা কথাও বলতে হয়। কারণ আপনি যদি বসের মনকে খুশি করতে পারেন, তাহলে আপনার ভবিষ্যতে প্রমোশন হতে পারে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশায় এখানে আপনার কোন বস থাকবে না। এই পেশায় আপনাকে কোন বসের প্যারা নিতে হবে না। ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আপনি নিজেরাই হয়ে যাবেন।

অধিক টাকা ইনকাম: একজন সরকারি চাকরিজীবী সর্বোচ্চ মাসে ৫০০০০ টাকা উপার্জন করতে পারে। বেসরকারি চাকরিজীবের মাসে উপার্জন একটু কম। কিন্তু একজন ফ্রিল্যান্সার চাইলে প্রত্যেক মাসে এক লক্ষ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবে। আমাদের দেশের এমন অনেক তরুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যাদের মাসিক আয় প্রায় এক লক্ষ টাকা। কিন্তু আপনি প্রথম পর্যায়ে মাসে এক লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। এজন্য আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ শিখতে হবে।

অফিসে যেতে হবে না: ফ্রিল্যান্সিং শেখার আরেকটি সুবিধা হচ্ছে আপনাকে অফিসে যেতে হবে না। অফিসে যাওয়ার সময় সকালে আমরা অনেক তাড়াহুড়া করি। এছাড়াও অনেকে বাসে করে অফিসে যাওয়ার সময় অনেক কষ্ট করে থাকে। কিন্তু আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখবেন তখন অফিসে যেতে হবে না। ঘরে বসেই আপনার ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করতে পারবেন। যা পৃথিবীর অন্য কোন পেশাতে আপনি এই সুযোগ পাবেন না।

পরিবারকে সময় দেওয়া: অফিসের কাজে আমরা অনেকে পরিবারকে ঠিকভাবে সময় দিতে পারি না। দেখা যায় সাপ্তাহিক একদিন ছুটির দিনে অফিসের বিভিন্ন কাজের চাপ পড়ে যায়। এখানে ছুটির দিনেও আমরা পরিবারকে সময় দিতে পারি না। পরিবারের বিশেষ করে ছোট ছেলেমেয়েদের সময় দেওয়া আমাদের অনেক বেশি প্রয়োজন। আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ শিখবেন, তখন কিন্তু পরিবারকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিতে পারেন। যে সকল ব্যক্তির ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করে তারা সবসময় পরিবারকে সঠিকভাবে সময় দিতে পারে।

ক্যারিয়ার: 

সাধারণ একটি চাকরি করে নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করানো অনেক বেশি মুশকিল। কিন্তু আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ করা শুরু করবেন। তখন সমাজে আপনার একটি ক্যারিয়ার দাঁড় হয়ে যাবে। এছাড়াও সাধারণ একটি পেশায় আপনার ক্যারিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন ৩০ বছর সময় লাগতে পারে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আপনি সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের মধ্যে ভালো একটি ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। তাই যারা অল্প সময়ের মধ্যে ভালো ক্যারিয়ার গড়তে চাচ্ছেন তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং পেশা অন্যতম।

নিজের সময় মত কাজ করা: 

পৃথিবীর অন্য কোন পেশায় আপনি নিজের ইচ্ছামত সময় দিয়ে কাজ করতে পারবেন না। কারণ অফিসে আপনাকে বসের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। এছাড়াও আপনি যদি অন্য কোন কোম্পানির চাকরি করেন সে ক্ষেত্রে সেই কোম্পানির সময় মত কাজ করতে হবে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং পেশায় আপনি নিজের ইচ্ছামত সময় দিয়ে কাজ করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং কেন করব তার ভালো একটি দিক নিজের ইচ্ছামত সময় দেওয়া।

Read More: ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়

Read More: ওয়েব ডিজাইন কি

 
 

Read More: Mobile Phone Price | Phone Review


Post a Comment

0 Comments