ওয়েব ডিজাইন শিখার উপায়
ওয়েব ডিজাইন শিখে ঘরে বসে আয় করুন
ওয়েব ডিজাইন কি ?
অনলাইন যুগে ওয়েব ডিজাইন একটি পরিচিত ও প্রয়োজনীয় দক্ষতা। যে কোন ওয়েবসাইট কেমন রুপ নিয়ে ব্যবহারকারীর কাছে হাজির হবে তা জানা যায় ওয়েব ডিজাইনের মাধ্যমে। What is web design? ওয়েব ডিজাইন কি কি শিখতে হয়?
আমরা দেখছি যে বর্তমানে প্রায় সবকিছুই অনলাইন ওয়েবসাইট দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। সময়ের চাহিদা মতো সকল প্রতিষ্ঠানের এখন ওয়েবসাইট কার্যক্রম চালু হয়েছে।
এছাড়া ডিজিটাল মাধ্যমে ক্যারিয়ার এর অন্যতম শর্ত হচ্ছে নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করা। আর এই ওয়েবসাইট কিভাবে আমাদের সকলের সামনে উপস্থাপন হবে সেটাই ওয়েব ডিজাইনার এর কাজ। বর্তমানে ওয়েবসাইট তৈরির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
কিন্ত প্রয়োজনের তুলনায় দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার এর সংখ্যা খুবই কম। তাই আপনিও খুব সহজে দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইন কাকে বলে
এখন আমরা ওয়েব ডিজাইন কি? ওয়েব ডিজাইন কাকে বলে? তথা ওয়েব ডিজাইন পরিচিতি এবং ওয়েব ডিজাইন এর কাজ কি তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করবো।
ওয়েব ডিজাইন বলতে কোন একটি ওয়েবসাইট এর নকশাকে বুঝায়। যা ইন্টারনেট ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর সামনে উপস্থাপন করা হয়। ওয়েবসাইট সাজানোর কাজই হলো ওয়েব ডিজাইন।
আরও সহজভাবে বলা যায় যে, কোন ওয়েবসাইট এর বাহিরের রুপ দেখতে কেমন হবে তা নির্ধারণ করার নাম হলো ওয়েব ডিজাইন। যেমন, ফেসবুক দেখতে একরকম, টুইটার দেখতে আরেক রকম। ওয়েবসাইটগুলোর দেখার ভিন্নতার ব্যাপারটা নির্ভর করে ওয়েবসাইট টি কিভাবে সাজানো হয়েছে তার উপর। ওয়েব ডিজাইন কি? কিভাবে শিখবেন এবং কত দিন সময় লাগবে?
একটি ওয়েবসাইট এর আউটলুক, ফন্ট কালার, সাইজ, ইমেজ, ম্যানুবার, টুলবার ইত্যাদি কোথায় কেমন ভাবে থাকবে, কন্টেন্ট কিভাবে থাকবে, সর্বপোরি কোন ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীরা যেভাবে দেখে সকল কাজই ওয়েব ডিজাইন এর অন্তর্ভূক্ত।
কিভাবে শিখবেন ওয়েব ডিজাইন
আমরা যদি কেউ ওয়েব ডিজাইনার হতে চাই অবশ্যই আমাদেরকে ওয়েব ডিজাইন শিখতে হবে। তবে নতুন হিসেবে অনেকে ওয়েব ডিজাইন শিখতে আগ্রহী হলেও কিভাবে শিখবেন ওয়েব ডিজাইন এই প্রশ্নে অনেকে আটকে যান। কিভাবে ওয়েব ডিজাইন শিখবেন তা নিয়ে অযথা চিন্তিত না হয়ে শেখার উপায় জেনে নিন।
বর্তমানে নানা ওয়েবসাইটে ওয়েব ডিজাইন শেখা যাচ্ছে। শুরুর দিক ওয়েব ডিজাইনের নানা খুঁটিনাটি জানার জন্য অনলাইন ওয়েবসাইটের কোর্সগুলো দেখতে পারেন।
ইউটিউবে ওয়েব ডিজাইন নিয়ে অসংখ্য ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে। আপনি তা দেখে ওয়েব ডিজাইন শিখে নিতে পারেন।
আর যেহেতু ওয়েব ডিজাইন শেখার উদ্দেশ্য হলো ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা, তাই অনলাইন ওয়েবসাইট ও ইউটিউব থেকে শেখার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠিত কোন প্রতিষ্ঠান থেকে দীর্ঘমেয়াদি ওয়েব ডিজাইন কোর্স করতে পারেন। যার মাধ্যমে একজন দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার হতে পারেন।
ওয়েব ডিজাইনার হতে কি কি শিখতে হবে
ওয়েব ডিজাইন শিখতে হলে প্রধমেই আপনাকে বেসিক কিছু জিনিস শিখতে হবে। আর তা হলো
কোডিং সমাধানের জন্য এইচটিএমএল (HTML), সিএসএস (CSS), জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript) ইত্যাদি।
এইচটিএমএল হলো কোডিং তথা মার্কআপ ল্যাংগুয়েজ। শুধুমাত্র এইচটিএমএল শেখার মাধ্যমে আপনি সাধারণ একটি ওয়েব পেজ তৈরি করতে পারবেন।
সিএসএস (CSS) হলো এইচটিএমএল এর পরের ধাপ। এইচটিএমএল এর মাধ্যমে আপনি ওয়েব পেজ তৈরি করলেন। কিন্তু আপনার সাইটের ফন্ট কালার সাইজ, ইমেজ ইত্যাদি বসানোর কাজের জন্য আপনাকে সিএসএস শিখতে হবে।
এর মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইটকে সুন্দর ভাবে সাজাতে পারবেন। যার ফলে ওয়েবসাইটটি ব্যবহারকারীর কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
তার পরের ধাপ হলো জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript) শেখা। জাভাস্ক্রিপ্ট শেখার মাধ্যমে আপনি ওয়েবসাইট বিভিন্ন পরিচালনা প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন। দক্ষ ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে জাভাস্ক্রিপ্ট সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা থাকা লাগবে। ওয়েব ডিজাইন থেকে আয়।
গ্রাফিকস ডিজাইনের জন্য ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি শিখে নিতে পারেন। এছাড়া ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সমাধানের জন্য আপনাকে ওয়ার্ডপ্রেস (Wordpress) জুমলা (Joomla) ইত্যাদি শিখতে হবে।
ওয়েব ডেভেলপার হতে হলে কী কী জানা প্রয়োজন
একজন সফল ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার এমন কোনো কোর্স কিট নেই যেটা মেনে বাক্সে টিক দিয়ে দিয়ে আপনাকে এগোতে হবে। এই পেশায় এমন অনেকেই আছেন যারা স্বশিক্ষিত অর্থাৎ Self-taught। আবার এমনও অনেকে আছেন যারা এই ফিল্ডে পড়াশোনা করেও পেশা হিসেবে অন্য কিছু বেছে নিয়েছেন।
গৎবাঁধা তালিকা না থাকলেও, এমন কিছু বেসিক দিক নির্দেশনা আছে যা অনুসরণ করলে আপনি আপনার Web Development-এর যাত্রায় খেই সামলে চলতে পারবেন।
