ফাইভারে সফল হয়ার উপায়
ফাইভারে যেভাবে সফল হবেন
আপনি কি ফ্রিল্যান্সার হতে চান? একজন ফ্রিল্যান্সারের কিভাবে শুরু করতে হয়? ফাইভার, আপওয়ার্কের মতন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন? ফাইভারে যেভাবে সফল হবেন সবকিছু নিয়েই আজকের আলোচনা। ফাইভার থেকে আয়।
শুরুতে ফাইভার কি জেনে নিই
ফাইভার হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্যে তৈরি করা বিশাল একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। ২০১০ সালে ইসরায়েলের একটি কোম্পানি এটি তৈরি করে এবং তখন থেকেই ফ্রিল্যান্সারদের জন্যে এটি ভাল কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে ফাইভারকে ২য় বলে গণ্য করা হয় (প্রথম আপওয়ার্ক)।
Read More: ছাত্র জীবনে আয় করার উপায়
আজকে আমরা ফাইভারের খুটিনাটি আদ্যপান্ত যা আছে এবং কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ফাইভারে যেভাবে সফল হতে পারবেন সবকিছু তুলে ধরবো। How to Succeed at Fiver.
ফাইভারে যে সকল ক্যাটাগরিতে কাজ করতে পারবেন
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing)
কেন আপনি এসইও এক্সপার্ট (SEO EXPERT) হবেন
এসইও (SEO) কি
এসইও তে কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়
এসইও করে ফাইভারে যেভাবে সফল হবেন
এসইও নিয়ে ফাইভারে যেভাবে কাজ খুঁজবেন
ফাইভারে যেভাবে কাজ করে
ফাইভারে গিগ কি
ফাইভারে যেভাবে সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে দাঁড় করাবেন
ফাইভারে যেভাবে সফল হবেন
আপনি কি ফ্রিল্যান্সার হতে চান? একজন ফ্রিল্যান্সারের কিভাবে শুরু করতে হয়? ফাইভার, আপওয়ার্কের মতন মার্কেটপ্লেসে কাজ করা নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন? ফাইভারে যেভাবে সফল হবেন সবকিছু নিয়েই আজকের আলোচনা।
শুরুতে ফাইভার কি জেনে নিই
ফাইভার হচ্ছে ফ্রিল্যান্সারদের জন্যে তৈরি করা বিশাল একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস। ২০১০ সালে ইসরায়েলের একটি কোম্পানি এটি তৈরি করে এবং তখন থেকেই ফ্রিল্যান্সারদের জন্যে এটি ভাল কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেসগুলোর মধ্যে ফাইভারকে ২য় বলে গণ্য করা হয় (প্রথম আপওয়ার্ক)।
আজকে আমরা ফাইভারের খুটিনাটি আদ্যপান্ত যা আছে এবং কিভাবে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ফাইভারে যেভাবে সফল হতে পারবেন সবকিছু তুলে ধরবো।
ফাইভারে যে সকল ক্যাটাগরিতে কাজ করতে পারবেন
গ্রাফিক্স ডিজাইন (GRAPHICS & DESIGN)
ডিজিটাল মার্কেটিং (DIGITAL MARKETING)
রাইটিং & ট্রান্সলেশন (WRITING & TRANSLATION)
ভিডিও & এনিমেশন (VIDEO & ANIMATION)
মিউজিক & অডিও (MUSIC & AUDIO)
প্রোগ্রামিং & টেকনোলজি (PROGRAMMING & TECH)
ডাটা (DATA)
বিজনেস (BUSINESS)
লাইফস্টাইল (LIFESTYLE)
ফটোগ্রাফি (PHOTOGRAPHY)
একটু খেয়াল করে দেখুন আমাদের চারপাশে যত কাজ আছে সবগুলো কিন্তু উপরের ১০টি কাজের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং ভাবতে পারছেন ফাইভারের পরিধি কত বড়।
উপরের ১০টি হেড ক্যাটাগরির অধিনে আবার শতশত সাব ক্যাটাগরি (তথা ছোট ছোট কাজ) আছে। যেগুলোর কোনো একটি শিখে আপনি ফাইভার থেকে ভাল একটি অর্থ উর্পাজন করতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং
(Digital Marketing)
যেহেতু সবগুলো একটি লেখায় লিখা সম্ভব নয়, তাই আজ আমরা শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) নিয়ে আলোচনা করব। আজকের দিনে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা যেমন বেড়ে গেছে, তেমনি হুহু করে বাড়ছে এর ডিমান্ড। তাই আপনি যদি একজন ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান কিংবা হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্যে সুখবর আছে। কারণ, ডিজিটাল মার্কেটিং এমন একটি স্কিল যার মাধ্যমে আপনি শতশত ডলার আয় করবেন সহজেই। কিভাবে ফাইভারে সফল হবেন !
একজন একক ব্যক্তির পক্ষে ডিজিটাল মার্কেটিং এর এতবড় পরিসর জানা সম্ভব নয়৷ কারণ ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মধ্যে—
- SOCIAL MEDIA ADVERTISING
- SOCIAL MEDIA MARKETING
- GUEST POSTING
- SEARCH ENGINE OPTIMIZATION (SEO)
- PUBLIC RELATIONS
- BOOK & EBOOK MARKETING
- PODCAST MARKETING
- VIDEO MARKETING
- EMAIL MARKETING
- TEXT MESSAGE MARKETING
- CROWDFUNDING
- SEARCH ENGINE MARKETING (SEM)
- DISPLAY ADVERTISING
- WEB TRAFFIC
- WEB ANALYTICS
- MARKETING ADVICE
- INFLUENCER MARKETING
- MARKETING STRATEGY
- COMMUNITY MANAGEMENT
- LOCAL SEO
- E-COMMERCE MARKETING
- AFFILIATE MARKETING
- MOBILE APP MARKETING
- MUSIC PROMOTION
Read more about how to earn money from Facebook : ফেসবুক থেকে আয় – ২০২৩
এইসব গুলো স্কিল অন্তর্ভুক্ত। তাই আপনি যদি এসবের মধ্যে যেকোনো একটা স্কিলে ভালো সার্ভিস করতে পারেন তাহলে আপনি ফাইভারে সফল হবে এটা শতভাগ নিশ্চিত।
ফাইভারে যেভাবে সফল হবেন
কেন আপনি এসইও এক্সপার্ট (SEO EXPERT) হবেন
এবার আসি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের এতবড় সেক্টর থেকে কোনটিকে আপনার পছন্দ করা উচিত। আমি বলবো আপনি এসইও (SEO) নিয়ে কাজ করুন। কারণ, শুধুমাত্র এসইও করে আপনি মাস শেষে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করতে পারবেন।
এসইও (SEO) কি
এসইও (SEO) হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (Search Engine Optimization)। আমরা যে গুগল (Google), বিং (Bing), ইয়াহু (Yahoo) ইত্যাদি সার্চ অপারেটর ব্যবহার করি, এগুলোই হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। সহজ ভাষায় অর্থাৎ, সার্চ ইঞ্জিন হচ্ছে এমন একটি বিষয় যেখানে কোনোকিছু সার্চ করে ইনফরমেশন পাওয়া যায়।
এসইও তে কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়
এসইও হচ্ছে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় এবং অধিক আয়ের মধ্যে অন্যতম একটি সেক্টর। পৃথিবীতে হাজার হাজার মানুষ এসইও করে তাদের জীবন পাল্টে ফেলেছে। এসইও তে মূলত ৪ ধরনের কাজ পাওয়া যায়—
অনপেজ এসইও (ON-PAGE SEO)
অফপেজ এসইও (OFF-PAGE SEO)
টেকনিক্যাল এসইও (TECHNICAL SEO)
লোকাল এসইও (Local SEO)
কিওয়ার্ড রিসার্চ (KEYWORD RESEARCH)
কম্পিটিটর এনালাইসিস (COMPETITOR ANALYSIS)
ভয়েজ সার্চ এসইও (VOICE SEARCH SEO)
এসইও ফুল প্যাকেজ (FULL SEO PACKAGESELECT A SERVICE TYPE)
এসইও করে ফাইভারে যেভাবে সফল হবেন
উপরের প্রত্যেকটি কাজ এসইও এর এক একটি সেক্টর। আপনি যদি এগুলোর মধ্যে যেকোনো ২-৩ টা ভাল জানেন বা ওয়েল স্কিলড হন তাহলে এগুলো সার্ভিস দিয়ে ফাইভার থেকে ভাল টাকা আয় করতে পারবেন। আমাদের দেশসহ পার্শ্ববর্তী ভারত, পাকিস্তান এবং পৃথিবীর সবদেশে এসইও একটি ডিমান্ডিং কাজের সেক্টর। এসইও নিয়ে আগামী ১৫-২০ বছর আপনি নিশ্চিন্তে কাজ করে যেতে পারবেন। সুতরাং আপনার ভয় পাবার কোনো কারণ নাই।