সবথেকে বেশি যে প্রশ্ন আমাদের শুনতে হয় তা হলো, “আমার কি CSE তেই পড়তে হবে ওয়েব ডেভেলপার হতে চাইলে?” বিশেষ করে আপনারা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাট চুকিয়ে এসেছেন আরও অনেক আগে এবং নতুন করে পেশা বদলের কথা ভাবছেন তাদের জন্য এটা একটা খুবই বড় চিন্তার বিষয়। তাই শুরু করার আগে একটু Academic Requirements নিয়ে কথা বলে নেই।
শিক্ষাগত যোগ্যতা
Web Development-এর দুনিয়ায় একজন সিনিয়র ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে হলে যেকোনো কোম্পানির Job Requirement-এ সাধারণত কিছু একাডেমিক বাধ্যবাধকতা থাকে। কিন্তু সেক্ষেত্রে মেজর যে সবসময় CSE-ই হতে হবে তা কিন্তু নয়।
তবে হ্যাঁ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রিকোয়ারমেন্ট একটি Bachelor’s ডিগ্রী চাওয়া হয় এবং ডেভেলপার এর জব হিসেবে আপনার এই Bachelor’s ডিগ্রী টি Computer Science বা এই সম্পৃক্ত কোন ফিল্ডে হলেই বেশি ভালো। এটা শুনে হতাশ হয়ে পড়লে চলবে না। কারণ এটা বেদবাণী নয়। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে অনেক সময়ই ডিগ্রী তেমন গুরুত্ব পায় না।
এটাও মনে রাখা দরকার যে একজন ওয়েব ডেভেলপার-এর দক্ষতা সবসময় ডিগ্রী নির্ভর হয় না। আপনি আপনার দক্ষতা কিভাবে, কখন অর্জন করেছেন তার চাইতে বেশি জরুরি হল আপনি কাজটি কত দক্ষতার সাথে করতে পারবেন।
চাকরির কদর ও সম্ভাবনা বেশি থাকায় হরহামেশাই অন্যান্য Engineering ফিল্ডের Graduate-রা Web Development কে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। এতে তাদের ডিগ্রী বাধা হয়ে দাঁড়ায় না।
সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম
সার্টিফিকেট প্রোগ্রামগুলোকে একজন দক্ষ ডেভেলপার হিসেবে আপনার প্রমাণপত্র বলা যায়। বিশেষ করে যেসব ওয়েব ডেভেলপারদের Academic Background এই ফিল্ডের সাথে সম্পৃক্ত নয়, তাদের জন্য এই সার্টিফিকেট প্রোগ্রামগুলোর তুলনাহীন।
চাকরির বাজারে এই Certificate Program গুলোর মাধ্যমে আপনার ইমপ্লয়ার বুঝতে পারবেন আপনার দক্ষতা কেমন এবং আপনি কাজের দিক থেকে কতোটা বিশ্বাসযোগ্য। অনেক কোম্পানিরই অনলাইন সার্টিফিকেট প্রোগ্রাম আছে, যেমনঃ Microsoft, Amazon Web Services, Adobe Certified Expert।
সার্টিফিকেট প্রোগ্রামগুলো সাধারণত কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত চলতে পারে। এসব প্রোগ্রামগুলো সম্পূর্ণ শেষ করার পর আপনার অভিজ্ঞতা এবং Professional Credibility অনেকখানি এগিয়ে থাকবে।
বহুব্রীহির চার-ছয় মাস ব্যাপী ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্যারিয়ার ট্র্যাক প্রোগ্রামগুলোর মাধ্যমে আপনি ওয়েব ডেভেলপার হিসাবে কাজ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্কিলগুলো শিখে নিতে পারেন।
অন্যান্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
একাডেমিক দক্ষতার বাইরে একজন ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে কাজ করতে হলে আপনার অন্য বেশ কিছু কার্যকরী দক্ষতা থাকতে হবে। বিশেষ করে যারা এক ক্যারিয়ার থেকে অন্য ক্যারিয়ারে শিফট করার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য এই Technical Skill গুলো থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যদি আপনি আপনার শিক্ষা জীবনে Computer Science বা এই ধরনের কোনো বিষয় নিয়ে পড়াশোনা না করে থাকেন তাহলে সেই Academics কিন্তু আপনাকে পুষিয়ে নিতে হবে আপনার Technical SKill দিয়ে। তাই, প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে হলে এই দিকটাতে আপনাকে অন্য সকলের থেকে একটু বেশি পারদর্শী হতে হবে। চলুন, জেনে নেয়া যাক এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনাকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে।
প্রোগ্রামিং দক্ষতা
ওয়েব ডেভেলপার হওয়ার জন্য প্রোগ্রামিং জানা আবশ্যক। কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের জগতে ওয়েবসাইট ডেভেলপ করা যায়, এমন অনেক প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ রয়েছে। একেকটার সুবিধা-অসুবিধা একেক রকম। কোন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখবেন, এটা ডিপেন্ড করবে, ফ্রন্টএন্ড এবং ব্যাকেন্ড এ কোন ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতে চান তার উপর। আবার খালি চাইলেই হবে না, সেই ল্যাঙ্গুয়েজের ডেভেলপার কমিউনিটি স্ট্রং হতে হবে এবং এন্টারপ্রাইজ গুলোতে আর জব মার্কেটে সেটার চাহিদা থাকতে হবে।
বর্তমানে ব্যাকেন্ড এবং ফ্রন্টএন্ডের জন্য বিভিন্ন ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়। এতে কাজ শুরু করা বেশ সহজ হয়। তবে, এজন্য যে ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করবেন, সেটার ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে ভাল ধারণা রাখতে হবে। এখানে কয়েকটি ফ্রেমওয়ার্ক, তাদের ল্যাঙ্গুয়েজ এবং ফ্রন্ট নাকি ব্যাক এন্ডে ব্যবহার করা হয়, তা দেয়া হল।
- FRAMEWORK LANGUAGE USE CASE
- React JavaScript Front-End
- Vue JavaScript Front-End
- Angular JavaScript Front-End
- JQuery JavaScript Front-End
- NodeJS JavaScript Back-End
- Django Python Back-End
- Flask Python Back-End
- Laravel PHP Back-End
- Ruby on Rails Ruby Back-End
- SpringBoot Java Back-End