এসইও নিয়ে ফাইভারে যেভাবে কাজ খুঁজবেন
প্রথমে ফাইভারে একটি একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হয়। তারপর আপনার কিছু ডিটেইলস দিতে হয় প্রোফাইল পূরণ করতে। ফাইভারের একাউন্ট খোলা নিয়ে অনেক আর্টিকেল আছে। ইউটিউব, গুগলে অসংখ্য টিউটোরিয়াল আছে। সুতরাং একাউন্ট খোলা এবং সেট-আপ নিয়ে না বলে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ কিছু ট্রিকস দিই। যেন এসব ট্রিক্স কাজে লাগিয়ে আপনি ফাইভারে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারেন।
ফাইভারে যেভাবে কাজ করে
ফাইভারের মূলত ২ টি মুড যথা- বায়ার মুড ও সেলার মুড। আমরা যেহেতু ফাইভারে সেলস তথা সার্ভিস দিব তাই আমরা সেলার মুড হয়ে কাজ করব৷ তো শুরুতে আপনি যে ক্যাটাগরির কাজ করবেন তার উপর গিগ দিতে হবে। তারপর আপনার কাজ অনলাইনে একটিভ থাকা এবং বায়ারের সাথে কমিনিউকেশন চালিয়ে যাওয়া।
ফাইভারে গিগ কি
ফাইভার একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যেখানে যে কেউ অনলাইনে সার্ভিস বিক্রি করতে পারে এবং কিনতে পারে। বর্তমান সময়ে এটি সারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস যাদের রয়েছে ৩ মিলিয়নের বেশি গিগের ডেটাবেজ।
ফাইভার মার্কেটে এসেছে ২০১০ সাল থেকে। ফাইভার নামকরণ করা হয়েছে কারণ শুরুতে এখানে শুধুমাত্র পাঁচ ডলারের কাজ করা যেত। তাদের যাত্রার শুরুর প্রথম পাঁচ বছর এই নিয়ম অব্যাহত ছিলো। পরে ২০১৪ সালে তারা পাঁচ ডলারের লিমিটটি প্রত্যাহার করে নেয়। যার ফলে মার্কেটপ্লেস আরো বেশি গতি পেয়েছে কাজের ক্ষেত্রে। এতে করে আরো উন্নত মানের গিগ দেখা যেতে লাগলো খুব কম সময়ে। বর্তমানে এই মার্কেটপ্লেসে প্রায় সব ধরণের কাজ পাওয়া যায়, এখন অনেক উন্নতমানের গিগ রয়েছে, যেখান থেকে যে কেউ তার জন্য সবচেয়ে বেস্ট জব সেল করতে পারবে এবং কিনতে পারবে।
কিভাবে ফাইভারে গিগ করবেন
প্রথম ধাপ
ওভারভিউ বিভাগে প্রথমেই আপনাকে গিগের একটি শিরোনাম দিতে হবে। ফাইভারে সাধারণত ‘I will’ এই শব্দটি দিয়ে গিগ শুরু হয়। যেমন আপনি যদি লোগো ডিজাইনার হন, তাহলে আপনার গিগটি হবে এমন ‘I will Design Logo for your company’। অর্থাৎ আপনার গিগ সাজাতে হবে ‘I will’ শব্দটির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাক্য দিয়ে। এরপর গিগটির বিভাগ এবং উপবিভাগ নির্বাচন করতে হবে। সেবার ধরন বিভাগে আপনি কোন ধরনের সেবা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী, তা নির্বাচন করতে হবে।
এরপর গিগ মেটাডেটা বিভাগে গিগ-এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ অপশনগুলো নির্বাচন করতে হবে। এবার আপনার গিগের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ৬টি ট্যাগ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনি যে ধরনের গিগ তৈরি করবেন, সে ধরনের গিগ নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের দেওয়া ট্যাগগুলো দেখে ধারণা নিতে পারেন। তবে কারও গিগ কখনোই নকল বা কপি করতে যাবেন না, এতে করে আপনার অ্যাকাউন্ট বাতিল হতে পারে। এ অংশটি শেষ হলে সেভ করে কনটিনিউ অপশনে ক্লিক করতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ
প্রাইসিং বিভাগে আপনাকে গিগের প্যাকেজ বানাতে হবে, অর্থাৎ যে সেবাটি দেবেন, তাঁর জন্য আলাদা তিনটি প্যাকেজ বানাবেন। চাইলে একটি প্যাকেজও বানাতে পারেন, তবে গিগের জন্য তিনটি প্যাকেজ থাকলে ভালো হয়। প্যাকেজ তৈরির পর সেগুলোর নাম, ক্লায়েন্টরা কোন ধরনের সেবা পাবে, তা উল্লেখ করার পাশাপাশি কোন প্যাকেজের জন্য কত দিন সময় লাগবে, তা–ও জানাতে হবে। প্রতিটি প্যাকেজের নিচে বেশ কিছু অপশন দেখাবে ফাইভার, প্যাকেজের বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা অপশনগুলো নির্বাচন করতে হবে। এবার প্যাকেজগুলো ব্যবহারের জন্য আপনি কত টাকা নেবেন, তা আলাদাভাবে উল্লেখ করতে হবে। আপনি চাইলে প্যাকেজগুলোর সঙ্গে অতিরিক্ত সেবাও দিতে পারেন। এ জন্য এক্সট্রা সার্ভিস অপশনে সহায়ক সেবাগুলোর নাম লিখে সেভ এবং কনটিনিউ অপশন নির্বাচন করতে হবে।
তৃতীয় ধাপ
ডেসক্রিপশন বিভাগে আপনার তৈরি গিগটির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য লিখতে হবে। আপনার গিগটি কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে, কেনার পর ক্লায়েন্ট কোন ধরনের সহায়তা পাবে বা বিক্রয়োত্তর সেবার পরিধি কত দিন, তা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। চাইলে আপনার তৈরি গিগের মতো যাঁরা গিগ বানান, তাঁদের দেওয়া তথ্যগুলো পড়ে দেখতে পারেন। এরপর গিগ বিষয়ে সচরাচর ক্লায়েন্টরা যেসব প্রশ্ন করেন, সেগুলোর উত্তর লিখতে হবে। সর্বোচ্চ ১০টি প্রশ্নের উত্তর এ বিভাগে যুক্ত করে দেওয়া যাবে।
চতুর্থ ধাপ
রিকোয়ারমেন্ট বিভাগে গিগ অর্ডার করলে আপনার যে ধরনের তথ্য বা সোর্স দরকার হবে, তার তথ্য উল্লেখ করতে হবে। যেমন কোনো ক্লায়েন্ট যদি ওয়েব ডিজাইনের জন্য আপনার গিগ কেনেন, তবে আপনাকে তার ওয়েবসাইটের ডোমেইন ও হোস্টিংয়ের তথ্য দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ছবি বা নিবন্ধও পাঠাতে হবে। কারণ, এসব তথ্য ছাড়া আপনি নির্দিষ্ট সময়ে তার নির্দেশনামতো কাজ করতে পারবেন না। রিকোয়ারমেন্ট বিভাগে বিষয়গুলো আগে থেকে উল্লেখ করে দিলে কোনো ক্লায়েন্ট তথ্য সরবরাহ করতে রাজি না হলে আপনার গিগ অর্ডার করতে পারবে না।
পঞ্চম ধাপ