এছাড়াও আরও অনেক ফ্রেমওয়ার্ক এবং ল্যাঙ্গুয়েজ রয়েছে। উল্লেখ্য যে, ফ্রেমওয়ার্ক গুলো যেই ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে বানানো সেই ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে সরাসরিও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করা যায়।
উপরে দেয়া সবগুলোই যে শিখতে হবে, তা কিন্তু না, ১ টা বা ২ টা ফ্রেমওয়ার্ক ভাল করে শিখে অনেক অনেক কাজ করা যায়।
ডাটাবেজ এর জন্য দুটো ল্যাঙ্গুয়েজ SQL আর NoSQL. এর ভিতর SQL এর জন্য MySQL বা Postgre ব্যবহার করা হয় আর NoSQL এর জন্য MongoDB. কখন কোনটা ব্যবহার করা হবে, সেটা ব্যাকেন্ড ফ্রেমওয়ার্ক এবং ওয়েবসাইটের ধরন অনুযায়ী ঠিক করতে হবে।
এবার আসি, কতটুকু দক্ষতা প্রয়োজন, তা নিয়ে। ভাল ওয়েব ডেভেলপার হতে গেলে প্রোগ্রামিং এর বেসিক খুব স্ট্রং হতে হবে। OOP এর মত টপিক গুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এছাড়া ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের বিভিন্ন জিনিসও জানতে হবে ভালভাবে। আর এডভান্সড বিষয়াদি রপ্ত করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে।
বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জন্য কিছু বিষয়ভিত্তিক Theoretical এবং Practical জ্ঞান থাকা জরুরী। একেবারে শুরু তে এটার প্রভাব বোঝা না গেলেও এক সময় এটাই দক্ষ-অদক্ষ ডেভেলপার এর ভিতর পার্থক্য গড়ে দেয়।
Maths: প্রোগ্রামিং, ওয়েব বা কম্পিউটার বিষয়ক যেকোন ডেভেলপমেন্ট কাজের জন্য ম্যাথে ভাল হওয়া জরুরী। ম্যাট্রিক্স, Array, ফাংশন, ডাটা টাইপ, ভেরিয়েবল ইত্যাদি বিষয়ে ভাল দক্ষতা থাকলে কাজে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। এছাড়া ম্যাথে ভাল হলে প্রব্লেম সল্ভিং স্কিল তৈরি হয়, যা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের সময় কাজে লাগে। তবে, আর মানে এই না, স্কুল-কলেজে ম্যাথে ১০০/১০০ না পেলে হবে না, স্ট্রং বেসিক থাকলেই চলবে। যদি মনে করেন, ম্যাথের বেসিক ঝালাই করে নেয়া দরকার Khan academy কিংবা Brilliant এর মত ওয়েবসাইট গুলো থেকে শিখতে পারেন।
Data Structure এবং Algorithm: ভাল প্রোগ্রামার হওয়ার জন্য Data Structure, Algorithm ইত্যাদি বিষয়ে ভাল ধারণা থাকতে হবে। Algorithm এ দক্ষ হওয়া একদম প্রথমেই দরকার না হলেও কোড কোয়ালিটি বাড়াতে, রানটাইম Efficient করতে এটাও শিখে নিতে হবে।
Operating System: সার্ভার সাইডের বেশ কিছু কাজের জন্য অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ধারণা থাকলে ভাল হয়। Linux, Windows, Mac, Android এগুলো সম্পর্কে জানা থাকলে বিভিন্ন সমস্যা দ্রুত সমাধান করা যায়।
Cloud Systems: এখন কার দিনে ক্লাউডে কাজ করা খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। কন্টেইনার, ক্লাউড এগুলো নিয়ে বেসিক ধারণা থাকা জরুরী, তাহলে প্রজেক্ট Deploy করতে সুবিধা হবে। Docker, AWS, Google Cloud, Azure এগুলো একটু জেনে রাখলে ভালই হয়।
এছাড়া কম্পিউটার সায়েন্সের বিভিন্ন অংশ, যেমন, নেটওয়ার্ক, সিকিউরিটি এগুলো সম্পর্কে হালকা ধারণা থাকলে বেশ ভাল। মোটকথা, যত বেশি বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান থাকবে, কাজ করতে তত বেশি সুবিধা হবে।
গিটহাব প্রোফাইল
একজন ভালো থেকো ওয়েব ডেভেলপার হতে গেলে একটা GitHub profile অপরিহার্য তা বলছি না। তবে, একটি গিটহাব প্রোফাইল থাকলে আপনার Employer আপনার দক্ষতা সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন।
তাই বলে শুধু মাত্র একটি প্রোফাইল থাকলেই হবে না, আপনার প্রোফাইলটি Active ভাবে ব্যবহার করতে হবে। আপনার GitHub profile দেখে বোঝা যাবে আপনি প্রোগ্রামার কমিউনিটির সাথে কতোটা নিয়োজিত। এছাড়া আপনার কাজের বর্ণনা, আপনি কি ধরনের প্রজেক্ট করেছেন, এবং সবকিছু মিলে আপনার GitHub profile আপনার সম্পর্কে Employer এর কাছে একটি ভালো ভাবমূর্তি তৈরি করতে সাহায্য করবে।
অনলাইন পোর্টফোলিও
আপনার অনলাইন পোর্টফোলিও হলো আপনার Resume-এর একটি সম্প্রসারণ। Employer-রা দেখতে চান ফলাফল। অর্থাৎ, এমন কোনো প্রজেক্ট যার উপর আপনি কাজ করেছেন বা কোনো সাইট যা আপনি ডেভেলপ করেছেন তা আপনার পোর্টফোলিওতে যুক্ত করে দিন।
একটি পোর্টফোলিওর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার Technical Skill গুলো গুছিয়ে প্রদর্শন করতে পারবেন যেটা অনেক সময় একটা সিভি বা Resume দিয়ে পুরোপুরিভাবে করা সম্ভব হয় না। আপনার অনলাইন পোর্টফোলিওতে –
আপনার আগের এবং বর্তমান ক্লায়েন্টদের থেকে পাওয়া টেস্টিমোনিয়াল গুলো ব্যবহার করুন।
নাম, একটি ছোট bio, আপনার সাম্প্রতিক করা কাজ এবং Contact Details দিতে যেন কোনো ভুল না হয়।
Pro tip: আপনার সঙ্গে কাজ করলে আপনার ক্লায়েন্টের কি সুবিধা, আপনার ক্লায়েন্ট কেন আর ১০ জনকে বাদ দিয়ে আপনাকে বেছে নেবেন, স্মার্টভাবে এবং ছোট করে এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করুন।
CMS সম্পর্কে ধারণা
সব সময় যে স্ক্র্যাচ থেকে সব কাজ করতে হয়, তা নয়। আবার একটা বানানো ওয়েবসাইটের জন্য অনেক কিছু ডেভেলপ করা লাগে। সহজে কোডিং ছাড়া ওয়েবসাইট বানাতে বাজারে বেশ কিছু ফ্রি এবং পেইড CMS (Content Management System) আছে।
কিন্তু এগুলোর জন্য অনেক সময় অনেক কাস্টমাইজেশন বা বিভিন্ন Add-on, Extension কিংবা Plugin দরকার হয়। আর সেজন্য কিছু কমন CMS নিয়ে ধারণা রাখলে ভাল। যেমন- WordPress যেটা PHP দিয়ে তৈরি এবং বেশ জনপ্রিয় একটা CMS.
UI ও UX সম্পর্কে ধারণা
এগুলো ইউজার এক্সপেরিয়েন্স ডিজাইন করার একদম বেসিক কিছু ধারণা। এই মৌলিক বিষয় গুলো জানলে আপনি ওয়েবসাইট কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ও গভীরতর ধারণা অর্জন করতে পারবেন। আর ভালো ইউজার ইন্টারফেস এবং ইউজার এক্সপেরিয়েন্স এর উপরই নির্ভর করে একজন ভিজিটর ওয়েবসাইটে কতটা সময় কাটাবেন।
SQL আর PHP
Coding Bootcamp থেকে কোডিং, প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে শিখে এবার আপনাকে কিছু পর্দার পেছনের ধারণা নিতে হবে। SQL হচ্ছে একটি ডেটাবেজ টেকনোলজি যা আপনার সাইটের সব তথ্য সংরক্ষণ করবে এবং PHP হচ্ছে একটি Scripting Language যা সময় মতো সেই ডেটাবেজ থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য আপনার সামনে তুলে আনবে।
SQL যেখানে ডেটা ম্যানেজমেন্ট করবে PHP সেখানে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটকে ডাইনামিক করবে যাতে আপনার ডেটাবেজ আপডেট হতে থাকে। SQL এবং PHP কিভাবে একসাথে কাজ করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকলে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং একজন Developer হিসেবে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি skill। বিভিন্ন অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্মে SQL ও PHP এর উপর কোর্স আছে। এমন কি আমাদেরও এর উপরে কোর্স আছে যেখান থেকে চাইলেই সহজে শিখে নিতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনারদের কাজগুলো কি কি
ওয়েব ডিজাইন করা হয় মূলত একটি ওয়েবসাইট কিসের ভিত্তিতে তৈরি হবে তা ঠিক করে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য। এই ডিজাইনের মধ্যে রয়েছে ওয়েবপেজে সিরিজ জুড়ে বিষয়বস্তু ও ছবি উপস্থাপন, পাশাপাশি অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য ইন্টারেক্টিভ বিষয়গুলিকে একীভূত করা৷
যারা এই কাজগুলোর সাথে সম্পৃক্ত তাদের বলা হয় ওয়েব ডিজাইনার। ওয়েব ডিজাইনাররা মূলত নিম্নোক্ত কাজগুলো করে থাকে:
১. সহজে পড়া যায় এমন ফন্ট নির্বাচন করা
২. আকর্ষণীয় কালার স্কিম নির্বাচন করা
৩. কালার, ফন্ট এবং লে-আউটের মাধ্যমে ব্র্যান্ডের আইডেন্টিটি নিশ্চিত করা
৪. নেভিগেশন নিশ্চিত করতে ওয়েবসাইটের স্ট্রাকচারের একটি ম্যাপ তৈরি করা
৫. ছবি, লোগো, বিষয়বস্তু, ভিডিও, অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য উপাদান রাখা
৬. ওয়েবসাইটের লেআউট তৈরি করতে এবং ওয়েবপেজে বিভিন্ন স্টাইল করতে HTML এবং CSS-এর মতো কোডিং ভাষা ব্যবহার করা।
৭. ডেস্কটপ এবং মোবাইল দেখার জন্য ওয়েবসাইট এবং পেজ অপ্টিমাইজ করা
সাধারণত ওয়েব ডিজাইনের ২টি পদ্ধতি রয়েছে:
১. এডাপটিভ
২. রেস্পন্সিভ ডিজাইন
এডাপ্টিভ ডিজাইনে, লেআউটের জন্য ফ্রেম হিসাবে স্ট্যান্ডার্ড স্ক্রীন সাইজ ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু তৈরি করা হয়। রেস্পন্সিভ ডিজাইনে, কন্টেন্ট স্ক্রিনের আকার অনুযায়ী গতিশীলভাবে চলে। ওয়েব ডিজাইনাররা ক্লায়েন্টের পছন্দ এবং সাইটের টার্গেটের উপর ভিত্তি এই ওয়েব ডিজাইন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপগুলো করে থাকে।
ওয়েব ডিজাইন কি এবং এর কাজ কি
ওয়েব ডিজাইনের মূল উপাদানগুলো কি কি?
ওয়েব ডিজাইন প্রক্রিয়া ডিজাইনারদের যেকোনো পছন্দের সাথে সামঞ্জস্য করতে এবং কার্যকর সমাধান প্রদান করতে দেয়। প্রতিটি ওয়েব ডিজাইনের অনেক স্ট্যান্ডার্ড উপাদান রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- লেআউট
- ছবি
- ভিজ্যুয়াল অনুক্রম
- কালার স্কিম
- টাইপোগ্রাফি
- পঠনযোগ্যতা
- নেভিগেশন
- বিষয়বস্তু
লেআউট
কোনো উপাদান বা বিষয়বস্তু যেভাবে একটি পৃষ্ঠায় প্রদর্শিত হয় তাই হল একটি ওয়েবসাইটের লেআউট। লেআউট নির্বাচন ডিজাইনারের জন্য একটি অপরিহার্য কাজ। এটি সহজ এবং অ্যাক্সেসযোগ্য হওয়া অত্যাবশ্যক। ওয়েব ডিজাইনাররা সাইটের বিষয়বস্তুগুলিকে সাদা স্পেস হিসেবে পরিচিত ফাঁকা জায়গাগুলি গ্রিড-ভিত্তিক ডিজাইনের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন।
ডিজাইনাররা ডেস্কটপ স্ক্রীন এবং মোবাইল ডিভাইসের জন্য আলাদা লেআউট তৈরি করতে পারেন। মোবাইল-ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ অনেক ভিজিটর তাদের সেলফোন বা ট্যাবলেটে ওয়েবসাইটগুলি অ্যাক্সেস করে৷ একটি ওয়েবসাইট মোবাইল ইউজারদের জন্য ফ্রেন্ডলি করে তুলতে ডিজাইনার একটি রেস্পন্সিভ টেমপ্লেট ব্যবহার করতে পারেন যা বিভিন্ন স্ক্রীনের আকারের সাথে খাপ খায় বা একটি মোবাইল-অনলি লুক ব্যবহার করতে পারেন যা একটি নন-ডেস্কটপ ডিভাইস থেকে ওয়েবসাইটে অ্যাক্সেস করলে কার্যকর হবে৷
ছবি
এটা হতে পারে কোনো স্থিরচিত্র, গ্রাফিক্স, ফটোগ্রাফ, আইকন এবং অন্যান্য যা সাইটের ব্র্যান্ড নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়। ওয়েবসাইটের ভ্যালু বাড়াতে ডিজাইনাররা এর সাথে সম্পূরক ছবি বা লোগো ব্যবহার করতে পারেন।
ভিজ্যুয়াল অনুক্রম
ভিজ্যুয়াল হায়ারার্কি বা অনুক্রম হল সেই ক্রম যার ভিত্তিতে ব্যবহারকারী সাইটের তথ্যগুলো দেখতে পাবে। ডিজাইনার ওয়েবসাইটে ভিজ্যুয়াল প্যাটার্ন প্রয়োগ করে এটি তৈরি করে। ভিজ্যুয়াল প্যাটার্ন তথ্যগুলো সাইটে যেভাবে বিন্যস্ত থাকে তা নির্দেশ করে।
কালার স্কিম