ইমেজ গ্যালারি বিভাগে আপনার সেবার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি ভিডিও এবং তিনটি ছবি যুক্ত করা যাবে। ছবিগুলো এমন হতে হবে, যেন সেগুলো দেখেই ক্লায়েন্টরা আপনার সেবা সম্পর্কে ভালো ধারণা পেতে পারেন। ছবিতে গিগের মূল তথ্যগুলো টেক্সট আকারে লেখার পাশাপাশি সহায়ক ছবি বা আইকন ব্যবহার করতে হবে। গিগ ইমেজগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই চেষ্টা করবেন গিগ ইমেজগুলোর মান যেন ভালো হয়। সেলারদের গিগ ইমেজের মানোন্নয়নে এই বিভাগে ফাইভারের ইমেজ ব্যবহারের নীতিমালা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে। ভালো মানের গিগ ইমেজ বানানোর জন্য আপনি চাইলে নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করতে পারেন।
গ্যালারি বিভাগের নিচে আপনি দুটি পিডিএফ ডকুমেন্ট যুক্ত করতে পারবেন। ফলে চাইলেই আপনার বিভিন্ন কাজ নিয়ে ডকুমেন্ট তৈরি করে পিডিএফ ফরম্যাটে যুক্ত করতে পারবেন, যা আপনার পেশাগত পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে।
ফাইভারে কোনো গিগ বানানোর পর কি কি করণীয়
ফাইভারে গিগ বানানোর পর কেউ কেউ অনেকদিন যাবৎ গিগ-এ প্রথম অর্ডারটি পেতে। আবার অনেকেই খুব দ্রুত বায়ার থেকে অর্ডার পেয়ে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে কয়েকটি ফাইভার অর্ডার আসার পর অর্ডার আসা বন্ধ হয়ে যায় এবং ইম্প্রেশন কমে যায়। একটা ব্যাপার তো ক্লিয়ার যে এগুলোর স্পেসিফিক কোনো সলুশন নাই। সলুশন একটাই, তা হচ্ছে রিসার্চ। নিচের পয়েন্টগুলোর মাধ্যমে আমি চেষ্টা করেছি তুলে ধরতে, ফাইভার মার্কেটপ্লেসে যাতে কাজ পান এবং গিগ ইম্প্রেশন যেন ঠিক থাকে:
১। আপনার গিগ যদি ক্লায়েন্টের রিস্পন্স না পেয়ে অবহেলায় পরে থাকে, তাহলে এডিট করা শুরু করে দিন। যেমন গিগ টাইটেল, থাম্বনেইল, গিগ ডেসক্রিপশন, সার্ভিস প্রাইসিং।
২। কি সার্ভিস দেবেন সেটার উপর কোন কোন কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন সেদিকে মনোযোগ দিন।
৩। যে সার্ভিসের উপর আপনার গিগ আছে সেটাতে মার্কেটে কি রকম কাজ মানুষ পাচ্ছে সে দিকটা দেখা উচিত।
৪। যেমন ধরুন ইমেইল টেমপ্লেট ডিজাইন লিখে সার্চ করে অনেকগুলো গিগ দেখতে পেলেন কিন্তু জব কমপ্লিট করেছে হাতে গোনা কয়েকজন। তাহলে ওই ক্যাটাগরিতে গিগ বানালে জব পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
৫। খুবই গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় হচ্ছে, গিগ সার্ভিসটাকে আরো বেশি স্পেসিফাই করা। মানে ধরুন আপনি গিগ বানিয়েছেন ফ্লায়ার ডিজাইন এর উপর। এই ধরণের গিগ অনেক পাবেন সার্ভিস ও দিচ্ছে অনেকেই। তাহলে আপনি কি করবেন ? ফ্লায়ার ডিজাইন কে আরো স্পেসিফাই করেন। যেমন সিঙ্গাল সাইড ফ্লায়ার ডিজাইন অথবা ডাবল সাইড ফ্লায়ার ডিজাইন।
৬। সব ক্লায়েন্ট টার্গেট করে গিগ বানানোর দরকার নেই। আপনার গিগ যখন একটা স্পেসিফিক কাজের জন্যই বানাবেন তখন ওই ক্লায়েন্ট সবার থেকে আলাদাভাবে আপনাকে পছন্দ করবে। এর সাথে আপনাকে এটাও ভাবতে হবে ক্লায়েন্ট ওই সার্ভিস এর জন্য সার্চ করছে কিনা।
৭। সোশ্যাল মিডিয়াতে গিগ শেয়ার করার থেকে ফাইবার অনলাইনে থাকাটা বেশি জরুরি । ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে অন রাখবেন।
৮। দেখা যায় যে ৩/৪ মিনিট পর আপনার ফাইভার প্রফাইলটি অফলাইনে চলে যায়। তাই অনলাইনে থাকার জন্য আপনাকে ফাইভার ওয়েবসাইট রিলোড দিয়ে নিতে হবে।
৯। যদি ক্লায়েন্ট মেসেজ করে তাহলে চেষ্টা করবেন তার কাছ জব আদায় করে নেয়া। কনভার্সন রেট কমে গেলে ক্লায়েন্টের রিপ্লাই পাওয়া টা আস্তে আস্তে কমে যেতে পারে । যেমন আপনাকে ১ সপ্তাহে ১০ জন বায়ার রিপ্লাই দিয়েছে। কিন্তু জব পেয়েছেন একটা বা কোনো জব ই পান নাই। তাহলে কনভার্সন রেট কমে যাবে।
১০। গিগের ডেসক্রিপশন লিখতে অনেকেই ভুল করেন। গিগে নিজের পরিচয় না দিয়ে গিগের মাধ্যমে কি সার্ভিস দেবেন সেটাকে গুরুত্ব দিন। আর গুরুত্বপূর্ণ শব্দ গুলোকে বোল্ড করুন। সব ক্লায়েন্ট পুরো ডেসক্রিপশন না পড়লেও বোল্ড করা কথাগুলো চোখে পড়বে।
১১। গিগ থাম্বনেইল সাদামাটা না বানিয়ে চোখে পড়ার মতো করে ডিজাইন করুন। কন্টেন্ট আর ইমেজের সমন্বয়ে তৈরী করুন। আপলোড করার আগে আপনার গিগ টাইটেলটা থাম্বনেইল এর নামকরণ করুন।
১২। অনেকেই বলে গিগ এডিট করা যায়না, করলে রাঙ্কিং কমে যায় । একদমই ভুল কথা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রাইজিং টেবিল টা আমাদের এডিট করতে হয়। শুরুতে কম বাজেটে কাজ করছেন এখন যদি মনে হয় প্রাইজ বাড়াবেন, তাহলে নিশ্চিন্তে বাড়িয়ে নিন। তবে কিওয়ার্ড এডিট করবেন না।
১৩। গিগে অর্ডার পেতে আপনার গিগ টাইটেলও এডিট করতে পারেন।
নতুন ফাইভার সেলারদের জন্য সেরা ১০টি টিপস
ফাইভার এ স্বাগতম! একজন ফাইভার সেলার যখন একেবারেই নতুন তখন সফল হওয়ার জন্য অবশ্যই তার অনেক কিছু করার দরকার পড়ে। নিচে এমন কয়েকটি টিপস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে যা আপনাকে ফাইভার এ দ্রুত সফল হতে সাহায্য করবে।
১) প্রাথমিক শুরুর বিষয় নিশ্চিত করুন
কিভাবে শুরু করবেন এটা নিয়ে নতুন সেলাররা সাধারণত অনিশ্চয়তায় ভুগে থাকেন। সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী আপনি কি ধরনের পরিষেবা সরবরাহ করতে চান তা নিশ্চিত করুন। গিগ তৈরী করার ক্ষেত্রে আপনি অন্যান্য ফাইভার সেলারদের গিগগুলি অনুসন্ধান করে দেখুন। এই সহজ কৌশলটি অন্যান্য গিগ গুলো থেকে আপনার গিগ টিকে আলাদা করতে এবং সফল হওয়ার জন্য আপনাকে কি করতে হবে তা বুঝতে সহায়তা করবে।
২) গিগ এ ভিডিও যুক্ত করুন
গিগ এ একটি সংক্ষিপ্ত এবং উচ্চমানের ভিডিও যুক্ত করুন। এটি আপনার অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনাকে ২০০% বাড়িয়ে তুলবে। নতুন ফাইভার সেলারদের অর্ডার পাওয়ার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত কৌশল।
৩) গিগ ডেলিভারির ক্ষেত্রে সঠিক সময় নির্বাচন করুন