কালাম স্কিম হল বিভিন্ন কালারের সংমিশ্রণ যা একটি ব্র্যান্ডকে প্রতিনিধিত্ব করে অর্থাৎ ওয়েবসাইট বা ব্র্যান্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কোনো নির্দিষ্ট তথ্য দর্শকদের কাছে উপস্থাপন করতে সঠিক কালারের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা হতে পারে এক কালার ব্যবহার করা বা বিভিন্ন কালারের শেডিং ব্যবহার করা। ব্যবহারকারীরা কোন কালারের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তাও ডিজাইনাররা মাথায় রাখেন।
টাইপোগ্রাফি
টাইপোগ্রাফি হল লিখিত বিষয়বস্তুর ফন্ট সম্পর্কিত কাজ। ওয়েব ডিজাইনাররা সাধারণত জায়গাভেদে বিভিন্ন ফন্ট ব্যাবহার করতে পছন্দ করেন যা সহজে পঠনযোগ্য এবং লিখাকে আকর্ষণীয় করে তোলে। দর্শকদের আকৃষ্ট করতে সবসময় লিখার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফন্ট ব্যবহার করা উচিত।
পঠনযোগ্যতা
পঠনযোগ্যতা হল যখন ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু সহজে বুঝতে ও পড়তে পারা। ওয়েবসাইটের তথ্য পাঠযোগ্য হওয়া উচিত কারণ দর্শকরা সাধারণত এক্ষেত্রে খুব কম সময় ব্যয় করে দ্রুত তথ্য খুঁজে পেতে চায়। সেক্ষেত্রে ডিজাইনাররা উপযুক্ত কালার, সাইজ এবং পিক্সেল ব্যবহার করে তা দর্শকদের জন্য সহজবোধ্য করতে পারে।
নেভিগেশন
নেভিগেশন হল এমন একটি টুল যা ব্যবহার করে ইউজাররা ওয়েবসাইটের কোথায় যেতে চায় তা বেছে নিতে দেয়। সাইটের লেআউট এবং কাঠামোর উপর নির্ভর করে সেটা ওয়েবসাইটের হেডার, বডি এবং ফুটারে থাকতে পারে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ তার মাধ্যমে দর্শকরা সহজে এবং দ্রুত তার প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে নিতে পারে।
ডিজাইনাররা বিভিন্ন নেভিগেশন ডিজাইন এবং লেআউট বেছে নিতে পারেন, যেমন- একটি বাটন ব্যবহার করা যা নেভিগেশন মেনু লুকিয়ে রাখে এবং প্রকাশ করে। তাছাড়াও ব্যবহারকারীদেরকে একটি পৃষ্ঠার শীর্ষে, একটি পৃষ্ঠার একটি নির্দিষ্ট জায়গায়, নিচে বা আগের পৃষ্ঠায় ফিরিয়ে আনতে বিশেষ বাটন ব্যবহার করা যেতে পারে।
বিষয়বস্তু
বিষয়বস্তু হলওয়েবসাইটে বিদ্যমান যাবতীয় সব তথ্যাদি। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ দর্শকরা সাধারণত দ্রুত তথ্য পেতে চায়। ওয়েবসাইটটি যখন পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে তখন তা আরও দর্শকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। মূল বিষয়বস্তুর পাশাপাশি "সম্পর্কে" এবং "যোগাযোগ" ইত্যাদি পেজ ব্যবহার করার ফলে দর্শকদের কাছে বেশি বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করা যায়।
ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার
ওয়েব ডিজাইন বিস্তারিতঃ
ওয়েব ডিজাইন ক্যারিয়ার | ওয়েব ডিজাইন মানে হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের আউটলুক বা সাধারণ রূপ। ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে আপনার কাজ হবে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইটের টেম্পলেট বানানো। যেমন ধরুন একটি ওয়েবসাইটের লে-আউট কেমন হবে। হিডারে কোথায় মেনু থাকবে, সাইডবার হবে কিনা, ইমেজগুলো কীভাবে প্রদর্শন করবে ইত্যাদি। ভিন্নভাবে বলতে গেলে ওয়েবসাইটের তথ্য কী হবে এবং কোথায় জমা থাকবে এগুলো চিন্তা না করে, তথ্যগুলো কীভাবে দেখানো হবে সেটা নির্ধারণ করাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইনার এরর কাজ। আর এ ডিজাইন নির্ধারণ করতে ব্যবহার করতে হবে কিছু প্রোগ্রামিং, স্ক্রিপ্টিং ল্যাঙ্গুয়েজ এবং মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ। অনলাইন ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আয়ের যেসব পদ্ধতি রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি কাজের সুযোগ রয়েছে ওয়েব ডিজাইনারদের জন্য।
ওয়েব ডিজাইন কি
ওয়েব ডিজাইন হচ্ছে একটা ওয়েবসাইটের বাহ্যিক গঠন। ওয়েব ডিজাইনারের মুল কাজ সাইটের জন্য টেমপ্লেট (ওয়েবপেজ) বানানো। অর্থাৎ এপ্লিকেশন ছাড়া বাকি অংশ তৈরী করা। যেমন লগিন সিস্টেম, নিউজলেটার সাইনআপ, জিনেশন, ফাইল আপলোড করে ডেটাবেসে সেভ করা, ইমেজ ম্যানিপুলেশন, যদি সাইটে বিজ্ঞাপন থাকে তাহলে প্রতিবার পেজ লোড হওয়ার সময় বিজ্ঞাপনের পরিবর্তন এগুলি এপ্লিকেশন, ওয়েব এপ্লিকেশন । এসব তৈরী করতে হয় প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ দিয়ে । কোন প্রকার এপ্লিকেশন ছাড়া একটা সাইট তৈরী করাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন, এধরনের ডিজাইনকে বলতে পারেন স্টাটিক ডিজাইন।
কেন শিখবেন ওয়েব ডিজাইন
বর্তমান যুগে অনেকেই ওয়েব ডিজাইন শিখে লাখ লাখ টাকা আয় করছে। এর কারণ হচ্ছে বর্তমান এ পৃথিবীতে সবকিছুর যোগাযোগ, লেনদেন, কেনাবেচা সবকিছুই হচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। এক হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মাসে প্রায় ১ মিলিয়ন ওয়েবসাইট অনলাইনে যুক্ত হচ্ছে। আর একজন আরেকজনের পণ্য কিনছে একজন আরেকজনের সঙ্গে কথা বলছে, একজন তার কোম্পানির পরিচিতির জন্য ওয়েবসাইট দরকার। আর এ সবকিছুই যখন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে হচ্ছে তাই সবাই চায় যে তার একটা ওয়েবসাইট থাকুক। আর যখনই সে ওয়েবসাইট বানাতে চায় তখনই একজন ওয়েব ডিজাইনারের দরকার হয়। যে তার ওয়েবসাইটটি তৈরি করে দেবে। আর এ কারণেই মূলত ওয়েব ডিজাইনারের এত দাম।
ওয়েব ডিজাইন শিখতে হলে
ওয়েব ডিজাইনার হতে হলে কি কম্পিউটার সায়েন্স থেকে পাস হতে হবে? আমাদের সমাজের মধ্যে অনেক ভুল ধারণার মধ্যে এটিও একটি ভুল ধারণা। প্রকৃতপক্ষে বাহ্যিকভাবে দেখলে কম্পিউটার সায়েন্স থেকে পাস করা ছাত্রদেরই বেশি সফল হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। বেশিরভাগ ওয়েডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত অফিসগুলোতে গেলেই যে তথ্য পাওয়া যায়, সেখানে দেখা যায় ৭০ ভাগ ওয়েব ডেভেলপারের এডুকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড ভিন্ন।
ওয়েব ডিজাইন নাকি ডেভেলপমেন্ট
আমরা প্রথমেই যে ভুলটি করি, সেটি হল ওয়েব ডিজাইন আর ডেভেলপমেন্ট কে একই মনে করি । ওয়েব ডিজাইন আর ওয়েব ডেভেলপমেন্ট দুইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। আসলে আমরা ডিজাইন বলতে কি বুঝি? কোন কিছু তৈরি করাই ডিজাইন, আর একটি ওয়েবপেজ এর দৃশ্যমান অংশ তৈরি করা হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন । আর ওয়েব ডেভেলপ হচ্ছে ওয়েবসাইট এর প্রান।
কারা শিখতে পারবে ওয়েব ডিজাইন
যে কেউ নূনতম শিক্ষিত, যার কম্পিটার এর বেসিক নলেজটুকু জানা আছে । এর জন্য এমনটি নয় যে অনেক ইংলিশ ভালো জানতে হবে কিংবা অনেক সফটওয়্যার জানতে হবে।
ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য যা প্রয়োজন :
- এইচ টি এম এল (HTML)
- সি এস এস (CSS)
- বুটস্ট্রাপ (BS)
- জাভাস্ক্রিপ্ট (JS)
- জেকুয়েরি (jQuery)
- বেসিক ফটোশপ (PS)
১। এইচটিএমএল : এইচটিএমএল বা হাইপা টেক্সট মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ জানতে হবে। এটার কাজ মূলত কিছু ট্যাগ ব্যবহার করে ওয়েব পেজ গঠন করা। এগুলো মানুষ পড়তে পারে। প্রোগ্রামিং ভাষা এর মতো হাবিজাবি ‘হযবরল’ ভাষা না। এগুলোতে কিছু পরিচিত শব্দ ব্যবহার করা হয়। এইচটিএমএলকে ওয়েব পেজের কংকাল বলা হয়। এটি ওয়েব পেজের গঠন তৈরি করে।
২। সিএসএস : সিএসএস বা কেসক্যাডিং স্টাইল শিট জানতে হবে। এটি দিয়ে মূলত ওয়েব পেজগুলো ডিজাইন করা হয়। শুধু এইচটিএমএল দিয়ে ওয়েবপেজ বানালে তা শুধু কিছু লেখা মাত্র দেখা যাবে। কিন্তু সেই ওয়েব পেজকে সুন্দর রূপ দিতে হলে আপনার দরকার হবে সিএসএস। এইচটিএমএল হচ্ছে ওয়েব পেজের কংকাল আর সিএসএস হচ্ছে তার ওপরে মাংস, চামড়া ইত্যাদি। বুঝতেই পারছেন, সিএসএস ছাড়া এইচটিএমএল একটি কংকাল এর মতোই দেখাবে। সিএসএস এইচটিএমএল এর গঠনে রূপ দেয়।
৩। জাভাস্ক্রিপ্ট অথবা জেকুয়েরি : এই দুটোকে মূলত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের কিছুটা কাছাকাছি ধরা যায়। মূলত দুটি জিনিসের কাজ একই তবে জেকুয়েরি হচ্ছে জাভাস্ক্রিপ্টেরই একটা রূপ যা সাইটে জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহারকে অনেকটাই সহজ করে। আর এগুলোর কাজ হচ্ছে সাইটটা ইন্টারেক্টিভ করা। অর্থাৎ ভিজিটর একটা বাটনে ক্লিক করলে মেনু ওপেন হবে। অথবা একটা ফর্ম সাবমিট করলে কনফার্মেশন মেসেজ দেখাবে ইত্যাদি।
৪। ফটোশপ : ওয়েব ডিজাইনের জন্য ফটোশপ এ জ্ঞান থাকা জরুরি। ছোটখাটো কাজের জন্য আপনাকে ফটোশপ জানতে হবে। তবে খুব ভালো জানা লাগবে এমন কোনো কথা নয়।
ওয়েব ডিজাইনের সম্ভাবনাময় দিক গুলো :
একজন ভালো ওয়েব ডিজাইনার এর চাহিদা অনেক। ওয়েব ডিজাইনার হয়ে কখনো চাকরির জন্য মাসের পর মাস বেকার বসে থাকতে হয় না। আসলে বসে থাকার প্রয়োজন’ও পরে না কারণ এটা আন্তর্জাতিক মানের একটি পেশা। অনলাইন এ ফ্রিলান্সিং কিংবা অফসাইট এ কন্ট্রাকচুয়াল কাজের অনেক সুযোগ এখানে আছে। বছর বছর প্রমোশন না থাকলেও, বেতনের বৃদ্ধির হারটা অনেক উর্ধগতি। এই পেশায় অভিজ্ঞতা দিয়ে মুল্য বিচার করা হয়। যার যত বেশি কাজের অভিজ্ঞতা বাড়তে থাকে তার যোগ্যতাও তত বেশি।
ওয়েব ডিজাইন শিখতে কত দিন বা সময় লাগবে
আসলে ওয়েব ডিজাইন শিখতে কত দিন লাগবে সেটা সঠিক ভাবে বলা সত্তি অনেক কঠিন। কারণ, আপনি কত দ্রুত ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারবেন সেটা সম্পর্ন ভাবে নির্ভর করে আপনার প্রাকটিস এর উপরে। যদি প্রতিদিন প্রাকটিস করেন তাহালে ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে web design ভালো ভাবে শিখতে পারবেন।
সাধারণত ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে আপনি CSS, JavaScript, HTML শিখতে পারবেন। কিন্ত সেটা সম্পর্ন নির্ভর করবে আপনার শেখার গতির উপরে। এজন্য যদি শেখার আগ্রহ নিয়ে নিয়মিতভাবে প্রাকটিস করেন তাহালে অনেক দ্রুত ওয়েব ডিজাইন করা শিখে নিতে পারবেন।
ফ্রি ওয়েব ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট
যারা ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান এবং গুগলে সার্চ করে বেড়ান যে ” ওয়েব ডিজাইন শিখতে চাই” কোথায় শিখবো ইত্যাদি বিষয় তাদের জন্য উপকারী পোস্ট। আজকে আপনাদের অসাধরণ কিছু ফ্রি এবং পেইড রিসোর্স শেয়ার করব যেখান থেকে আপনারা সহজেই ওয়েব ডিজাইন বা ডেভেলপমেন্ট শিখতে পারেবন। আমরা যেসব রিসোর্স শেয়ার করতে যাচ্ছে সেই গুলো বেশি ভাগ গুলো ইংরেজি আবার কিছু বাংলা যাতে। কারণ অনেকেই ইংরেজি তে তেমন স্বাচ্ছন্দবোধ করেন না তাই তারাও যেন শিখতে পারে সেই উদ্দেশ্যে কিছু বাংলা রিসোর্স যুক্ত করা হয়েছে। ওয়েব ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট গুলো নিচে বর্ণনা করা হলো।
ইংরেজিতে ফ্রি তে ওয়েব ডিজাইন শিখার ওয়েবসাইট
W3schools.com
w3schools
Screenshot from w3schools.com