বায়াররা সাধারণত সঠিক সময়ে অর্ডার ডেলিভারি দিতে পারে এমন সেলারদের সন্ধান করে থাকে। সেই ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধা এবং সমস্ত পারিপার্শ্বিক দিক বিবেচনা করে আপনি একটি উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করুন। যাতে আপনার বায়ারকে ডেলিভারি দেয়ার ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধায় পড়তে না হয়। এই কৌশলটি আপনাকে অন্যান্য সেলারদের থেকে আলাদা করতে এবং অনেক বেশি অর্ডার পেতে সাহায্য করবে।
৪) গিগ এ এসইও ব্যবহার করুন
আপনার ফাইভারে সার্চ র্যাঙ্কিং উন্নত করতে এসইও ব্যবহার করুন। একটি বায়ার-ফ্রেন্ডলি গিগ শিরোনাম বাছাই করুন। এটি ক্রেতাদের আপনার গিগ টিকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।
৫) দৃষ্টি আকর্ষণীয় প্রোফাইল তৈরী করুন
এমন একটি প্রোফাইল ছবি যুক্ত করুন যেটাতে আপনার চেহারা উজ্জ্বল দেখায়, সেই সাথে আপনার ব্যক্তিত্বকেও ফুটিয়ে তোলে। আপনার প্রোফাইলটিকে নিজেকে সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার এবং ক্রেতাদের আপনার সার্ভিস সম্পর্কে জানার মাধ্যম হিসেবে তৈরী করুন। একটি দুর্দান্ত প্রোফাইল ক্রেতাদের মধ্যে আপনার সম্পর্কে আত্মবিশ্বাস তৈরী করবে। যা ফাইভারে সফল হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
৬) ফাইভার অ্যাপটি ডাউনলোড করুন
আপনার এন্ড্রয়েড কিংবা আইফোনে ফাইভার অ্যাপটি ডাউনলোড করে যথাসম্ভব এক্টিভ থাকুন। এতে করে আপনি সময় মতো বায়ারদের এসএমএস এ সাড়া দিতে পারবেন। বায়ারও আপনার এক্টিভিটিতে খুশি থাকবে। এটি আপনার ফাইভার ব্যবসা দ্রুত বিকাশের একটি দুর্দান্ত উপায়।
৭) বেস্ট প্র্যাক্টিস গুলো রিভিউ করুন
একজন ফাইভার সেলারের ভালো প্র্যাক্টিসের জন্য নিয়মিত Fiverr Help, Education Centerএবং Forum এ ব্রাউজ করা উচিত। এই টিপস গুলি আপনাকে সঠিক পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
৮) $5 গিগ ছাড়াও আরও প্যাকেজ দিন
গিগের প্যাকেজগুলো শুধুমাত্র পাঁচ ডলার দিয়ে শুরু। তবে আপনাকে গিগ প্যাকেজগুলির মাধ্যমে কিভাবে আরো বেশি ডলার আয় করা যায়, সেই উপায় জানতে হবে।
৯) ফাইভার ফোরাম ব্রাউজ করুন
মাঝে মাঝে ফাইভার ফোরাম থেকে ঘুরে আসুন এবং সেখানকার কমিউনিটির সাথে পরিচিত হন। এটি টিপসের পাশাপাশি অন্যান্য সেলারদের সাথে যোগাযোগের একটি ভালো মাধ্যম।
১০) আপডেট সমূহ ঘুরে দেখুন
ফাইভার Help and Education center এ আপডেট পেতে নিয়মিত ঘুরে আসুন। এখানে সেলারদের জন্য তাদের ব্যাবসায়ের অগ্রগতি বৃদ্ধির বিভিন্ন সহায়ক পোস্ট করা হয়।
একজন নতুন সেলার হিসেবে ফাইভারে সফল হতে হলে অবশ্যই আপনার উপরিউক্ত টিপস গুলো মেনে চলা জরুরী। আরো বেশি সেল পাওয়ার জন্য এই দূর্দান্ত কৌশলগুলি অনুসরন করুন এবং খুব দ্রুত একজন টপ সেলার হয়ে উঠুন।
Read More: ডিজিটাল মার্কেটিং কি
Read More: ওয়েব ডিজাইন কি
Read More: ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়
Read More: Mobile Phone Price | Phone Review
0 Comments
Please don’t send any spam link