ওয়েব ডিজাইন শেখার এক অসাধারণ ওয়েবসাইট যা প্রায় সবার পরিচিত সেটি হলো w3schools । যারা ওয়েব ওয়েব ডিজাইন শিখছে বা শেখার চেষ্টা তাদের কাছে একটি পরিচিত ওয়েবসাইট এটি কারণ ওয়েব ডিজাইন শেখার বেস্ট ফ্রি ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট টি ইংরেজি ভাষাতে তৈরী করা হয়েছে কিন্তু কেউ যদি একটু ইংলিশ ও পারে তাও ওয়েবসাইট টি থেকে সহজেই শিখতে পারবে কারণ এটি খুব সাধারণ শব্দ গুলো ব্যবহার করা হয়েছে। W3schools এ ওয়েব ডিজাইন এর মূল জিনিস গুলো HTML, CSS, JavaScript শেখার সাথে ডেভেলপমেন্ট ও শিখতে পারবেন সে জন্য PHP, MYSQL, Python সহ প্রায় জিনিস গুল সহজেই সেকশন আকারে একের পর এক দেখানো হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের সবচেয়ে ভালো দিক হলো প্রত্যেকটি জিনিস শিখাবে উদাহরণের মাধ্যমে। এতো উদাহরণ দেওয়া আছে যেগুলো দেখে বা নিজে চেষ্টা করে করে অনেক শিখতে পারবেন। আপনি যদি ইংরেজিতে ফ্রি তে ওয়েব ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটা বেস্ট চয়েস হবে। এছাড়াও যারা প্রোগ্রামিং শিখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই ওয়েবসাইট সুন্দর সুন্দর টিউটোরিয়াল বানিয়ে রেখেছে। W3schools এ Howto নামে একটি সেকশন রয়েছে যেখানে দেখানো হয়েছে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন সেকশন বা ইলিমেন্ট কিভাবে বানাতে হয় যা অনেক কার্যকরি শিখার ক্ষেত্রে। ওয়েবসাইট টি ঘুরে আসুন আশা করি ভালো কিছু শিখতে পারবেন এখান থেকে।
Freecodecamp.Com
freecodecamp
Freecodecamp একটি অসাধণ ওয়েবসাইট যেখানে সহজেই বিভিন্ন ধাপে ধাপে ওয়েব ডিজাইন শিখতে পারবেন। ফ্রি কোড ক্যাম্প সম্পন্ন ফ্রিতে ওয়েব ডিজাইন শিখার সাথে সাথে প্রোগ্রামিং সম্পর্কিত অন্যান্য জিনিসও শিখতে পারবেন। এখানে ওয়েব ডিজাইন শিখার প্রসেস টা সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো ভাবে রয়েছে আপনাকে টেনশন করতে হবে নাহ কোনটার পর কোনটা শিখতে হবে কি করতে হবে সেটা তারাই দেখে দিবে। উপরের ছবি থেকে লিস্ট দেখতে পারছেন এখান থেকে যারা ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান তারা Responsive Web Design এই সেকশন টা দেখবেন শুরু করবেন।
আপনি যদি সঠিকভাবে এদের কোর্স টি সম্পন্ন করতে পারেন শেষে তারা চ্যালেঞ্জ দিবে সেই গুলো কমপ্লিট করলে কোর্স সার্টিফিকেট পাবেন যেটা আপনার অনলাইন পোর্টফলিও তে এড করতে পারেন। আশা করি ফ্রি ওয়েব ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট টি থেকে আপনারা সহজে ওয়েব ডিজাইনের বেসিক থেকে মিড লেভেল পর্যন্ত জিনিস বা আরো গভীরে শিখতে পারেন।
Sololearn.Com
Sololearn
Sololearn ওয়েবসাইট টিও ওয়েব ডিইজাইন এবং প্রোগ্রামিং শিখার সুন্দর প্ল্যাটফর্ম। এখানে ওয়েব ডিজাইন এর HTML, CSS, Javascript, Responsive Web Design সহ প্রোগ্রামিং এর PHP, Python, Java ইত্যাদি কোর্স সুন্দর করে সাজানো রয়েছে। প্রত্যেক টি কোর্স আলাদা আলাদা করে ভাগ করে রাখা হয়েছে যার যেটা ইচ্ছা সেটি শিখতে পারেন। Sololearn এর একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ও রয়েছে যেটাতে তারা বেশি ফোকাশ করে থাকে অর্থ্যাৎ তাদের টার্গেট মোবাইল ইউজার যাতে শিখতে পারে। আপনার যদি কম্পিউটার নাও থাকে তাহলেও আপনি এই অ্যাপের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন বা প্রোগ্রামিং শিখতে পারবেন।
Sattacademy
sattacademy
স্যাট একাডেমি w3schools এর বাংলা ভার্সন ধরতে পারেন। স্যাট একাডেমিতে W3Schols এর মতো করে সাজিয়ে বাংলাতে HTML, CSS, JS ইত্যাদি শিখানো হয়েছে। যারা ইংরেজি তে কমজোর তারা বাংলা ভাষা শিখতে চাইলে এই ওয়েবসাইট টি ফলো করতে পারেন। কিন্তু আমি বলব ইংরেজিতে W3 থেকেই শেখা উত্তম কারণ ঐখানে অনেক বেশি উদাহরণ রয়েছে এটা শিখতে বেশ সুবিধা করে। যদি কারো একবারেই সমস্যা থাকে ইংরেজি নিয়ে তারা এইখান থেকে বাংলা দেখা শেষ করে ঐখানে ইংরেজি তে আবার দেখতে পারেন এতে আপনি ভালো বুঝতে পারবেন।
Css-tricks.com
এই ওয়েবসাইটির নাম শুনে হয়তো অনেকেই বুঝে গিয়েছেন ওয়েবসাইট টি কি সম্পর্কিত। হ্যাঁ আপনি ঠিক ধরেছেন এটি একটি ব্লগ বা ফোরাম সাইট হিসাবে ধরতে পারেন যেখানে CSS নিয়ে বিভিন্ন টিপস এন্ড ট্রিক, টিউটোরিয়াল পোস্ট করে থাকে। সিএসএস দ্বারা ওয়েব ডিজাইনে দক্ষ হতে চাইলে উক্ত ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন আর্টিকেল পড়ে শিখতে পারেন।
Learnlayout.com
শুধু HTML, CSS জানলে হবে না এই গুলো দিয়ে কিভাবে একটা ওয়েবসাইটের লেউআউট বানাতে হয় সেটি জানতে হবে। লেআউট সম্পর্কে বেসিক জিনিস গুল শিখতে সাহায্য করবে এই ওয়েবসাইট টি। এখানে আপনি শিখতে পারবেন কিভাবে একটি ওয়েবসাইটের লেআউট বানাতে হয়। আশা করি ওয়েব ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট টি আপনাকে লেআউট সম্পর্কে বেসিক কিছু ধারণা দিতে সক্ষম হবে।
Mozila Developer Network
ফায়ার ফক্সের তৈরী ওয়েবসাইট হলো MDN । এখানেও আপনি HTML, CSS, Javascript এর বেসিক থেকে মিড লেভেলের কিছু টিউটোরিয়াল পেয়ে যাবেন। এছাড়াও ডেভেলপমেন্ট শিখার জন্য কিছু রিসোর্স আছে। জাভাস্ক্রিপ্টের ফ্রেমওয়ার্ক React, Vue সম্পর্কে টিউটোরিয়াল রয়েছে।
পেইড ওয়েব ডিজাইন কোর্স
ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য আমার মতে সবচেয়ে ভালো ওয়েবসাইট হলো Udemy । শুধু ওয়েব ডিজাইন ছাড়াও প্রোগ্রামিং সহ অন্যান্য জিনিস শেখার জন্য আমার কাছে বেস্ট মনে হয় Udemy । কারণ এইখানে কোর্স ইন্সট্রাক্টর গুলো অনেক ভালো এবং প্রত্যেক জিনিস শিখার পর সেইগুলো দিয়ে প্রজেক্ট করার মাধ্যমে ভালো ভাবে শিখিয়ে থাকে। এছাড়াও Udemy ছাড়া আরো অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনি আপনার পছন্দের কোর্স খুঁজে বের করে জয়েন হতে পারেন। যেমনঃ Lynda, Skill share, Khan Academy, Udacity, Coursera ইত্যাদি।
কিন্তু পেইড কোর্স কেনার সময় একটু সাবধান হওয়া উচিত আমাদের অনেক সময় কিছু ভুল করে বসে থাকি। আমাদের ভাষা যেহেতু বাংলা অনেকেই বাংলা তে শিখতে আগ্রহী এই জন্য বাংলা ই লার্নিং প্ল্যাটফর্ম কোন ব্যক্তি থেকে ওয়েব ডিজাইন শিখতে চান তারা সাবধান হবে। একটু কষ্ট হলেও ইংরেজি তে এই রকম ইন্টারন্যাশনাল ওয়েবসাইট থেকে শিখার চেষ্টা করবেন। কারণ দেশী যেসব ট্রেইনার আছে তারা ইনকামের লোভ দেখিয়ে আপনাকে তার কোর্স কিনতে আগ্রহী করে তুলতে পারে। তাই কোন কোর্স কেনার আগে ও করার আগে ইনকামের চিন্তা বাদ দিন যে শিখানোর চিন্তায় থাকে তার কাছে ভর্তি হোন তারপর এক্সপার্ট হলে ইনকামের দিকে যাবেন।
আশা করি, ফ্রি তে ওয়েব ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে ভালো কয়েকটা ওয়েবসাইট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরেছি। যদি এগুলোর বাইরে আরো কোন ভালো ওয়েবসাইট সম্পর্কে আপনার জানা থাকে যেখানে ফ্রি তে ওয়েব ডিজাইন শিখা যায় কমেন্ট করে জানাতা ভুলবেন না।
ওয়েব ডিজাইন শিখে কত টাকা আয় করতে পারবেন
ওয়েব ডিজাইন শিখেই আপনি আয় করতে পারবেন এমনটা নয়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে সাইন আপ করেন তাহলে প্রথম কাজটি পেতে আপনার অনেক সময় লাগতে পারে।
এরপর আপনি ভালো সার্ভিস দিলে বায়ার আপনাকে ভালো রিভিউ দেবে এবং সেই রিভিউ দেখে অন্য বায়ার আপনাকে কাজ দেবে। এভাবে ভালো রিভিউ পেতে থাকলে আপনি আস্তে আস্তে অনেক অর্ডার পেতে থাকবেন।
এক পর্যায়ে আপনি মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। এছাড়া অনেকে নিজস্ব ওয়েব ডিজাইন এজেন্সি তৈরী করে যেখানে কয়েকজন ওয়েব ডিজাইনার একসাথে কাজ করে। আপনি এমন এজেন্সিতে যুক্ত হতে পারেন।
এছাড়া নিজস্ব একটি এজেন্সি খুলেও আয় করতে পারেন। পরবর্তী পোস্টে আমরা ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে অনেক আলোচনা করবো। সেখানে এই বিষয় নিয়ে আরোও আলোচনা করা হবে।
ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর
অনেকে আমাকে ওয়েব ডিজাইন নিয়ে কিছু প্রশ্ন করে। সেই প্রশ্ন গুলোর সঠিক উত্তর আমি নিচে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
১. কোথায় ওয়েব ডিজাইন শিখলে ভালো ফল পাওয়া যাবে?
উত্তর: ইউটিউবে ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে প্রচুর ভিডিও আছে। এছাড়া অনেকে কমপ্লিট প্লেলিস্ট তৈরী করে রেখেছে।
আপনি যদি এইগুলো সার্চ করতে পারেন তাহলে ইউটিউব থেকেই ওয়েব ডিজাইন শিখে ফেলতে পারবেন।
কিন্তু সবকিছু যদি এক স্থানে গুছিয়ে পেতে চান এবং এডভান্স বিষয় গুলো আরোও ভালোভাবে শিখতে চান তাহলে একটি কোর্স কিনলে সবথেকে ভালো হয়। এক্ষেত্রে আমি টেন মিনিট স্কুলের কোর্সটি আপনাকে সাজেস্ট করবো।
২. মোবাইল দিয়ে কি ওয়েব ডিজাইন করা সম্ভব?
উত্তর: মোবাইল দিয়েও আপনি ওয়েব ডিজাইন করতে পারবেন। তবে সেটি কম্পিউটারের থেকে অনেক গুন বেশি সময় সাপেক্ষ হবে।
তাছাড়া মোবাইলের আরেকটি বড় অসুবিধা হলো এডভান্স কোড এডিটর না থাকা। এছাড়া মোবাইলে আরোও অনেক অসুবিধা আপনাকে ভোগ করতে হতে পারে।
৩. ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য কোনো ওয়েবসাইট আছে কি?
উত্তর: হ্যাঁ। বর্তমানে প্রচুর ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট বিষয়ক ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি সকল কিছু একসাথে পেয়ে যাবেন। এর মধ্যে w3schools সবথেকে জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট।
এছাড়া আপনার যদি কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
আপনি হয়তো ভাবছেন ওয়েব ডিজাইন অনেক জটিল একটি বিষয়। আসলে এটি ততটাও জটিল না। বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতির ফলে ওয়েব ডিজাইন অনেক সহজ হয়ে উঠেছে।
যেমন আপনি কোডিং ছাড়াই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করে ফেলতে পারবেন এবং সেটি সম্পুর্ন ইডিট করতে পারবেন। এছাড়া ওয়েব ডিজাইনের জন্য ব্যবহৃত নোট প্যাড গুলোও দিন দিন এডভান্স হয়ে উচছে।
বর্তমানে নোট প্যাডে কোন ট্যাগ একাংশ লিখেলেই সম্পুর্ন ট্যাগটি সাজেশনে চলে আসে। ফলে সম্পুর্ন কোডটি লেখা লাগে না। অতএব আপনি বর্তমানে সহজেই ওয়েব ডিজাইন শিখে ফেলতে পারবেন। প্রথম দিকে জটিল মনে হলেও আস্তে আস্তে এটি অভ্যস্ত হয়ে যাবে।
আশাকরি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের ওয়েব ডিজাইন শেখাই সাহায্য করবে। যদি আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে সাহায্যপুর্ন মনে হয় তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এছাড়া কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে কমেন্ট করবেন।
Read More: ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়
Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়
Read More: Mobile Phone Price | Phone Review
0 Comments
Please don’t send any spam link